সেন্টমার্টিন দ্বীপে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিখোঁজ ৪ শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার

    0
    219

    আমারসিলেট24ডটকম,১৬এপ্রিলঃ কক্সবাজার সেন্টমার্টিনে সমুদ্রে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হওয়া ৪ ছাত্রেরই মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। ঘটনার তৃতীয় দিন আজ বুধবার সকাল ৯টায় এক জনের এবং সকাল ১১টায় বাকি তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতরা হচ্ছেন, শাহরিয়ার ইসলাম নোমান, সাব্বির হাসান, উদয় মাহমুদ ও গোলাম রহিম বাপ্পী।
    সেন্টামার্টিনস কোটস্টগার্ড কমান্ডার লে. শহিদ আল আহসান বলেন, দ্বীপের পশ্চিম পাশ থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
    জানা যায়, গত সোমবার সেন্টমার্টিনসে বেড়াতে গিয়ে আহসান উল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা দ্বীপের দক্ষিণ-পূর্ব পাশের সমুদ্র সৈকতে গোসল করতে নামেন। এসময় তাদের মধ্যে ৯ জন গভীর পানি ও স্রোতের মধ্যে পড়ে যান। দ্রুত তাদের মধ্যে পাঁচ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। বাকি চারজন নিখোঁজ থাকেন। টেকনাফ উপজেলা হাসপাতালে মানফেজুল ইসলাম ও সাদ্দাম হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। তারা হলেন মফিজুল ইসলাম ওরফে ইভান (২৩) ও সাদ্দাম হোসেন ওরফে অঙ্কুর (২৩)। আহত হয় আরো ৫ শিক্ষার্থী। তাদের মুমূর্ষু অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। মৃত দুই ছাত্রের লাশ একই হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। সেখান থেকে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।
    প্রসঙ্গত, নিহত, নিখোঁজ ও উদ্ধার হওয়া শিক্ষার্থীরা ঢাকার আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র। তাদেরসহ ৩৪ জন শিক্ষার্থীর একটি দল সোমবার দুপুর ১২টায় সেন্ট মার্টিনে যান। সেখানে দুপুর দেড়টার দিকে সেন্টমার্টিন উত্তর সৈকতে সবচেয়ে বিপজ্জনক স্থানটিতে গোসল করতে নামলে এ ঘটনাটি ঘটে।
    এ বিষয়ে কম্পিউটার সাইন্স বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র সৌমিক জানান, ৩৪ জন শিক্ষার্থীর একটি দল সেন্টমার্টিন ভ্রমণে আসেন। তাদের মধ্যে ১০ জন সেন্টমার্টিনের উত্তর সৈকত দিয়ে সাগরে গোসল করতে নামলে ভাটার স্রোতে ভেসে যান। পরে বাকিদের চিৎকারে কোস্টগার্ড ও স্থানীয়রা মুমূর্ষু অবস্থায় তাদের উদ্ধারের পর স্পিডবোট যোগে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়।মানফেজুল ইসলাম ইভান ও সাদ্দাম হোসেন অঙ্কুরকে মৃত বলে ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।