এডিসি হারুন অর রশিদের সাথে এডিসি সানজিদার বর্ণনায় সেই রাতের আসল ঘটনা ?

0
202

আমার সিলেট ডেস্ক: সম্প্রতি দেশজুড়ে আলোচিত ও সমালোচিত ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় দুই নেতাকে বেধড়রক মারধরের ঘটনায় পুলিশের এডিসি হারুন অর রশিদকে বরখাস্ত করা হয়েছে। কিন্তু কি ঘটেছিল সেই রাতে তা ভালো করে খোলাসা হয়নি। এমনকি সেই ঘটনায় শোনা যাচ্ছে এক নারী পুলিশ কর্মকর্তারও নাম। কিন্তু কেন এবং কিসের কারণে ওই নারী কর্মকর্তার নাম আসছে তা হয়তো খুব দ্রুতই ক্লিয়ার হবে।

এদিকে ওই রাতে আসলে কি হয়েছিল, সে বিষয়ে সেই নারী পুলিশ কর্মকর্তা (উপ-পুলিশ কমিশনার) সানজিদা আফরিন নিপা নিজেই গণমাধ্যমে ঘটনার বর্ণনা করেছেন।

এডিসি সানজিদা আফরিন নিপা বলেন, ‘আমার কয়েক মাস ধরে কার্ডিয়াক সমস্যা হচ্ছিল, এই সমস্যা আমার ২০১৯ সাল থেকে। কিন্তু ডাক্তার দেখানোর সময় পাচ্ছিলাম না। সেদিন অবসর সময় থাকায় এডিসি হারুন স্যারকে ফোন করে ইব্রাহিম কার্ডিয়াকে ডাক্তারের সিরিয়াল ও এর ব্যবস্থা করে দিতে বলি। পরে তিনি ওসিকে দিয়ে একজন চিকিৎসকের সিরিয়াল ব্যবস্থা করে দেন। সেই অনুযায়ী সন্ধ্যা ৬টার পর হাসপাতালে যাই। গিয়ে দেখি যে চিকিৎসককে ম্যানেজ করা হয়েছে, তিনি কনফারেন্সে আছেন। এ বিষয় হারুন স্যারকে জানালে তিনি কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানে আসেন এবং একজন ডাক্তার ম্যানেজ করে দেন।’

সানজিদা আফরিন বলেন, ‘ডাক্তার দেখানোর পর আমকে বেশ কিছু টেস্ট করতে বলেন। ইকো, ইসিজি টেস্ট করে আমি ইটিটি রুমে যাই। সেখানে পরীক্ষা করাতে আমার ২০ থেকে ২৫ মিনিট সময় লাগে। হঠাৎ করে ইটিটি রুমের বাইরে হট্টোগোল শুনতে পাই। এ সময় আমার স্বামীর কথা শুনতে পাই। পরে কয়েকজন মিলে এডিসি হারুন স্যারকে মারতে মারতে ইটিটি রুমে নিয়ে আসে। সেখানে বেশ কয়েকজন ছেলে ছিল। আমি তাদের কাউকে চিনি না।’

উপ-পুলিশ কমিশনার এই নারী কর্মকর্তা বলেন, ‘যখন স্যারকে তারা মারছিলেন তখন আমি ইটিটি রুমে টেস্ট করার পোশাকে ছিলাম। স্বাভাবিক অস্থায় পোশাকটা খুব শালীন অবস্থায় ছিল না। এর মধ্যে আমার স্বামী ওই ছেলেগুলোকে বলে ওদের ভিডিও কর। একটা ছেলে যখন ভিডিও করছিল তখন আমি বুঝতে পারি তাদের কোনো অসৎ উদ্দেশ্য আছে। তাই আমি ওই ছেলের মোবাইল ফোন নিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করি। এ সময় আমার শরীরে আমার স্বামী বেশ কয়েকবার হাত তুলে।

উপ-পুলিশ কমিশনার এই নারী কর্মকর্তা বলেন, ‘যখন স্যারকে তারা মারছিলেন তখন আমি ইটিটি রুমে টেস্ট করার পোশাকে ছিলাম। স্বাভাবিক অস্থায় পোশাকটা খুব শালীন অবস্থায় ছিল না। এর মধ্যে আমার স্বামী ওই ছেলেগুলোকে বলে ওদের ভিডিও কর। একটা ছেলে যখন ভিডিও করছিল তখন আমি বুঝতে পারি তাদের কোনো অসৎ উদ্দেশ্য আছে। তাই আমি ওই ছেলের মোবাইল ফোন নিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করি। এ সময় আমার শরীরে আমার স্বামী বেশ কয়েকবার হাত তোলে।’

সানজিদা বলেন, ‘হারুন স্যারকে যখন তারা মারছিল। স্যার তাদের হাত থেকে বাঁচতে ভেতরে অবস্থান করে। স্যারকে বার বার বলছিল বাইরে বের হতে। স্যার তখন বলে আমি বের হলে তো আপনারা আমাকে মেরে ফেলবেন। পরে স্যার কল দেওয়ার পর ১০-১৫ মিনিট পর থানা থেকে ফোর্স আসে এবং পরে তারা নিচে চলে যায়।’

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া পরকীয়ার সম্পর্কের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘উনি (হারুন) আমার সিনিয়র কলিগ। এর বাইরে আর কোনো বিষয় নেই। এই ঘটনার পর স্বামীর সঙ্গে আমার আর কোনো কথা হয়নি। আমি আমার অফিসেই আছি।’