আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২২নভেম্বর,চুনারুঘাট প্রতিনিধিঃ চুনারুঘাটের বেগমখান চা বাগানে নির্যাতিত টিউবওয়েল মেস্তুরী নজির অবশেষে সিলেট রাগিব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। লাশ পুলিশ উদ্ধার করে হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করেছে।
এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। মামলার বিবরণে জানা যায়, চুনারুঘাট পৌর শহরের নয়ানী গ্রামের মৃত রজব আলীর ছেলে টিউবওয়েল মেস্তুরী মোঃ নজির মিয়া (৪৫) গত ১৩ নভেম্বর সকাল ৫টার দিকে প্রতিদিনের ন্যায় বেগমখান চা বাগানে টিউবওয়েল বসানোর কাজে গেলে পূর্ব শত্র“তার জের হিসেবে বাগানের নাচঘরের সামনে যাওয়া মাত্রই শশি মুদির ছেলে শ্যামল মুদি, ডকা বাগতীর ছেলে লক্ষীচরন বাগতী, মকন্ড কর্মকারের ছেলে চন্দ্র কর্মকার, বেগম চা বাগানের সহকারী ম্যানেজার অরুন চাকমা, হেড টিলা বাবু স্বপন বাবুসহ একদল সশস্ত্র দুর্বৃত্ত নজির মিয়ার গতিরোধ করে কিছু বুঝে উঠার আগেই রামদা, লোহার রডসহ দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র দিয়ে নজিরকে এলোপাতারী হামলা চালায়। এ সময় তার ডান হাত ভেঙ্গে যায় এবং মাতা তেথলে যায়।
গুরুতর আহত আবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে নজিরকে প্রথমে চুনারুঘাট হাসপাতালে পরে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। পরে নজিরের অবস্থার অবনতি ঘটলে ২১ নভেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাগিব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাত সাড়ে ১১টায় মারা যায়।
ঘটনার পর ১৯ নভেম্বর সুজন মিয়া বাদী হয়ে হবিগঞ্জ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শ্যামল মুদিসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। গতকাল বুধবার চুনারুঘাট থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করেছে।
