চুনারুঘাটে মাজারের খাদেমের ঘর ভাংচুরে মামলা

    0
    321

    আমার সিলেট টুয়েন্টি ফোর ডটকম,২২মে,চুনারুঘাট প্রতিনিধিঃ চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ইউনিয়নের মুছিকান্দি গ্রামের ১শত বৎসরের ঐতিহ্যবাহী শাহ্ মাদার মাজারের খাদেম মোঃ আব্দুল কদ্দুছ মিয়া দীর্ঘদিন যাবৎ ধরে উক্ত দরবার শরীফে মোতায়াল্লী হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। জানা যায়, গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মুছিকান্দি পড়াঝার এলাকায় শাহ্ মাদার মাজার দরবার শরীফে এ ঘটনাটি ঘটে। পূর্ব বিরোধের জেরধরে আদমপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মতিনের পুত্র মোঃ আব্দুল কদ্দুছ মিয়ার সাথে পূর্ব বিরোধের জেরধরে মাজারকে কেন্দ্র করে ওই এলাকার মুছিকান্দি গ্রামের মৃত চান মিয়ার পুত্র সাবেক মেম্বার মানিক মিয়াসহ একদল দুর্বৃত্তরা পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে খাদেম আব্দুল কদ্দুছের সাথে এক পর্যায় কথাকাটাকাটি হলে। এ সময় খাদেম এর ছেলে হাবিবুর রহমান কনষ্টেবল প্রতিবাদ করিলে উত্তেজিত হয়ে মানিক মিয়া ও তার সহযোগীরা হাবিবুর রহমানকে বেধরক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।

    পরে কনষ্টেবল হাবিবুর রহমানকে গুরুতর আহত অবস্থায় চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে উক্ত মাজার খাদেমের বসত ঘর টিন সেড দা দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে পালিয়ে যায়। ও মাজারের দান বাক্স ভাংচুর, বাউন্ডারীর বাঁশের বেড়া ভাংচুর করাসহ প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধন হয়। এ ব্যাপারে আব্দুল কদ্দুছ বাদী হয়ে চুনারুঘাট থানায় ৮জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলার এজাহারভুক্ত আসামীরা হলেন মৃত চান মিয়ার পুত্র মানিক মিয়া, ডালিম মিয়া, বিলাল মিয়া, জালাল মিয়া, ফয়েজ মিয়া, ফয়সল মিয়া, শাহ্ আলম, মোঃ আব্দুল মালেক মিয়া, সর্ব সাং- পূর্ব পড়াঝার, মুছিকান্দি গ্রামের। চুনারুঘাট থানার মামলা নং-২৮।

    বিষয়টি এলাকায় জানা জানি হলে স্থানীয় গ্রামবাসীরা ঘটনার সাথে সাথে চুনারুঘাট থানা পুলিশকে খবর দিলে চুনারুঘাট থানার এস আই সুমনুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ভাংচুর ও লুটপাট ক্ষতিসাধনের ঘটনাটি সত্যতা নিশ্চিত করেন। এ ব্যাপারে চুনারুঘাট থানার ওসি কে. এম. আজমিরুজ্জামান অপরাধীদেরকে গ্রেফতারের জন্য ব্যবস্থা নিবেন বলে তিনি জানান। উল্লেখ্য যে, আব্দুল কদ্দুছের পুত্র কনষ্টেবল হাবিবুর রহমান সিলেট বিশ্বনাথ থানার কর্মরত কনষ্টেবল। সেখান থেকে বাড়ীতে ছুটিতে এসে বাবার সাথে দেখা করতে গত রবিবার সন্ধ্যার দিকে পড়াঝার শাহ্ মাদার নামক স্থানে এ ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার পর থেকে হামলাকারী ও মামলার আসামীরা আত্মগোপন করে পালিয়ে।

    জৈন্তাপুরে ক্ষতিগ্রস্থ বাউরীটিলাবাসীর বিশাল মানব বন্ধন

    বাউরীটিলার ভূমি ফেরত না দিলে কঠোর কর্মসূচী

    মোঃ রেজওয়ান করিম সাব্বির, জৈন্তাপুর (সিলেট) প্রতিনিধি-

    ১৯৪২ সাল হতে ভোগ দখলীয় বাউরীটিলা ভূমিতে হতে উচ্ছেদের নামে লালাখাল চা-বাগান কর্তৃক বাগন ক্ষতিসাধন এবং দখল না ছাড়ার দাবীতে ক্ষতিগ্রস্থ ৪৩ পরিবারে মানব বন্ধন পালন করেছে।

