এবছর বাজেটে যুক্ত হবে কঠিন স্বপ্নবিলাসীঃঅর্থমন্ত্রী

    0
    364

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২মার্চঃ আগামী ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেট তৈরির কাজে হাত দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। আগেই তিনি জানিয়েছেন, আগামী বাজেটের সম্ভাব্য আকার হবে ৩ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা।আসন্ন বাজেটের আকার প্রসঙ্গে মন্ত্রীর ভাষ্য-‘আমিতো বরাবরই উচ্চাভিলাষী বাজেট দেই। সবাইতো এমন কথাই বলে। এবারও এর ব্যতিক্রম হবে না। আমার উপস্থাপিত বাজেট হবে অবশ্যই উচ্চাভিলাষী। তবে এবছর এর সঙ্গে যুক্ত হবে স্বপ্নবিলাসী। কঠিন স্বপ্নবিলাসী।’

    অর্থমন্ত্রী মুহিত ইতিমধ্যেই বাজেট সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে প্রাক বাজেট বৈঠকও শুরু করেছেন, চলবে এপ্রিলের শেষ নাগাদ। অর্থমন্ত্রী হিসেবে আগামী বাজেট উপস্থাপনা হবে মুহিতের ১০ম বাজেট উপস্থাপন।স্বাধীন বাংলাদেশে তিনিই প্রথম অর্থমন্ত্রী,যিনি টানা ৮ম বারের মতো বাজেট উপস্থাপন করছেন।

    আবুল মাল আবদুল মুহিত এরশাদ সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসেবেও দুবছর দুটি বাজেট উপস্থাপন করেছিলেন।

    এবারের বাজেট প্রসঙ্গে ইবাইস বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক ড: আরিফুর রহমান রেডিও তেহরানকে বলেন, বাজেটে জনসেবা খাতে বরাদ্ধ যদি যথাযথভাবে খরচ করা না যায় তাহলে প্রাইভেট খাতে বিনিয়োগ ব্যহত হবে।

    এ প্রসঙ্গে অর্থনীতির ছাত্র এবং বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফূল হক বলেন, অর্থমন্ত্রীর স্বপ্নবিলাসীতায় কোন আপত্তি নেই যদি সে স্বপ্ন বাস্তবায়নের মতা উপযুক্ত পরিবেশ ও কার্যকর ব্যবস্থা থাকে।

    সাইফুল হক দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের কথা উল্লেখ করে বলেন, একটি সুস্থ ধারার রাজনীতি, জনগণের আস্থাভাজন রাজনৈতিক ব্যবস্থা এবং আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা না থাকলে দেশে কোনো টেকসই উন্নয়ন আশা করা যায় না।

    আগামী বাজেট প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বর্তমান সরকারের কিছু মেগা প্রকল্প রয়েছে।এ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন এ সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ। এবারের বাজেটে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে অর্থ বরাদ্দ অগ্রাধিকার পাবে।

    জানা গেছে, এ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে সামনে রেখে উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনে একটি রূপরেখা তৈরি করেছেন অর্থমন্ত্রী।এই রূপরেখায় বিনিয়োগের মাধ্যমে মূলধন মজুত বৃদ্ধি,সরকারি বিনিয়োগে বিদ্যুৎ, জ্বালানি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য পরিবহন, যোগাযোগ, বন্দর উন্নয়ন, ও আইসিটি খাতকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে।

    এ ছাড়া,বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর পূর্ণ বাস্তবায়ন, পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) কার্যক্রমের গতিশীল আনয়ন, অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা, ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগে প্রতিবন্ধকতা দূর করা, শ্রমশক্তির দক্ষ উন্নয়ন, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নারীর অংশগ্রহণ, বহির্বাজার সম্প্রসারণ, গ্রামীণ অর্থনীতি সচল রাখা, অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহের কথাও এবারের বাজেটে থাকছে। সুত্রঃআইআরআইবি