জিয়াই ইনডেননিটি অধ্যাদেশে হত্যার বিচারের পথকে রুদ্ধ করে খুনিদের পুরস্কৃত করেছে!

0
114

“শত্রু বাইরে থেকে আসা লাগে না, দেশের ভেতরেই আছে,বিসিএস কর্মকর্তাদের সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী”

আমার সিলেট ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রশাসনের নবীন বিসিএস কর্মকর্তাদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের মানুষের জন্য কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, আপনারাই (নতুন বিসিএস কর্মকর্তা) ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার মূল সৈনিক। আপনাদের সজাগ থাকতে হবে যাতে দেশের প্রতিটি উন্নয়ন অব্যাহত ও টেকসই হয়, যার জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে হবে। দিনরাত পরিশ্রম করে আজকে বাংলাদেশটাকে যে জায়গায় নিয়ে এসেছি তার থেকে বাংলাদেশ যেন কিছুতেই পিছিয়ে না যায়।

রোববার (৮ অক্টোবর) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিসিএস কর্মকর্তাগণের ৭৫তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের সনদ বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আজ যারা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন সবচেয়ে বড় কথা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে হবে, দেশের মানুষের প্রতি দায়িত্ববোধ ও কর্তব্যবোধ থাকতে হবে।

তিনি বলেন, দেশের জনগণ রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে মাঠে কাজ করে যে অর্থ উপার্জন করে, সেই উপার্জনের টাকা দিয়ে আমাদের সবার সবকিছু চলে। এ কথা আমাদের ভুললে চলবে না। সব সময় মাথায় রাখতে হবে এই যে খেটে খাওয়া মানুষ তাদের কষ্টের ফসলটাই আমরা ভোগ করি। জনগণকে কীভাবে আমরা সহযোগিতা করতে পারি সেটাই আমাদের দেখতে হবে।

নবীন অফিসারদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকারের মেয়াদ শেষ। তারপর আবার ইলেকশন হবে, জনগণ যদি আমাদের ভোট দেয় আসব, নইলে ঠিক আছে, তাছাড়া বয়সও হয়ে গেছে। দেশের ভেতরেও শত্রু আছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের শত্রু দেশের বাইরে থেকে আসা লাগে না, দেশের ভেতরেও আছে। মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতাকারী বা ’৭৫-এর খুনি, তারা ও তাদের সন্তান যারা আছে এরা কখনো বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে দেবে না। বাধা দেবে। সেই শত বাধা অতিক্রম করে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি এবং এগিয়ে যাব। কেউ আমাদের আটকাতে পারবে না।

প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠান থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীন ৫টি প্রকল্প-কর্মসূচির আওতায় নির্মিত ভবন ও ‘গভমেন্ট এমপ্লয়মেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম-জিইএমএস’ সফটওয়্যার উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী কোর্সে অংশগ্রহণ করে সফলভাবে কোর্স সম্পন্নকারী ১৯টি ক্যাডার সার্ভিসের ৬০২ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩০ জন কৃতী শিক্ষার্থীর হাতে ‘মেধা সনদ’ এবং তিনজনের মাঝে ‘মর্যাদা পদক’ বিতরণ করেন। ৬ মাসব্যাপী অনুষ্ঠিত ৭৫তম বুনিয়দি প্রশিক্ষণ কোর্সে তাহসিন বিনতে আনিস শীর্ষস্থান অর্জন করে রেক্টর’স পদক লাভ করেন।

অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী বক্তৃতা করেন। ৭৫তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশগ্রহণকারীদের পক্ষে চারজন শিক্ষার্থীও অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (বিপিএটিসি) রেক্টর মো. আশরাফ উদ্দিন ৭৫তম বুনিয়ানি প্রশিক্ষণ কোর্সের চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করেন এবং শিক্ষার্থীদের শপথ বাক্য পাঠ করান।

অনুষ্ঠানে ৭৫তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স এবং প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধন করা প্রকল্পগুলোর দুটি পৃথক ভিডিও চিত্র প্রদর্শিত হয়। উদ্বোধন করা প্রকল্পগুলো হচ্ছে- সরকারি কর্মচারী ব্যস্থাপনা সিস্টেম (গভর্নমেন্ট এমপ্লয়মেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম-জিইএমএস), ৫শ’ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল, নবনির্মিত টাঙ্গাইল সার্কিট হাউস, নবনির্মিত কুমিল্লা সার্কিট হাউস এবং বিপিএটিসির ১৫ তলা আধুনিক ডরমেটরি ভবন।

