এখন আমি অনেক সতর্কঃপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

    0
    196

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১০ফেব্রুয়ারীঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে অতীতের চেয়ে এখন ‘অনেক সতর্ক’ তিনি।

    বুধবার সকালে রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ ও জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (এনএসটি) ফেলোশিপ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণায় গবেষকদের মাঝে বিশেষ অনুদানের চেক বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

    শেখ হাসিনা বলেন, “আমার অভিজ্ঞতা আছে, এভাবে কাজ করে গেলেও পরে যদি সরকার পরিবর্তন হয় এবং সে সরকার যদি তাদের দেশপ্রেম না থাকে, দেশের মানুষের প্রতি যদি তাদের কোনো দায়িত্ববোধ না থাকে… তাহলে যে কোনো সময় যে কোনো কিছু বন্ধ করে দিতে পারে। এখন আমি অনেক সতর্ক।“

    শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে জানান, ১৯৯৬ সালে তার সরকার ক্ষমতায় আসার পর ‘অনেক মেধাবীকে’ গবেষণার জন্য বিদেশে পাঠিয়েছিল। কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় এসে ‘অনেকের গবেষণার মাঝপথে’ তা বাতিল করে দেয়।

    পদ্মাসেতু বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ একটা টার্নিং পয়েন্ট। সবাই দেখেছে, বাংলাদেশও নিজেদের অর্থায়নে বড় কাজ করতে পারে।

    বিগত সময়ে রাজনৈতিক সহিংসতার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা চাই, বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হোক। এখানে জ্বালাও-পোড়াও ধ্বংস দেখতে চাই না। সংঘাত নয়, শান্তি এটাই আমাদের লক্ষ্য।

    দেশের উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নে বিশেষায়িত জ্ঞানের বিকল্প নেই বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশেষায়িত জ্ঞানের যথার্থ ব্যবহার এবং সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের ছেলে-মেয়েরা অনেক মেধাবী, আমাদের চেয়েও বেশি মেধাবী। তারা এই যুগের ডিজিটাল বাচ্চা হিসেবে বড় হচ্ছে।

    শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আজকের যারা শিশু তারাই আগামী দিনে কর্ণধার হবে। আর সেটা হতে হবে আরো বেশি শিক্ষিত হয়ে, জ্ঞান অর্জন করে। জ্ঞান-বিজ্ঞান ছাড়া, শিক্ষিত জাতি ছাড়া এদেশ কোনো দিন উন্নত হবে না। তাই অন্য কোনো দিকে মন না দিয়ে সবার আগে লেখাপড়া এবং এরপর জ্ঞান-বিজ্ঞান, খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চার দিকে শিক্ষার্থীদের মন দেয়ার আহ্বানও জানান প্রধানমন্ত্রী।

    বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ‘বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ অন সায়েন্স অ্যান্ড আইসিটি’ প্রকল্প থেকে এসব ফেলোশিপ ও অনুদান দেয়া হয়।

    প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে জানান, এ প্রকল্পের আওতায় বিদেশে ৫০ জন এমএস, ৬০ জন পিএইচডি, দেশে ১০০ জন পিএইচডি এবং ১১ জন পিএইচডি উত্তর গবেষণা ফেলোশিপ পেয়েছেন। ইতোমধ্যে বিদেশে ৩৭ জন এমএস, ৩০ জন পিএইচডি এবং দেশে ৩৮ জন পিএইচডি ও ৮ জন পিএইচডি উত্তর কোর্সে গবেষণা কার্যক্রম শেষ করেছেন।

    সবাইকে নৈতিক চেতনাবোধ জাগ্রত করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা জ্ঞানের সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছেছেন অথবা পৌঁছাবেন তাদের বিশেষজ্ঞ জ্ঞানের সঙ্গে নৈতিক চেতনাবোধ থাকা চাই। একই সঙ্গে আপনাদের ইতিহাস জানতে হবে, সমকালীন ঘটনাগুলোতে জানতে হবে।

    বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আফম রুহুল হক। স্বাগত বক্তব্য দেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব সিরাজুল হক খান।সুত্র ইরনা