নূরুজ্জামান ফারুকী,বিশেষ প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে জুসনা আক্তার (২২) নামের এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে শাশুড়ী রাবিয়া (৫০) কে আটক করেছে পুলিশ ।
রোববার (৯জুলাই) সন্ধ্যায় নিজ এলাকা থেকে আটক করা হয় তাকে। আটক রাবিয়া রানিগাও ইউনিয়নের কমলপুর এলাকার ঠান্ডা মিয়ার স্ত্রী। এর আগে রোববার দুপুরে রানিগাও ইউনিয়নের কমলপুর স্বামীর বাড়ি থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয় ।
এদিকে জুসনা আত্মহত্যা করেছেন বলে জানান তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন। ওই নিহত গৃহবধূর পিতা আমীর আলী, ভাই সুন্দর আলী ও খালা আফিয়া খাতুনসহ পরিবারের দাবি, যৌতুকের দাবীতে হত্যার পর গলায় রশি দিয়ে বেঁধে আত্মহত্যা বলে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন তার স্বামী শাশুড়ী সহ ঘটনার সাথে জড়িতরা।
ঘটনার পর থেকে স্বামী আল-আমীন পলাতক রয়েছেন। এ নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৩ বছর আগে উপজেলার গাজিপুর ইউনিয়নের কবিলাশপুর এলাকার আমির আলীর মেয়ে জুসনার সঙ্গে একই উপজেলার রানিগাও ইউনিয়নের কমলপুর গ্রামের ঠান্ডা মিয়ার পুত্র রাজমিস্ত্রী আল-আমীনের সঙ্গে বিয়ে হয়। তাঁদের সংসারে -আলিফ নামের ১ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। নিহতের মা’ দুপরাজি বেগম জানান, আমার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে, এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, জুসনাকে তাঁর স্বামী আল-আমীন প্রায়ই যৌতুকের জন্য মারধর করতেন। রবিবার সকালে লোক মারফত জুসনার আত্মহত্যার খবর তাঁরা জানতে পারেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে এলোমেলো অবস্থায় স্বামীর ঘরের মেঝেতে মেয়ের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন তিনি।
এ তথ্য নিশ্চিত করে চুনারুঘাট থানার পুলিশ পরিদর্শন তদন্ত গোলাম মোস্তফা জানান,এঘটনায় নিহতর মা বাদি হয়ে চুনারুঘাট থানায় স্বামী ও শাশুড়ীর নাম উল্লেখ করে যৌতুকের জন্য হত্যা মামলা দায়ের করেন। তিনি আরো বলেন পলাতক আসামি স্বামী আল-আমীনকে গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত আছে।
