কোম্পানীগঞ্জে যুবলীগ নেতার পরিবারকে শান্তনাঃখুনিদের ফাসির দাবী

    0
    202

    আমারসিলেট24ডটকম,অক্টোবরঃ সিলেট কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগ নেতা আব্দুল আলী সন্ত্রাসীর গুলিতে নিহত হওয়ায় তার মা ও পরিবারকে দেখতে গতকাল সোমবার বিকাল ৩ ঘটিকার সময় কোম্পানীগঞ্জ গ্রামে যান কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজসহ জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দ। যুবলীগ নেতা আব্দুল আলীর মৃত্যুর খবর শোনে উপজেলায় শোকের ছায়া নেমে আসে। যুবলীগ নেতা আব্দুল আলীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ ও পরিবারকে শান্তনা দিতে নেতৃবৃন্দ আব্দুল আলীর বাড়ীতে যান। এসময় আব্দুল আলী’র মা, স্ত্রী ও পরিবারকে শান্তনা দেন এবং যেকোন দলের হোক প্রকৃত খুনিকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেন কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিসাবহ উদ্দিন সিরাজ। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলী দুলাল, ইশতিয়াক আহমদ চৌধুরী, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলী আমজদ, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির মছব্বির, কোম্পানীগঞ্জ থানার ইনচার্জ দেলোয়ার হোসেন, পশ্চিম ইসলামপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল আলী, যুবলীগের আহবায়ক ইকবাল হোসেন, যুগ্ম আহবায়ক শাহ আলম, মরহুম আব্দুল আলীর ভাই যুবলীগ নেতা আব্দুল হক ও উপজেলা আইন শৃঙ্খলার উধ্বর্তন কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।

    আব্দুল আলীর খুনের জড়িত ব্যাক্তিদেরকে দ্রুত গ্রেফতার ও গ্রেফতারকৃত নেতৃবৃন্দের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও বাকী ব্যাক্তিগণকে দ্রুত গ্রেফতার করতে থানার অফিসার ইনচার্জসহ পুলিশের উধ্বর্তন কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন উপস্থিত নেতৃবৃন্দ।

    এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ বলেন, আমি পিপি হিসাবে আব্দুল আলী’র খুনের মামলার ব্যায়পারে যতটুকু আইনগত সহযোগিতা প্রয়োজন আমি তা করে যাবো।

    আব্দুল আলী’র ভাই আব্দুল হক দাবী করে বলেন, আমার ভাইকে মারার জন্য বেশকিছুদিন ধরে সিলেটসহ উপজেলায় দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে। কিন্তু আমার ভাই এসব’র দিকে খেয়াল না করে তিনি তার সরলমনে ব্যবসা বাণিজ্য নিয়ে চলাচল করে আসছিলেন। কিন্তু আমার ভাইকে খুনের ঘটনায় জেলা ও উপজেলার অনেক সিনিয়র নেতৃবৃন্দ জড়িত রয়েছেন। এদেরকে খুজে বের করে ও গ্রেফতারকৃত খুনিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করিলে তা সত্যতা পাওয়া যাবে।

    আব্দুল আলীর মা, স্ত্রী ও সন্তানরা মিসবাহ উদ্দিন সিরাজকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। ছেলে/মেয়েরা দাবী রাখেন, আমার বাবাকে যারা হত্যা করেছে ও খুনের মদদদাতাদেরকে গ্রেফতার করে ও গ্রেফতার কৃত খুনিদের কে দ্রুত ফাসির কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জোরদাবী জানান।

    আব্দুল আলী’র স্ত্রী হালিমা বেগম বলেন, তার স্বামী একজন পাথর ব্যবসায়ী। পাথর ব্যবসা ছাড়াও তিনি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে জড়িত ছিলেন। কোয়ারী থেকে পাথর উত্তোলনে, এলাকায় প্রভাব বিস্তার ও নেতৃত্ব নিয়ে তেলিখাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী আব্দুল ওয়াদুদ আলফু মিয়ার সাথে তার বিরোধ সৃষ্টি হয়। এই বিরোধের জের ধরে আব্দুল আলীকে খুনের পরিকল্পনা করতে কিছুদিন আগে কোম্পানীগঞ্জের পাড়–য়া গ্রামে বহুল আলোচিত পাথর খেকো সন্ত্রাসী শামীম, রফিক, আব্দুল ওয়াদুদ আলফু মিয়া, আকদ্দছ আলী, আলী হোসেন, বর্ণি গ্রামের এডভোকেট হাবিবুর রহমান ভুট্টু, শামীমের সার্বক্ষনিক সঙ্গী সফিক মেম্বার, এডভোকেট মাহফুজুর রহমান, এডভোকেট আজমল হোসেনসহ আরও অজ্ঞাত সিলেটের বিভিন্ন হোটেলে ও উপজেলায় বৈঠক করেন। যোগসাজশে ও পরামর্শে আমার স্বামীকে খুন করা হয়েছে। আমার স্বামীর খুনিদের ফাসি চাই।