    গতকাল ২২ মে সোমবার দুপুর ১২টায় জৈন্তাপুর উপজেলার চারিকাটা ইউনিয়নের চতুল উত্তর বাজারে বিশাল মানব বন্ধন পালন করে। ক্ষতিগ্রস্থ বাউরীটিলাবাসীর আয়োজনে বীর মুক্তিযোদ্ধা দেবেশ রঞ্জন কর এর সভাপতিত্বে ও ছাত্রলীগ নেতা সুলতান আহমদের পরিচালনায় মানব বন্ধনে বক্তব্য রাখেন- চারিকাটা ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি মনির আহমদ, ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগের নেতা জাকারিয়া আহমদ, ইউপি সদস্য বাউরী টিলা আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক হাজির আলী, সমাজসেবী আলতাফ হোসেন বেলাল, মামুন আহমদ, জামাল উদ্দিন, অলিউর রহমান অলি, আব্দুস সালাম, শওকত আলী, মাহমুদ আলী, শামীম আহমদ, আলম মিয়া, সূর্যমনি প্রমুখ। “ভূমি খেকু লালাখাল চা-বাগান কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে মারলে ও মারিলেও তারপরও আমাদের পূর্ব-পূরুষের দখলীয় জমি বাউরীটিলা আমাদেরকে দাও” “লালাখাল চা-বাগানের হয়রানী হতে আমরা বাঁচতে চাই, জান দেব তবুও বাউরীটিলা ছাড়ব না” “লালাখাল চা-বাগানের দৌরাত্ব হতে আমরা বাঁচতে চাই” শ্লোগানে মানব বন্ধন পালন করে। মানব বন্ধন চলাকালে বক্তারা বলেন- ১৯৪২ সন হতে তারা বাউরীটিলা ভোগ দখল করে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করে আসছি। সম্প্রতি ২০১৬সনে লালাখাল চা বাগান কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদের নামে পেশী শক্তির জোরে প্রায় ২কোটি টাকার ফলজ বনজ ও কৃষিজ ফসল ধ্বংস যজ্ঞ চালিয়ে বিনষ্ট করে। এনিয়ে বহু জাতীয় স্থানীয় পত্রিকা সহ ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। শান্তিপ্রিয় বাউরীটিলাবাসী পেশি শক্তি এবং মামলা হামলার ভয়ে মুখোমুখি হয়নি। মানব বন্ধনকারীরা দাবী করেন- লালাখাল চা-বাগান কর্তৃপক্ষ সরকারে নিকট হতে ১৩১৭.৩৪ পয়েন্ট ভূমি বন্দবস্ত গ্রহন করে তারা অবৈধ ভাবে প্রায় ২ হাজারের অধিক একর ভূমি দখল নিয়েছে। এছাড়া ৪৯, ৫২, ৫১নং জে.এল এর প্রায় ১৫শত একর ভুমি সহ বিরুধপূর্ণ ৫৫নং জে এল এর ১৫০একর ভূমির মধ্যে ১৩৫একর ভূমি বন্দোবস্থ গ্রহন করে। সরকারকে তথ্য গোপন করে ৫০নং জে এল এর ৭শত একর ভূমি বিনা বন্দোবস্তে নিয়ে তারা অবৈধ ভাবে দখলে রাখে এবং রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। বিধি মোতাবেক বাগান কর্তৃপক্ষ ১সনা রাজস্ব পরিশোধ করবে এছাড়া প্রাকৃতিক দূযোগে কিংবা অন্য কোন কারনে বাগানের ক্ষতি সাধিত হলে, সে ক্ষেত্রে ২বৎসর পর্যন্ত এক সাথে রাজস্ব পরিশোধ করতে পারবে। লালাখাল চা-বাগান কর্র্তৃপক্ষ বছরের পর বছর সরকারের রাজস্ব ৩২লক্ষ ৬৭হাজার টাকা পরিশোধ না করে কিভাবে আমাদেরকে উচ্ছেদ করে? আমাদের দাবী বাগান কর্তৃপক্ষ আমাদের যে অপুরনীয় ক্ষতি সাধন করেছে তা অভিলম্বে পরিশোধ এবং আমোদের উপর নির্যাতন হুমকী ধকমী বন্ধ করতে হবে। অন্যথায় আমাদের পূর্ব-পূরুষ হতে দখলীয় বাউরীটিলার এক ইি  ভূমি কোন অবস্থায় দখল ছাড়ব না। এছাড়া সরকার আমাদের মধ্যে বাউরীটিলার ভূমি ফেরত না দেয় তা হলে সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক অবরোধ সহ জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিস, সহকারী কমিশনার(ভূমি) অফিস ঘোরাও সহ কঠোর কর্মসূচী দিতে বাধ্য হবে বলে জানান ৪৩ পরিবারের আন্দোলন কারীরা।