১১৪ ইউনিয়নে বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থী থাকছে না !

    0
    198

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৮ফেব্রুয়ারী: বাংলাদেশে প্রথমবারের মত দলীয়ভাবে অনুষ্ঠেয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সরকারি দলের সন্ত্রাস ও ভয়ভীতি এবং নানা অজুহাতে প্রার্থিতা বাতিলের কারণে ১১৪ ইউনিয়নে বিএনপির কোনো চেয়ারম্যান প্রার্থী থাকছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।

    আগামি মার্চ থেকে জুনের মধ্যে ছয় দফায় এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২২ মার্চ প্রথম ধাপে ৭৩৯টি ইউনিয়ন পরিষদে ভোট হবে। ২৩ ও ২৪ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র বাছাই শেষ করা হয়েছে। আগামি ২ মার্চ প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ধার্য রয়েছে।

    এ নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেছেন, সরকারি দলের প্রার্থীদের বিজয়ী করতে নির্বাচন কমিশন মরিয়া হয়ে উঠেছে। তুচ্ছ অজুহাতে স্থানীয় নির্বাচন কর্মকর্তারা বিএনপির মনোনীত প্রার্থীদের প্রার্থিতা বাতিল করছেন।

    এ ছাড়া সরকারি দলের লোকজনের বাধা দান, হুমকি-ধমকির কারণে বিএনপির অনেক প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি বলেও উল্লেখ করেন বিএনপি নেতারা।

    তবে, আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ মন্তব্য করেছেন, দলের দৈন্যদশার কারণেই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিতে দেশের অনেক এলাকায় বিএনপি প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছে না।

    শুক্রবার রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় হাছান মাহমুদ বলেন, ‘‘বাংলাদেশের অতীতের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের চেয়েও এই নির্বাচন ইনশাআল্লাহ অনেক শান্তিপূর্ণ হবে। সুতরাং আপনারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন। গণতন্ত্রের পথে হাঁটুন। নির্বাচনের পথে হাঁটুন। জনগণকে ভয় দেখানোর পথে হাঁটবেন না।’’

    এ প্রসঙ্গে, বিএনপি চেয়ারপাসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু রেডিও তেহরানকে বলেন, দেশে একটি একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চেপে বসেছে যেখানে জনগণের কোনো গণতান্ত্রিক অধিকার নেই। এ অবস্থাটা বিএনপি’র প্রার্থিতা সংকটের কারণে নয়, এটা দেশে আইনের শাসনের অভাবের কারণে এবং নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতার কারণে সৃষ্টি হয়েছে। বিগত নির্বাচনগুলোতে এটাই বারবার প্রমানিত হয়েছে যে, এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না।

    এ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘প্রার্থী দেয়ার মতো একজন না, বহু প্রার্থী আছে। সব প্রার্থী আগ্রহ প্রকাশ করছেন না, কারণ প্রার্থী হতে গেলে মামলা খাবে। তারপর টাকা-পয়সা নষ্ট হবে। প্রার্থীর পক্ষে যারা কাজ করবেন তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে। বাড়ি বাড়ি পুলিশ গিয়ে তাদের হয়রানি করবে। তারপরেও বিজয়ী হলে তাদেরকে আইনের বলে অপসারণ করা হবে, নানা মামলায় জেলে ঢুকানো হবে এগুলো হলো বাস্তব চিত্র।’

    এর পরও বিএনপি কেন এ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে? এ প্রশ্নের জবাবে দুদু বলেন, জনগণের কাছে তাদের রাজনৈতিক বক্তব্য তুলে ধরা এবং ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের অংশ হিসেবে তারা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে।

    বিএনপি নেতারা বলছেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার কোনো সম্ভাবনাই নেই, তারপরও জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে এ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন তারা। বিএনপি মনে করে, ফলাফল যাই হোক না কেন- নির্বাচনে রাজনৈতিক জয় তাদেরই হবে।ইরনা