আমার সিলেট টুয়েন্টি ফোর ডটকম,০৯অক্টোবর,চান মিয়া, ছাতকঃছাতকের সিংচাপইড় গ্রামে একটি ঘরের মধ্যে মানব হাতাকৃতির ছত্রাককে গায়েবী হাত বলে গুজব ছড়িয়ে গত ৩দিন থেকে উপজেলা জুড়ে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়। শুক্রবার গৃহকর্তা আব্দুল হান্নানের স্ত্রী জয়ফুল লুকিয়ে রাখা ছত্রাকটি জনসমক্ষে প্রকাশ করলে রোববার পর্যন্ত সর্বত্র এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠে। মানব হাতের আকৃতি থাকায় ছত্রাকের উপর হাজার হাজার টাকা দান করে লোকজন। এখানে শুরু হতে থাকে ধর্মীয় নামে ভন্ডামী। পরে জাউয়া পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বিষাক্ত ছত্রাককে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেন।
জানা যায়, আব্দুল হান্নানের বসত ঘরে একটি বাঁশের পালার গুড়ায় ৩/৪মাস পূর্ব থেকে একটি ছত্রাকের জন্ম নেয়। ধীরে ধীরে বিষাক্ত ছত্রাকটি ডাল-পালা দিয়ে মানব হাতাকৃতি ধারণ করলে তার স্ত্রী জয়ফুল গায়েবী হাতের জন্ম হয়েছে বলে এটিকে ঢেকে রাখে। শুক্রবার তার ঘরে গায়েবী হাতের জন্ম হয়েছে বলে এলাকায় প্রচার করলে সিংচাপইড় ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান বদরুল হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন সাহেলকে বিষয়টি জনান।
সকাল থেকে দর্শনার্থীরা এসে কথিত গায়েবী হাতের উপর হাজার হাজার টাকা দান করেন। পরে চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে এসে ছাতক উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুজ্জামানকে জানালে তিনি উপজেলা কৃষি অফিসের আসিফ হোসেন ও আনিছুর রহমানসহ ৩জনকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের নির্দেশ দেন। এতে তারা এলাকা পরিদর্শন করে একটি লিখিত রিপোর্টে বলেন, এটি বন্য জাতীয় ক্ষতিকর ছত্রাক।
এটিকে পূঁজি করে ধর্মীয় কোন অপপ্রচার ও ভন্ডামী করার কোন অবকাশ নেই। কথিত গায়েবী হাত নয় এটি বিষাক্ত ছত্রাক বলে এলাকাবাসীকে আশ্বস্ত করেন তারা। এরআগে জাউয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রর এসআই শফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ছত্রাক টি ভেঙ্গে দেন।
এব্যাপারে নির্বাহী অফিসার আরিফুজ্জামান ও ইউপি চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন সাহেল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। বিষয়টি দিনভর এলাকায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোর ঝড় তুলে।