সুনামগঞ্জে বারকি শ্রমিক সংঘের সমাবেশ ও মিছিল

    0
    338

    অবৈধ বোমা মেশিন ও ড্রেজার বন্ধ, সন্ত্রাসী চাঁদাবাজদের গ্রেফতার দাবি

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,৩১জুলাইঃ সংগঠনের সভাপতি মো নাছির মিয়াকে আটকিয়ে হুমকি, সংগঠনের প্রচার কাজে বাধা প্রদান ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দের নামে মিথ্যা মামলার হুমকির প্রতিবাদে সুনামগঞ্জ জেলা বারকি শ্রমিক সংঘ রেজিঃ নং চট্টঃ ২৩৫৫ এর ধারাবাহিক প্রতিবাদ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৩১ জুলাই শুক্রবার সকালে সদর উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামে এক প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। চলতি নদীর পাড়ে সৈয়দপুর গ্রামে অনুষ্টিত প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বারকি শ্রমিক সংঘের সভাপতি মোঃ নাছির মিয়া। বারকি শ্রমিকদের সমস্যা সংকট তুলে ধরে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বারকি শ্রমিক সংঘের সহ-সভাপতি আব্দুর রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক অদুদ মিয়া, প্রচার সম্পাদক নজরুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ আবদুল কাদির, সদস্য আবুল বাশার, আইনাল আবেদীন প্রমূখ। প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন যুগ যুগ ধরে বারকি শ্রমিকরা পরিবেশ বান্ধব উপায়ে হাতে সাহায্যে নদী থেকে বালি পাথর উত্তোলন করে নদী পাড়ের হাজার হাজার জনগোষ্ঠীর জীবন ও জীবিকা নির্বাহ করে চলছেন।

    কিন্তু বেশ কয়েক বছর থেকে এক শ্রেণীর অর্থলোভী প্রভাবশালীরা পরিবেশ ধ্বংস করে অবৈধভাবে নদী থেকে বালি পাথর উত্তোলনে বোমা মেশিন ও ড্রেজার চালালো শুরু করেন। বোমা ড্রেজারের আগ্রাসী বালি পাথর উত্তোলনের কারণে নদীর প্রাকৃতিক নাব্যতার ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি নদী পাড়ের ভাঙ্গনের সৃষ্টি করে কৃষকের বাড়িঘর ও জমি নদীতে বিলীন হয়ে শত শত কৃষক সর্বশান্ত হয়েছেন। উচ্চ আদালত থেকে নিষেধজ্ঞা থাকার পরও নদী থেকে বোমা ড্রেজার উচ্ছেদ করা হচ্ছে না।

    বক্তারা অভিযোগ করে বলেন মাঝে মধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে লোক দেখানো অভিযান চালানো হলেও অভিযানের পূর্বেই বোমা ড্রেজার মালিকরা তা জেনে যায়। যার কারণে কোন সময়ই প্রশাসনে অভিযান পুরোপুরি সফল হয় না। অভিযানের পর পরই আবার বোমা ড্রেজার ব্যবহার শুরু হয়। আর বোমা ড্রেজার দিয়ে বালি পাথর উত্তোলন করার কারণে হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে বারকি শ্রমিকরা বালি পাথর উত্তোলন করেও অল্প দামে বিক্রি করতে বাধ্য হন।

    এমতবস্থায় বারকি শ্রমিকরা যখন নিতান্তই পেটের দায়ে নদী থেকে বালু পাথর উত্তোলনের নিশ্চয়তা এবং উত্তোলিত বালু পাথরের ন্যায্যমূল্যে দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে এবং আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তুলছে। তখন এক শ্রেণীর পরিবেশ ধ্বংসকারী অর্থ লোভী শোষক বারকি শ্রমিকদের প্রতিপক্ষ হিসেবে মনে করে নানা রকম অপতৎপরতা চালাচ্ছে। তারা নাছির মিয়া আটকিয়ে হুমকি, ধামকি দিয়েছে, সংগঠনের প্রচার কাজের সময় লাঠিসোটা নিয়ে তাড়া করেছে, এখন তারা প্রকাশ্যে নাছির মিয়া, আব্দুল কাদিরসহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দের নামে মিথ্যা মামলা করার, এমন কি হত্যা, গুম করার কথাও বলছে।

    নেতৃবৃন্দ এর বিরুদ্ধে সর্বস্তরের বারকি শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানান। সমাবেশ থেকে অবৈধ বোমা মেশিন ও ড্রেজার বন্ধ  এবং চিহ্নিত চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবি জানান।