চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার আলোচিত ছাত্রলীগ নেতা মহিবুল হোসেন হত্যার আসামীরা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এবং মামলার বাদী ও স্বাক্ষীদেরকে হুমকি দিচ্ছেন। শুধু তাই নয় তারা হাই কোর্ট থেকে জামিনে এসে মিথ্যা মামলা দায়ের করায় মহিবুল হোসেন এর তিনভাই এখন কারাগারে আছে। কারাগারে থাকা ওই তিনজন মহিবুল হোসেন এর সাথে গুরুতর আহত হয়েছিল এবং মামলার অন্যতম স্বাক্ষী।বুধবার বিকেলে হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেছেন মহিবুল হোসেন এর ভাই ও মামলার বাদী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শফিক মিয়া।
সংবাদ সম্মেলনে শফিক মিয়া বলেন, আমার ভাই মহিবুল হোসেন উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিল। কিন্ত জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে নুর ওরপে নুরা বাহিনী তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। কিন্তু মামলার প্রধান আসামী আঃ নুর ও আঃ খালেক এলাকাতে ঘুরে ফিরে এবং বিভিন্নভাবে মামলার স্বাক্ষীদেরকে হুমকি দিচ্ছে। তারা মিথ্যা সার্টিফিকেট সংগ্রহ করে আমাদের উপর একটি মামলা দায়ের করে। সেই মামলায় মহিবুল হোসন এর আপন দুই ভাই আব্দুল হাশিম ও সালেহ আহমেদ এবং ফুফাত ভাই আব্দুল আলী বর্তমানে কারাগারে আছে। অথচ তারা সকলেই মহিবুল হোসেন এর সাথে গুরুতর আহত হয়েছিল এবং হত্যা মামলার জখমী স্বাক্ষী।
আসামী আঃ নুর এর বিরুদ্ধে আরও হত্যাসহ অসখ্য মামলা রয়েছে। তার ভাই অপর আসামী আব্দুল খালেক এর বিরুদ্ধেও ডাকাতি মামলাসহ অসংখ্য মামলা রয়েছে। আমি একজন নিরিহ মুক্তিযোদ্ধা। আসামীরা বার বার আমাকে হুমকি দিচ্ছে মামলা আপোষ করার জন্য। স্বাক্ষীদেরকেও একইভাবে হুমকি দেয়ায় আমি ন্যায় বিচার না পাওয়ার আশংকা করছি।
তিনি আরও বলেন, আসামীদের ভয়ে আমরা দিনের বেলা একা চলাফেরা করতে পারি না। রাতের বেলায় ঘর থেকে বাহির হই না। সব সময় আতংকে থাকি কখন আমাদের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। আসামীরা আমাদেরকে হত্যা করার হুমকি দিয়ে বলছে একটি মার্ডারে যা হবে আরও যদি মার্ডার করি তাহলেও তাই হবে। প্রয়োজনে আরও মার্ডার করব।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন চুনারুঘাট উপজেলা আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক সজল দাশ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন, চুনারুঘাট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ, আলী হায়দার মাস্টার ও চুনারুঘাট অন লাইন প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক ফারুক মিয়া।
