আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৯মার্চ,নড়াইল প্রতিনিধিঃ নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরা পারভীন কর্তৃক লোহাগড়া উপজেলা চেয়ারম্যানের নামে থানায় জিডির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সৈয়দ ফয়জুল আমির লিটু। বুধবার উপজেলা পরিষদের হলরুমে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে চেয়ারম্যান বলেন,২৮ ফেব্রুয়ারি লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরা পারভীন আমার বিরুদ্ধে থানায় একটি সাধারন ডায়েরি(জিডি) করেন যার নং ১৫৭৬। যা সম্পূর্ন মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিডিতে উল্লেখ্য করেন, ২০১৭ সালের ২৯ জুন কিছু ভূয়া প্রকল্প দেখিয়ে বরাদ্দ নিয়ে আসি এবং বিলে তাকে স্বাক্ষর করতে বলি। বিলে স্বাক্ষর না করায় ৩৯ লক্ষ টাকা ফেরত চলে যায় এ কারনে তার সাথে চেয়ারম্যানের দ্বন্দ্ব বলে জিডিতে উল্লেখ্য করেন। এ বিষয়ে চেয়ারম্যান বলেন, উপজেলার নীতিমালায় কোন মন্ত্রনালয় বা দপ্তর কর্তৃক আর্থিক বা প্রশাসন যে কোন পত্রের কপি উপজেলা পরিষদ, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর প্রাপ্ত হয়। অথচ এরকম কোন আর্থিক অবকাঠামো উন্নয়মূলক অর্থের কোন পত্র আমি পাই নাই। এমনকি ২৬ জুন ২০১৭ কোন মন্ত্রনালয় বা দপ্তর থেকে আমার কাছে আসেনি।
৩৯ লক্ষ টাকার প্রকল্প কোন মন্ত্রনালয় বা দপ্তরের ? তার তারিখ, স্মারক নম্বর, সূত্র নাম্বার ও কার বরাবর প্রেরিত হয়েছে ? তা প্রকাশের দাবি জানান উপজেলা চেয়ারম্যান। তিনি আরো বলেন, ভূয়া প্রকল্পগুলো নাম, ঠিকানা, কোন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্তৃক ভূযা প্রকল্পগুলো পরিমাম বই যার নাম্বার, কত পৃষ্ঠা থেকে কত পৃষ্ঠা পর্যন্তু নাম্বার লিপিবদ্ধ হয়েছে। এছাড়া কোন দপ্তরে ফেরত পাঠানো হয়েছে কত নম্বর চালাতে বা তফসিলকৃত ব্যাংক মাধ্যমে কোন মন্ত্রনালয়ে ফেরত পাঠানো হয়ে তা জানতে চান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে চেয়ারম্যান বলেন, ওই বছরের জুন ও জুলাই মাসের মাসিক সাধারন সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বা দপ্তর প্রধান উক্ত প্রকল্পের টাকা আসছে এমন কোন কথা প্রকাশ করেননি এবং ফেরত পাঠানোর বিষয়টিও রেজুলেশনে উল্লেখ নেই।
তাহলে কিভাবে ৩৯ লক্ষ টাকা ফেরত গেল ভূয়া প্রকল্পের ? উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিজে স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বরাদ্দকৃত অর্থ যথাযথভাবে প্রকল্প সমাপ্ত হয়েছে এবং বিল পরিষোধ করা হয়েছে বলে সভায় জানান উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী এবং প্রকল্প বাস্তবায়ক কর্মকর্তা।
তিনি আরো বলেন, ২৮ ফেব্রুয়ারি আমার বিরুদ্ধে থানায় জিডি করলেন অথচ ২৭ তারিখের আইন শৃংখরা মিঠিং এ জানানো হয় উপজেলার সার্বিক আইন শৃংখলা স্বাভাবিক রয়েছে সে সভায়ও তিনি তাকে হুমকির বিষয়ে কিছু বলেননি।
চেয়ারম্যান অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরা পারভীন আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের সাথে আতাত করে আমার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে সৈয়দ আকিদুল ইসলাম, গোলাম মোস্তফা, মহসিনমোল্যা, রেজাউল করিম, জাহিদুল ইসলাম কালু, সৈয়দ মাসুম রেজা, মহসিন উদ্দিন, মুন্সী জোসেফ হোসেন, মোঃ রোমানসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
