সুনামগঞ্জে পাচাঁরকৃত ৮০টন কয়লাসহ ৩জন গ্রেফতার

    0
    200

    সোর্স পরিচয়ধারী একাধিক মামলার আসামীদেরকে গ্রেফতার না করার অভিযোগ

    নিজেস্ব প্রতিনিধি,সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জ সীমান্তে সোর্স পরিচয়ধারী একাধিক মামলার আসামীদের পাচাঁরকৃত ৮০মে.টন চোরাই কয়লাসহ ৩জনকে গ্রেফতার করেছে বিজিবি। কিন্তু বিজিবি ক্যাম্প ও বিজিবি অধিনায়ক (সি.ও)সহ থানা-পুলিশের সোর্স পরিচয়ধারী একাধিক মামলার আসামীদেরকে কখনোই গ্রেফতার করা হচ্ছেনা।

    এব্যাপারে বিজিবি ও এলাকাবাসী জানায়,জেলার তাহিরপুর উপজেলার বালিয়াঘাট সীমান্তের লালঘাট ও লাকমা এলাকা দিয়ে বিজিবির ওপর হামলার মামলাসহ চাঁদাবাজি, কয়লা,অস্ত্র ও মাদক চোরাচালান মামলার আসামী কালাম মিয়া,জিয়াউর রহমান জিয়া,ল্যাংড়া বাবুল,জানু মিয়া,বাবুল মিয়া ও আব্দুর রাজ্জাক নিজেদেরকে বিজিবি,পুলিশ,র‌্যার ও সি.ও’র সোর্স পরিচয় দিয়ে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য,অস্ত্র ও কয়লা পাচাঁর করে দুধেরআউটা,পাটলাই নদী, ড্রাম্পের বাজার,নতুন বাজার,বালিয়াঘাট এলাকায় লুকিয়ে রাখে। গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় বিজিবি পৃথক অভিযান চালিয়ে ৮০মে.টন চোরাই কয়লা জব্দ করাসহ চোরাচালানী মনসুর আলী,আবু দেব,বীরেন্দ্র দেবকে গ্রেফতার করেও উপরের উল্লেখিত সোর্স পরিচয়ধারী একাধিক মামলার আসামীদেরকে গ্রেফতার করেনি। অন্যদিকে লাউড়গড় সীমান্তের যাদুকাটা নদী দিয়ে লড়ি বেঝাই করে প্রতিদিন ২হাজার টন পাথরের সাথে ইয়াবা পাচাঁর করা হয়।

    এজন্য লাউড়গড় ক্যাম্প কমান্ডার হাবিব ১লড়ি পাথর থেকে ২০০টাকা করে চাঁদা নিচ্ছে তার সোর্স এরশাদ মিয়া ও দিলহাজ মিয়াকে দিয়ে। তাদের সাথে রয়েছে সোর্স পরিচয়ধারী নুরু মিয়া,জজ মিয়া,আমিনুল মিয়া,রফিক মিয়া। কিন্তু তাদেরকে কখনোই গ্রেফতার করা হয়না। অপরদিয়ে চাঁরাগাঁও সীমান্তের লালঘাট ও বাঁশতলা এলাকা দিয়ে বিজিবির ওপর হামলার মামলার আসামী আব্দুল আলী ভান্ডারী,রমজান মিয়া,জয়নাল মিয়া,হরমুজ আলী,ফালান মিয়া,মোবারক মিয়া,বাবুল মিয়া,ফরিদ মিয়া,খোকন মিয়াগং বিজিবির সোর্স পরিচয় দিয়ে প্রতিদিন ভারত থেকে কয়লা, মদ ও ইয়াবা পাচাঁর করলেও তাদেরকে কখনোই গ্রেফতার করা হয়না। টেকেরঘাট সীমান্তের বড়ছড়া, রজনী লাইন ও বুরুঙ্গাছড়া এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী ফিরোজ মিয়াগং অবাধে কয়লা,মদ ও ইয়াবা পাচাঁর করছে। চাঁনপুর সীমান্তের নয়াছড়া,রাজাই,কড়ইগড়া ও বারেকটিলা এলাকা দিয়ে মাদক মামলার জেলখাটা আসামী আবু বক্কর,তার ছেলে আলমগীরসহ তাদের সহযোগী কাসেম মিয়া ও রফিকুল ইসলাম কয়লা, পাথর,মদ,গাজা,হেরুইন,ইয়াবা,গরু ও ঘোড়া পাচাঁর করে ভারতে মাছ ও সবজি পাচাঁর করলেও তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়না।বীরেন্দ্রনগর সীমান্তে বাগলী এলাকা দিয়ে মোস্তফা মিয়া মস্তো,আলী হোসেন,হযরত আলী ও মঞ্জুল মিয়া বিজিবি অধিনায়েকর সোর্স পরিচয় দিয়ে ভারত থেকে কয়লা,মদ ও ইয়াবা পাচার করলেও তাদের বিরুদ্ধে কখনোই আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হয়না।

    এব্যাপারে বালিয়াঘাট,লাউড়গড়,বাগলী,চাঁরাগাঁও ও বড়ছড়া এলাকার ব্যবসায়ী-নাসির উদ্দিন,কফিল উদ্দিন,তারা মিয়া,তারা মিয়া,হামিদ মিয়া,জীবন মিয়া,রহিছ উদ্দিন,সবুজ মিয়াসহ আরো অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,সরকারের লক্ষলক্ষ টাকা রাজস্ব ফাঁকি উপরের উল্লেখিত সোর্সরা ওপেন চোরাচালান ও চাঁদাবাজি করলেও তাদেরকে কখনোই গ্রেফতার করা হয়না। সোর্সরা চোরাচালান ও চাঁদাবাজি করে রাতারাতি বাড়ি,গাড়ী ও জায়গা-জমি কিনাসহ একাধিক ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছে। এব্যাপারে বীরেন্দ্রনগর বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার নিজাম বলেন,কয়লা পাসের বিষয়ে আমাদের সোর্সদের সাথে কথা বলে পরে আপনাকে জানাব। লাউড়গড় বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার হাবিব বলেন,আপনাকে আগেও বলেছি এখনও বলছি চোরাচালান ও চাঁদা উঠানোর বিষয়ে আমাকে কোন কিছু বলে আমাদের সোর্সদের সাথে কথা বলেন।

    সুনামগঞ্জ ২৮ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক মাকসুদুল আলম বলেন,সীমান্ত এলাকায় বিজিবির কোন সোর্স নাই,চোরাচালান বন্ধ করাসহ চোরাচালানীদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।