হাওরাঞ্চলে বাড়ছে করোনা ঝুঁকি,শহর ছেড়ে ফিরছে গ্রামে

    0
    205

    তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ কাজের সন্ধানে শহরে যাওয়া কর্মহীন হাওরাঞ্চলের মানুষ গুলো এবার শহর ছেড়ে দলবেঁধে ফিরতে শুরু করেছে। শুধু তারাই নয় করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে এক এক করে শহরের কলকারখানাসহ কর্মক্ষেত্র গুলো বন্ধ করায় সবাই এখন ফিরতে শুরু করেছে গ্রামের পরিবারের কাছে আবার কেউ কেউ শহরে থাকা সহপরিবারে সড়ক পথ বন্ধ থাকায় বিকল্প পথে। ফলে গ্রামে বাড়ছে করোনা ঝুঁকি। এতে করে গ্রামের সচেতন মহলে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
    আইসিইইডিআর এর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি করোনা শনাক্ত হয়েছে ঢাকা,গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ জেলায়। আর এই জেলা গুলো থেকে মানুষ আসায় এতেই ঘটেছে বিপত্তি।
    জানা যায়,হাওর বেষ্টিত সুনামগঞ্জের ১১টি উপজেলার মধ্যে তাহিরপুর উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে বিভিন্ন গ্রামগুলোতে খবর নিয়ে জানা যায়,এক ফসলী বোরো ধান উৎপাদনের উপর নির্ভরশীল ও দিন মজুর পরিবার। বার বার ফসল ডুবিসহ নানান কারনে শ্রমিক পরিবার গুলো ঢাকা,গাজীপুর,নারায়নগঞ্জ,চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন শহর মুখি হয়। আর বর্তমান করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার কলকারখানা বন্ধ রাখার ঘোষনা করার পর শহরের কর্মক্ষেত্র গুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মানুষ দলবেঁধে নিজ নিজ গ্রামে ফিরতে শুরু করেছে। গত এক সাপ্তাহে শতাধিক মানুষ ঢাকা,গাজীপুর,নারায়ণগঞ্জ,খাগড়াছড়ি,চট্টগ্রাম থেকে এসেছেন আরো আসার পথে রয়েছে। এদের অনেকের খবর এখনও পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসন জানেন না। যাদের বিষয়ে প্রশাসন খোঁজ খবর পাচ্ছে তাদেরকে শুধু হোম কোয়ারান্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে। কিন্তু তাদের কোন নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি।
    আর শহর থেকে আগতরা কোন হোম কোয়ারান্টাইন না মেনে অবাধে চলাফেরা করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এতে করে প্রশাসন কঠোর নজরধারী না বাড়ালে করোনা ঝুঁকি বাড়বে বলে মনে করছেন সচেতনতা মহল।
    এবিষয়ে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ ইকবাল হোসেন বলেন,যারা ঢাকা এবং নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন শহর থেকে এসেছে তাদেরকে আলাদাভাবে রাখতে পুলিশকে বলা হয়েছে। আর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে আমাদের স্বাস্থ্য কর্মীরা সার্বক্ষণিক নজরদারি করছে। এখন পর্যন্ত সর্দি,কাশি ও জ্বর এর লক্ষন আগতদের মাঝে পাওয়া যায় নি। এবং আমরা এপর্য়ন্ত ৮জনের তাদের নমুনা সংগ্রহে করে পাঠিয়েছি তাদের মাঝে করোনা ভাইরাসের লক্ষান পাওয়া যায় নি।

    তাহিরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ আতিকুর রহমান বলেন,আমারা শহরফেরত মানুষ গুলোকে স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বারসহ সচেতন মানুষের সহযোগীতায় হোম কোয়ারান্টাইন এ থাকতে বলেছি। তাদের বিষয়ে কঠোর নজরদারী রয়েছে। যদি কেউ হোম কোয়ারান্টাইন না মানে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিজেন ব্যনার্জি জানান,আমি গ্রামে আগত মানুষজনের আগমন নিয়ে প্রতিটি গ্রামে কমিটি করা হয়েছে তারাসহ সবাইকেই সর্তক করছি। কেউ আসলে যেন আমাদের কে জানায় এবং আগতরা যেন হোম কোয়ারান্টাইনসহ স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলেন। না হলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।