মুক্তিযোদ্ধার নাতনী ইভাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন

    0
    262

    ৮ বছরের ফুটফুটে একটি মেয়ে কিডনির জটিল রোগে ৩ বছর ধরে বিভীষিকাময় জীবনের সাথে যুদ্ধ করে ধীরে ধীরে শেষ হতে চলেছে।কিন্তু সমাজের বিত্তশালীদের কেহ আজও তার পাশে আশার আলো জ্বালাতে আসেনি।তাহলে কি নিস্পাপ ওই কন্যা সন্তানটির জীবন প্রদীপ জ্বলে উঠতে কেহ এগিয়ে আসবেনা ?

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৭জুনঃ “মানুষ মানুষের জন্য” এ শ্লোগান চির সত্য আর এই প্রত্যাশায় মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার ইছবপুর (পশ্চিম) গ্রামের মরহুম মুক্তিযোদ্ধা কবির মিয়ার মেয়ে ৪ সন্তানের জননী জইতুন বেগমের দিনমজুর স্বামীকে নিয়ে দয়ালু মানুষজনের দ্বারে মিনতির হাত তুলে ধরেছেন,তাদের ঘরে ৩ ছেলে ও ১ মেয়ে। একমাত্র মেয়ে ইভা বেগম বয়স মাত্র ৮ বছর। ইভা ৫ বছর বয়স থেকেই কিডনির জটিল রোগে ভুগছে।

    গত ৩টি বছর ধরে বিভীষিকাময় জীবনের সাথে যুদ্ধ করে দিনমজুর বাবা মায়ের সর্বশ্ব খুইয়ে ধীরে ধীরে তার জীবন প্রদীপ শেষ হতে চলেছে।ইভার সাড়া শরীর ফুলে গেছে একই সাথে পেট ও ফুলে গেছে ছবিটিই তা প্রমান করছে,ইভা শরীরের যন্ত্রণায় যখন কাঁদতে শুরু করে কয়েক ঘণ্টা মাটিতে পরে লুটিয়ে কাঁদতে থাকে বলে তার মা কেঁদে কেঁদে বলছিলেন।যা দীর্ঘ ৩ বছর ধরে দিনমজুর বাবা-মা-নানীসহ গরিব স্বজনেরা নিরবে নিভৃতে সয়ে যাচ্ছে।

    অপরদিকে ডাক্তারের পরামর্শ উন্নত চিকিৎসা না করালে ইভার বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।অথচ ইভার নানা ছিলেন একজন মুক্তিযোদ্ধা।তার নানা জীবনবাজি রেখে এ দেশে স্বাধীনতার সূর্যটাকে ছিনিয়ে আনতে সম্মুখ সমরে শত্রু নিধন করেছে। আজ সেই মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী,সন্তান,নাতি,নাতনী অনাহারে অর্ধাহারে চিকিৎসাবিহীন বেঁচে থাকার সংগ্রামে লিপ্ত।কারো কি কোন দায় নেই?যদি থেকে থাকে আর মমতার হাত প্রসারিত করতে কারো মনে ইভার জন্য ভালবাসা উদয় হয় তাহলে নিজের আপন জনের মতই করে ওই ফুটফুটে কন্যা শিশুটিকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন।

    প্রয়োজনেঃ ইভা বেগম,মাতা-জইতুন বেগম,পিতা-সমুজ মিয়া,গ্রাম-ইছবপুর,ডাক+উপজেলা-শ্রীমঙ্গল,জেলা-মৌলভীবাজার।(মোবাইল নম্বর না থাকায় দেওয়া সম্ভব হয়নি)