হবিগঞ্জে বৃক্ষরোপন কর্মসূচীর বৃক্ষ নিধনের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    0
    185

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৪সেপ্টেম্বর,চুনারুঘাট প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার শায়েস্তাগঞ্জ পুরান বাজার পুরাতন ব্রিজ হইতে লস্করপুর রেলগেইট পর্যন্ত সড়ক ও জনপথ রাস্তার উভয় পার্শ্বে জাতীয় বনায়নে বৃক্ষরোপন কর্মসূচীর মাধ্যমে ২০০৫ ইং সনে ৪.৯১ একর ভূমিতে ৫০% অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে সরকারের সড়ক ও জনপথ উপ-বিভাগ, শায়েস্তাগঞ্জ, হবিগঞ্জের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে বিভিন্ন প্রজাতির ১ হাজার ফলজ ও বনজ বৃক্ষরোপন করে পরিচর্যা করে আসছেন হবিগঞ্জ সদর উপজেলার লস্করপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মন্নাফের পুত্র বৃক্ষ প্রেমিক আব্দুর রাজ্জাক।

    সম্প্রতি ৪শ’ ৬২টি বৃক্ষ নির্বাহী প্রকৌশলী সড়ক ও জনপথ হবিগঞ্জের নির্দেশে নির্বাহী বৃক্ষপালনবিদ (সওজ) অপারেশন ডিভিশন (পূর্বা ল), পাইকপাড়া, মিরপুর, ঢাকা কর্তৃক নিলামে বিক্রি করা হলে আব্দুর রাজ্জাকের ৫০% অংশীদারিত্বের টাকা প্রাপ্ত হওয়ার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সরকার কর্তৃক নিলামে বিক্রিত ৪শ’ ৬২টি বৃক্ষের স্থলে গত ১৪ জুলাই শুক্রবার আব্দুর রাজ্জাক ৮ জন শ্রমিক নিয়ে বৃক্ষরোপন কাজের শেষ পর্যায়ে বিকাল অনুমান ৫ ঘটিকার সময় উপজেলার লস্করপুর গ্রামের নিগার হাটির মৃত আব্দুল লতিফের পুত্র লাল মিয়া ও ফুল মিয়া রোপাঙ্কৃত  বৃক্ষগুলি উপরে ফেলে দেয় এবং চুক্তিনামা সম্পাদনকারী আব্দুর রাজ্জাককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এ ব্যাপারে আব্দুর রাজ্জাক স্থানীয় ইউপি সদস্য মনির হোসেন ও মুরুব্বি আঃ কাদিরের নিকট বিচারপ্রার্থী হয়েও কোন প্রতিকার না পাওয়ায় তিনি সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে উল্লেখিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ প্রাপ্ত হয়ে হবিগঞ্জ সদর থানা পুলিশ তদন্তে এসেও এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি বলে অভিযোগ উঠেছে।

    উল্লেখ্য যে, উপজেলার লস্করপুর গ্রামের  মোঃ এমরান মিয়া রোপনকৃত বৃক্ষ দখল করিয়া কাঁটা তারের বেড়া ও সিমেন্টের খুঁটি দিয়া দখল করে নিয়েছে। এ ব্যাপারে বৃক্ষরোপনকারী আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে জেলা প্রশাসক হবিগঞ্জ, পুলিশ সুপার হবিগঞ্জ, নির্বাহী প্রকৌশলী সওজ হবিগঞ্জ এর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী শায়েস্তাগঞ্জ, অফিসার ইনচার্জ, হবিগঞ্জ সদর থানাকে অবহিত করে বিচারপ্রার্থী হলে হবিগঞ্জ সদর থানা হতে তদন্ত করে ঐ কাটাতারের বেড়া ও খুঁটি অপসারণের ব্যবস্থা না করিলে শায়েস্তাগঞ্জ সড়ক বিভাগ কর্তৃক কাঁটা তারের বেড়া ও খুঁটি অপসারণ করিয়া বাজেয়াপ্ত করে কার্যালয়ে রাখা আছে। বৃক্ষরোপনে বাধা সৃষ্টিকারী ও বৃক্ষ নিধনকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জোর দাবি জানিয়েছে এলাকার সচেতন মহল।