অবশেষে ১৫ বছরে জুড়ীতে আ’লীগের নির্বাচন কাল

    0
    268

    নির্বাচনের মাধ্যমে নেতৃত্ব চায় তৃণমূল নেতাকর্মীরা,চাপিয়ে দেয়া কোন নেতৃত্ব তৃণমূল মেনে নেবে না”

    জুড়ী (মৌলভীবাজার) সংবাদদাতা: মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা আওয়ামীলীগের ১৫ বছর পর এই প্রথম ১২ অক্টোবর শনিবার উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন ও কাউন্সিল হতে যাচ্ছে। বিলবোর্ড ও তুরনে তুরনে ছয়লাভ জুড়ী। দীর্ঘ প্রত্যাশিত এই কাউন্সিলে চাপিয়ে দেয়া কোন কমিটি নয়, কাউন্সিলারদের ভোটেই যেন নেতৃত্ব নির্বাচন হয় এমন প্রত্যাশা তৃণমূল নেতা কর্মীদের। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ স¤পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ এমপি সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

    দলীয় সূত্রে জানা যায়, ২০০৪ সালের ২৬ আগস্ট জুড়ীকে প্রশাসনিক উপজেলা ঘোষণা করা হয়। একই বছরের ২৮ নভেম্বর আব্দুল খালিক চৌধুরীকে আহবায়ক করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটি অনুমোদন করে জেলা আওয়ামী লীগ। ৯০দিনের মধ্যে সম্মেলনের মাধ্যমে পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠনের কথা থাকলেও দীর্ঘ ১৫বছরে তা করতে ব্যর্থ হয় আহবায়ক কমিটি।

    দলের তৃণমূল নেতাকর্মীরা জানান, দীর্ঘ ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের ভোট ব্যাংক হিসেবে খ্যাত জুড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন বা কমিটি না হওয়ায় ঝিমিয়ে পড়েছিল দলীয় কার্যক্রম। নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রচন্ড ক্ষোভ বিরাজ করছিল।

    অবশেষে সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ হওয়ায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের ‘মরা গাঙ্গে বান; ডেকেছে। এখন নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। ঝিমিয়ে পড়া নেতাকর্মীদের মাঝে চাঙ্গা ভাব বিরাজ করছে। তবে আনন্দ-উল্লাসের পাশাপাশি তৃণমূল নেতা কর্মীদের মধ্যে অজানা আশংকা দেখা দিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলীয় কর্মীরা বলেন, শেষ পর্যন্ত কাউন্সিলররা তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে কি না? কোন কমিটি চাপিয়ে দেয়া হবে কি না? পূর্ণাঙ্গ কমিটি হবে, না ছাত্রলীগ-যুবলীগের মত কমিটিহীন বা আংশিক কমিটি দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হবে বছরের পর বছর ইত্যাদি প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। মৌলভীবাজার জেলায় প্রথম জুড়ী উপজেলার কাউন্সিল হচ্ছে।

    এই কাউন্সিলের উপর জেলার অন্যান্য উপজেলার কাউন্সিল নির্ভর করছে। পুরো জেলাবাসী জুড়ীর দিকে তাকিয়ে আছে।সবার প্রত্যাশা তৃণমূলের মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে স্বচ্চ নির্বাচনের মাধ্যমেই যেন নেতৃত্ব তৈরি করা হয়। চাপিয়ে দেয়া কোন নেতৃত্ব তৃণমূল মেনে নেবে না।