অবশেষ আন্দোলনের সুফল পেলেন নবীগঞ্জের দুটি চা বাগানের শ্রমিকরা

0
185

নূরুজ্জামান ফারুকী,বিশেষ প্রতিনিধি: নবীগঞ্জ উপজেলায় ১ মাস ৪ দিন কর্মবিরতির পর মন্ত্রিপরিষদের হস্তক্ষেপে চা শ্রমিকদের ৪২ দিনের মুজুরী ও ২০১৯-২০ সালের এরিয়ার বকেয়া অর্থ ও বোনাসের ৫২ লাখ টাকা পরিশোধ করেছে মালিকপক্ষ।
শুক্রবার (২৫ আগষ্ট) বিকেলে ইমাম ও বাওয়ানী চা বাগানের অফিসকক্ষে জেলা প্রশাসক রাজস্ব রফিকুল আলম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট প্রিয়াংকা পালের উপস্থিতিতে শ্রমিকদের মাঝে বকেয়া মুজুরী ও বকেয়া এরিয়া অর্থ-বোনাস বিতরণ করা হয়। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান শাহরীয়ার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীন দেলোয়ারসহ শ্রম অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, চা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এতে ইমাম ও বাওয়ানী চা বাগানের ৩৬০ জন শ্রমিকের ৬ সাপ্তাহের বকেয়া মুজুরী ও ২০১৯-২০ সালের এরিয়া অর্থ ও বোনাস বাবদ মধ্যে প্রত্যেক শ্রমিককে ১৪ হাজার ৪৫০ টাকা করে দেয়া হয়েছে।
গত ২১ জুলাই থেকে ইমাম ও বাওয়ানী চা বাগানের ২০১৯-২০ ও ২০২১-২২ অর্থ বছরের বকেয়া মজুরি/এরিয়ার অর্থ, এরিয়া বোনাস ও শ্রমিক ভবিষ্যত তহবিলের প্রায় দেড় কোটি টাকা পরিশোধের দাবীতে কর্মবিরতি শুরু করে। গত (২২ আগস্ট) ইমাম ও বাওয়ানী চা বাগানের সংকট সমাধানে মালিকপককে নিয়ে সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
এতে পর্যায়ক্রমে কিস্তি আকারে শ্রমিকদের টাকা পরিশোধের সিদ্ধান্ত হয়। বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরা বলেন-দীর্ঘ আন্দোলনের পর মন্ত্রিপরিষদের হস্তক্ষেপে শ্রমিকদের ৬ সাপ্তাহের মজুরী ও ২০১৯-২০ সালের এরিয়ার বকেয়া অর্থ-বোনাসের টাকা দেয়া হয়েছে। শ্রমিকরা খুব দ্রুত কাজে ফিরে যাবেন।
তিনি- চা শ্রমিকদের আন্দোলনে গণমাধ্যমকর্মীদের পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব রফিকুল আলম বলেন- ইমাম ও বাওয়ানী চা বাগানের মালিকপক্ষের সঙ্গে সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক চা শ্রমিকদের ৪২ দিনের মুজুরি ও ২০১৯-২০ সালের এরিয়ার বকেয়া অর্থ-বোনাস বাবদ ৫২ লাখ টাকা আজকে বন্টন করে দেয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে তাদের সকল টাকা পরিশোধ করা হবে।