৭টন কয়লা জব্দ:সুনামগঞ্জ সীমান্তে চোরাচারানীদের রামরাজত্ব

    0
    226

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৭ফেব্রুয়ারি,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:   সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্ত এখন চোরাচালানীদের রামরাজত্বে পরিণত হয়েছে। বিজিবি অভিযান চালিয়ে আবারও ৭ মে.টন চোরাই কয়লা জব্দ করলেও সোর্স পরিচয়ধারী বিভিন্ন মামলার আসামীদের আটক করতে পারেনি। জব্দকৃত কয়লার মূল্য ৭০হাজার টাকা টাকা।

    এব্যাপারে বিজিবি ও এলাকাবাসী জানায়,প্রতিদিনের মতো আজ ১৭.০২.১৮ইং শনিবার ভোর ৫টায় বিজিবি চোখ ফাঁকি দিয়ে চাঁদাবাজি মামলা নং-জিআর-১৬৩/০৭ইং এর জেলখাটা আসামী জিয়াউর রহমান জিয়া,তার সহকর্মী চোরাচালান,চাঁদাবাজি ও বিজিবির উপর হামলাসহ মোট ৮টি মামলার জেলখাটা আসামী কালাম মিয়া ও কয়লা চোরাচালান মামলা নং-৯,জিআর-১৫৮/০৭ইং এর আসামী আব্দুর রাজ্জাক তাদের একান্ত সহযোগী আব্দুল হাকিম ভান্ডারী ও ইদ্রিস আলীকে নিয়ে বালিয়াঘাট সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারত থেকে কয়লা পাচাঁর করে জিয়াউর রহমান জিয়া ও আব্দুর রাজ্জাকের বাড়ির সামনে অবস্থিত পাটলাই নদীর বাঁধের উপর নিয়ে মজুত করে নৌকা বোঝাই করার সময় ও লাকমা,বালিয়াঘাট সড়কে পৃথক অভিযান চালিয়ে টেকেরঘাট বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার রাশেদ খান ১০৪বস্তা (৭মে.টন) কয়লা জব্দ করেন। এসময় সোর্স পরিচয়ধারী চোরাচালানী জিয়াউর রহমান জিয়া,আব্দুল হাকিম ভান্ডারী,ইদ্রিস আলী ও কালাম মিয়াসহ অন্যরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। এব্যাপারে টেকেরঘাট বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার রাশেদ খান বলেন,সীমান্ত চোরাচালানীদেরকে অবৈধ মালামালসহ গ্রেফতারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

    উল্লেখ্য,এর আগে চোরাচালানী সোনা মিয়ার লালঘাটের বাড়ি থেকে ১৭বোতল ভারতীয় মদ,পার্শ্ববর্তী বাঁশতলার দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী চোরাচালানী শফিকুল ইসলাম ভৈরব ও ফালান মিয়াগং কয়লা পাচাঁরের সময় ২৭বস্তা(দেড় টন) কয়লা ও লালঘাট দিয়ে পাচাঁরের সময় ৫৮বোতল ভারতীয় মদ,লাকমা পশ্চিমপাড়া গ্রামের সোর্স আব্দুল হাকিম ভান্ডারীর বাড়ি থেকে ১০৫বস্তা(৭মে.টন) কয়লা ও লালঘাট গ্রামের সোর্স পরিচয়ধারী কালাম মিয়ার বাড়ি থেকে ১বস্তা ভর্তি ২০০বোতল মদ জব্দ করা হলেও এখনও পর্যন্ত আইনগত কোন পদক্ষেপ নেয়নি বিজিবি ও পুলিশ।

    যার ফলে উপরের উল্লেখিত চোরাচালানী ও বিভিন্ন মামলার জেলখাটা আসামীরা নিজেদেরকে বিজিবি ও পুলিশ সোর্স পরিচয় দিয়ে প্রতিদিন কয়লার বস্তায় করে ও পাথরের ট্রলি দিয়ে মদ,গাঁজা,হেরুইন,ইয়াবা,মোটর সাইকেল,গরু ও অস্ত্র পাচাঁর করছে। সংযুক্ত ছবি গুলো—জেলখাটা আসামী জিয়াউর রহমান জিয়া,তার সহকর্মী চোরাচালান,চাঁদাবাজি ও বিজিবির উপর হামলাসহ মোট ৮টি মামলার জেলখাটা আসামী কালাম মিয়া ও কয়লা চোরাচালান মামলা নং-৯,জিআর-১৫৮/০৭ইং এর আসামী আব্দুর রাজ্জাক তাদের একান্ত সহযোগী আব্দুল হাকিম ভান্ডারী ও ইদ্রিস আলীর।