জৈন্তাপুর সিলেট প্রতিনিধিঃ সিলেটের গোয়াইনঘাটে চাঞ্চল্যকর নির্মল হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন হয়েছে। হত্যা মামলায় স্বীকারোক্তি প্রদানকারী নারী কনিকা বিশ্বাসের সাথে নিহত নির্মল বিশ্বাসের দীর্ঘ দিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরবর্তীতে আসামি কার্তিকের সাথে কনিকার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠলে নির্মল বিশ্বাস বাধা হয়ে দাঁড়ান। এ জন্যই নির্মল বিশ্বাসকে হত্যা করা হয়।
সিলেট জেলা পুলিশের মিডিয়া অফিসার মো. আনিছুর রহমান খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এই হত্যা মামলার অন্যতম আসামি রবিন পাত্রকেও গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মামলার আলামত মটর সাইকেল গোলাপগঞ্জ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত ৫জনকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ।
এ ঘটনা করা মামলায় জড়িত সন্ধিগ্ধ আসামি কার্তিক দাস, লিটন বিশ্বাস, সুবল দেব নাথ, কনিকা বিশ্বাস নামীয় আসামিদের গ্রেপ্তার করে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ ২১জুলাই গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের আদালতে সোপর্দ করে। তাদের মধ্যে জড়িত আসামি কনিকা বিশ্বাস হত্যাকান্ডে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে এবং ২১জুলাই সিলেটের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৫ম আদালতে বিচারক নওরিন করিমের সামনে ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে। তারদেয়া তথ্য মতে গোয়াইনঘাট সার্কেলের এ.এস.পি নজরুল ইসলাম, থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল জলিল, অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) হিল্লোল রায় এবং তদন্ত কর্মকর্তা এস.আই মো. জুনেদ আহমদ সঙ্গীয় ফোর্স সহ জাফলং এবং সিলেটের বিভিন্ন স্থানে পৃথক পৃথক অভিযান পরিচালান করেন।সোমবার ২২জুলাই বিকেলে প্রধান আসামি রবিন পাত্রকে জাফলং এলাকা হতে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। পরে তার দেওয়া স্বীকারোক্তিতে নিহত নির্মল বিশ্বাসের ব্যবহৃত মটর সাইকেল গোলাপগঞ্জ থানা এলাকা হতে উদ্ধারে সক্ষম হয় গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ।
এর আগে বৃহস্পতিবার ১৮ জুলাই বিকেলে জাফলং চা-বাগানের উত্তর দিকে নকশিয়ারপুঞ্জি আমেরতল এলাকা হতে নির্মল বিশ্বাসের লাশ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় গোয়াইনঘাট থানায় নিহত নির্মল বিশ্বাসের বাবা নিখিল বিশ্বাস বাদী হয়ে গোয়াইনঘাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-২২, তারিখ- ২০জুলাই ২০১৯ইং। মামলা রেকর্ডের পর ঘটনার রহস্য উদঘাটনে তৎপর হয়ে উঠে থানা পুলিশ।
এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুল জলিল বলেন, নির্মল হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত মূল অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছি। পুলিশের একাধিক টিম ঘটনার তদন্ত করায় মূল অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার সম্ভব হয়। এ ঘটনায় আলামত মোটর সাইকেলও উদ্ধার করা হয়েছে।
