সুনামগঞ্জে ৩টন চোরাই কয়লা আটক করেছে বিজিবি

    0
    220

    সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা চোরাচালানের স্বর্গরাজ্য হিসেবে পরিচিত বালিয়াঘাট সীমান্তে অভিযান চালিয়ে ৩ মে.টন চোরাই কয়লা আটক করেছে বিজিবি। কিন্তু চিহ্নিত চোরাচালানীদের গ্রেফতার করতে পারেনি।

    এব্যাপারে বিজিবি ও স্থানীয়রা জানায়, বালিয়াঘাট সীমান্তের ১১৯৭নং পিলার সংলগ্ন লালঘাট ও লাকমা এলাকায় ১৬টি চোরাই কয়লার গুহা তৈরি করেছে বিজিবির সোর্স পরিচয়ধারী চিহ্নিত চোরাচালানী ও মাদক ব্যবসায়ী কালাম মিয়া,জানু মিয়া,বাবুল মিয়া ও আবুল মিয়াগং।

    প্রতিদিনের মতো গতকাল ১০ অক্টোবর ১৮ইং বুধবার রাত ৮টায় বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্পের নায়েক সাব্বির ১বস্তা কয়লা থেকে বালিয়াঘাট ক্যাম্প কমান্ডার দেলোয়ারের নামে ৫০টাকা,তার নিজ নামে ২০টাকা, টেকেরঘাট পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই ইমাম তার নিজ নামে ২৫টাকা,ডিবি পুলিশের নামে ২৫টাকা ও কয়লা পাচাঁর মামলা নং-৯,জিআর-১৫৮/০৭এর আসামী আব্দুর রাজ্জাক ১ বস্তা কয়লা থেকে ৫০টাকা,ইউপি মেম্বার শফিকুল ইসলাম ও সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হোসেনের নাম ভাংগিয়ে ৫০টাকা চাঁদা নিয়ে চোরাচালানী কালাম মিয়া,জানু মিয়া,বাবুল মিয়া,আবুল মিয়া,সর্দার ইউনুছ মিয়া ও আইনাল মিয়াগংকে দিয়ে ভারত থেকে বিপুল পরিমান কয়লা,মদ,গাঁজা ও ইয়াবা পাচাঁর করে।

    পরবর্তীতে রাত ৯টায় পাচাঁরকৃত অবৈধ কয়লা ও মাদকদ্রব্য লালঘাট গ্রামের সামনে অবস্থিত চুনখলা নামক হাওরের পাড়ে চোরাচালানী জানু মিয়ার ইঞ্জিনের নৌকায় বোঝাই করার সময় খবর পেয়ে পার্শ্ববর্তী টেকেরঘাট ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার ফরিদ অভিযান চালিয়ে হাওর থেকে ৩ মে.টন চোরাই কয়লা আটক করেন।

    এসময় নৌকাসহ বাকী মালামাল নিয়ে চোরাচালানীরা পালিয়ে গিয়ে বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্পের সামনে অবস্থিত নতুন বাজারের এক প্রভাবশালী চোরাই কয়লা ব্যবসায়ী কাছে ১০মে.টন কয়লা বিক্রি করে এবং দুধের আউটা গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী জিয়াউর রহমান জিয়া ও সহযোগী আংগুরী বেগমের কাছে নিয়ে মদ,গাঁজা ও ইয়াবার চালান নিয়ে বিক্রি করলেও বালিয়াঘাট ক্যাম্পের বিজিবি কোন পদক্ষেপ নেয়নি বলে জানাগেছে।

    এব্যাপারে বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার দেলোয়ার বলেন,কালাম মিয়া আমাদের লোক আর চোরাচালান বন্ধ করব কিনা সেটা আমাদের ব্যাপার,আপনার সাথে এই ব্যাপারে কোন কথা বলতে আমি ইচ্ছুক না। চোরাচালানী কালাম মিয়া বলেন, আমার বিরুদ্ধে লেখালেখি করে কিছুই করতে পারবেন না,কারণ আমি মাসে ৫লক্ষ টাকা রোজগার করলে ৩লক্ষ টাকাই বিজিবি ও পুলিশকে দেই।

    এব্যাপারে টেকেরঘাট বিজিবির কোম্পানী কমান্ডার ফরিদ বলেন,সীমান্ত চোরাচালানী কালাম মিয়া,বাবুল মিয়া ও জানু মিয়ার বিরুদ্ধে একাধিক চোরাচালান মামলা রয়েছে,তাদেরকে গ্রেফতার করাসহ চোরাচালান প্রতিরোধ করার জন্য আমি আমার সাধ্যমত চেষ্টা করছি।