অপরাধীদের সাথে পুলিশের দহরম-মহরম থাকলে ভালো মানুষ থানায় আসতে সাহস পায়না

0
535
অপরাধীদের সাথে পুলিশের দহরম-মহরম থাকলে ভালো মানুষ থানায় আসতে সাহস পায়না

”শ্রীমঙ্গল ব্যবসায়ী সমিতির মতবিনিময় সভায় নবাগত অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শামীম অর রশীদ তালুকদার”

অপরাধীদের সাথে পুলিশের দহরম-মহরম থাকলে ভালো মানুষ থানায় আসতে সাহস পায়না

নিজস্ব প্রতিনিধি: মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল থানায় নবাগত অফিসার ইনচার্জ মোঃ শামীম অর রশীদ তালুকদার এর সাথে উপজেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ সার্বিক বিষয়ে বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর ২০২১) দিবাগত রাতে ব্যবসায়িক সমিতির কার্যালয়ে মতবিনিময় সভার আয়োজন করে শ্রীমঙ্গল ব্যবসায়ী সমিতি।

দেবাশীষ ধর পার্থের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন এ এস এম ইয়াহিয়া খান। মতবিনিময় সভায় সমিতির নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে শামীম অর রশীদ তালুকদারকে স্বাগত জানিয়ে ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান করা হয়। এ সময় করোনা মহামারীর লগ্নে যে সকল ব্যবসায়ীরা মৃত্যুবরণ করেছেন, তাদেরকে স্মরণ করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

মতবিনিময় সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ মো.শামীম অর রশীদ তালুকদার, শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ুন কবির, শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) নয়ন কারকুন।

অপরাধীদের সাথে পুলিশের দহরম-মহরম থাকলে ভালো মানুষ থানায় আসতে সাহস পায়না

সভায় বক্তব্য রাখেন, শ্রীমঙ্গল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. কামাল হোসেন, সহ-সভাপতি মো.কাদির খাঁন, সহ-সভাপতি মো. শামীম আহমেদ , যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল হাসান জুয়েল, কোষাধ্যক্ষ মো. আব্দুল বাছিত, সদস্য আমজাদ হোসেন বাচ্চু ,ব্যবসা সমিতির সাধারণ সদস্য এ.এফ.এম হিমেল,সাধারণ সদস্য পৌর কাউন্সিলর মীর এম.এ সালাম, শ্রীমঙ্গল অনলাইন প্রেস ক্লাবের সহ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, শ্রীমঙ্গল অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি ও আমার সিলেট সম্পাদক আনিসুল ইসলাম আশরাফী।

এছাড়াও সমিতির প্রচার সম্পাদক, মো. ফারুক মিয়া,দপ্তর সম্পাদক, বাবু সুজিত চন্দ্র শর্মা, সমিতির ,সদস্য পরিমল চন্দ্র পাল,সদস্য অজয় কুমার দাশ,সদস্য মো.শামসুল ইসলাম শামীম, সদস্য জসীম উদ্দিন,মো.নাজমুল ইসলাম প্রমুখ।

ওসি মো: শামীম অর রশীদ তালুকদার দীর্ঘ বক্তব্যের সারমর্মে যা বলেন, “আমি আপনাদের বিভিন্ন দাবির কথা শুনেছি, শ্রীমঙ্গল থানায় দালালদের ঠাঁই হবে না, ইতিমধ্যে আমার অফিসে যারা গিয়েছেন তারা কিছুটা উপলব্ধি করেছেন, তবে অপরাধীকে অপরাধী হিসেবে দূরে সরিয়ে দিলে সমাজের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে না. কারণ যারা অপরাধী তারা হয় আমার বা আপনার কারো না কারো ঘরের সন্তান. আমাদেরকে তাদের ভালো হওয়ার সুযোগ দিতে হবে, সৎ পথে আসার সুযোগ দিতে হবে যদি না আসে তাহলে তাদের উপরে আইন প্রয়োগ করে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। আমি আপনারা জানেন ঢাকা শহরে চারটি থানায় ওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি এটি প্রথম কোন উপজেলায় আমার কাজ করার সুবিধা, আমি মহান আল্লাহর প্রশংসা করছি যে আপনাদের সাথে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি আপনাদের সাথে কথা বলার সুযোগ পেয়েছি. আমি আপনাদেরকে বলবো আমরা সবাই যদি সচেতন হয় অপরাধীরা অপরাধ করে পার পাবে না আপনারা অপরাধীদের চিহ্নিত করুন আমাদেরকে জানান । খেয়াল রাখার বিষয়ে যদি অপরাধীরা পুলিশের সাথে বসে গল্প করার সুযোগ পায় তাহলে ভালো মানুষ থানায় আসার সাহস পায় না । তবে এর অর্থ এই নয় যে, কোনো অপরাধী থানায় আসতে পারবে না; চোরেরও তার ন্যায্য অধিকার পাওয়ার অধিকার রয়েছে । আমরা তার মানবাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। আপনারা অনেক সময় ভুল বুঝে থাকেন, কখনো ভুল বুঝবেন না । অনেকে মনে করে যে আমি ফোন দিয়েছি আমার ফোনটি ধরেনি, এজাতীয় অভিযোগ অনেক সময় শোনা যায়। কথা হচ্ছে কাজে ব্যস্ত থাকার সময়ে অনেক সময়ই ফোন ধরা সম্ভব হয় না।এর অর্থ এই নয় যে আমরা কারো ফোন ধরি না বা ধরছি না! আপনারা আমাকে সহযোগিতা করেন আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আশানুরপ রাখতে সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা ইতিমধ্যে বিভিন্ন চিন্তাভাবনা শুরু করে দিয়েছি। আশা করি অচিরেই এর প্রতিফলন ঘটাতে পারব। আপনারা আমাদেরকে সহযোগিতা করুন আমরা আপনাদের কে সহযোগিতা করব । আর মাদকের ব্যাপারে আমি জিরো টলারেন্স ঘোষণা করতে চাই । এর কোন ছাড় নেই । আমি সাংবাদিকদের মাধ্যমে সবাইকে জানিয়ে দিতে চাই অপরাধ যা হওয়ার হয়েছে, এরপর যদি অপরাধ চলে তাহলে আইন অনুযায়ী শক্ত হাতে দমন করা হবে। তিনি আরো বলেন, সবার সাথে আমি আলোচনা করতে চাই সবার সহযোগিতা পেলে আমরা আমাদের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো——।

পরিশেষে সভাপতি এএসএম ইয়াহিয়া খানের সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে মতবিনিময় সভায় সমাপ্তি ঘটে।