ব্যক্তিগত জীবনে তার কোনো চাওয়া পাওয়া নেই উল্লেখ করে জাতির পিতার কন্যা বলেন, আমার চাওয়া একটাই, একটাই স্বপ্ন, যেটা আমার বাবা এদেশের মানুষকে নিয়ে দেখেছিলেন। মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা আর তাদের জীবন মান উন্নত করা। আজকে পর্যন্ত যতটুকু করতে পেরেছি ভবিষ্যতের জন্য যেন সেটা স্থায়ী হয় চলমান থাকে, সেটাই আমার একমাত্র দাবি সবার কাছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা, মুদ্রাস্ফীতি, কিছু সমস্যায় আমরা আছি রিজার্ভ নিয়ে অনেকে কথা বলে-আমি বলছি রিজার্ভ নিয়ে অত চিন্তার কিছু নেই। আমার গোলায় খাবার আছে যতক্ষণ ততক্ষণ আমরা চিন্তা করি না। দেশের প্রতি ইঞ্চি অনাবাদি জমিকে চাষের আওতায় আনার জন্য তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ফসল ফলাব নিজের খাবার নিজেরা খাব, কেনাকাটা বা খরচটা না হয় আমরা একটু কমই করব। কিন্তু আমার নিজের দেশের মর্যাদা নিয়ে আমাদের চলতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০৪১-এর বাংলাদেশের মূল কারিগর এবং সৈনিক হবেন আজকের কর্মকর্তারা। তখন তো আর আমরা থাকব না কিন্তু দেশটা যেন এগিয়ে যায়। আমি শুধু সেটাই চাই। সিভিল সার্ভিসের নবীন কর্মকর্তাদের দেশের প্রতি দায়িত্ব বোধ নিয়ে কাজ করার এবং এখানে লব্ধ প্রশিক্ষণকে দেশ ও জনগণের কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, চাকরিটা শুধু চাকরি নয়, এটা দেশের সেবা করা। তার সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের কর্মসূচি বাস্তবায়নে নজরদারির পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ে যারা কাজ করবে তাদের মানুষকে উদ্বুদ্ধকরণের কাজও করতে হবে।

সরকারের বৃত্তি-উপবৃত্তি প্রদান এবং উচ্চশিক্ষায় সহযোগিতায় প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা তহবিলের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, মেধা যেন হারিয়ে না যায় সেজন্য মেধাবীদের আমরা সহযোগিতা দিয়ে যাব। কারণ এই মেধাগুলোই আমার দেশের উন্নয়নের কাজে লাগবে। ইকোনমিক ডিপ্লোমেসির এই যুগে বিশ্বে বাজার খুঁজে বের করার ওপরও তিনি গুরুত্বারোপ করেন।

প্রতিটি উন্নয়ন কর্মকা-কে টেকসই করার ওপর গুরুত্বারোপ করে সরকারপ্রধান বলেন, যারা মাঠপর্যায়ে কাজ করবেন প্রতিটি এলাকার উন্নয়নের ক্ষেত্রে তাদের দেখতে হবে নদী-নালা-খাল-বিলসহ জলাধারগুলো যেন সেখানে সংরক্ষিত থাকে। দেশকে উন্নত করার জন্য অবকাঠামো নির্মাণ ও রাস্তাঘাট করার সময় সেটা যেন ঋতু বৈচিত্র্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়, যাতে কোনোসময় কোনোকিছুতে বাধার সৃষ্টি করতে না পারে তা নিশ্চিত করারও আহ্বান জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের ছয়টি ঋতু। বিভিন্ন ঋতুতে যে পরিবর্তন হয় তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই আমাদের পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে, যাতে কোনো সময় যেন কোনো প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি না হয়। আর মানুষগুলোর যেন আর্থিত সচ্ছলতা বাড়ে। কিভাবে করলে আর্থিক সচ্ছলতা বাড়বে সেটাই দেখতে হবে। আমাদের প্রত্যেকটা উন্নয়ন যাতে টেকসই হয়। সরকারের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাস্তবায়নের ফলে আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ এবং বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

প্রধানমন্ত্রী ’৭৫ এর বিয়োগান্তক অধ্যায় স্মরণ করে বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছিল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। জিয়াই ইনডেননিটি অধ্যাদেশ জারি করে জাতির পিতা হত্যার বিচারের পথকে রুদ্ধ করেছিল। আর খুনিদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃতও করেছিল।

তিনি বলেন, সেদিন জাতির পিতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে আমরা আপনজন হারিয়েছি। কিন্তু বাংলাদেশ হারিয়েছিল তাদের ভবিষ্যৎ, ক্ষুধা, দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পাওয়ার পথ। সবই হারিয়েছে। তখন ক্ষমতা দখল শুরু হয় হত্যা এবং ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে, সংবিধান ও সেনা আইন লঙ্ঘন করে। একের পর এক, সরাসরি বা প্রত্যক্ষভাবে এই ধরনের শাসন চলতে থাকে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার ছোট বোন শেখ রেহানার পাসপোর্টটাও রিনিউ করতে দেয়নি জিয়া। তারা ১৯৮০ সালে লন্ডনে জাতির পিতার হত্যার বিচার চেয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছিলেন, সেই কমিটি ঢাকা আসতে চেয়েছিল, জিয়াউর রহমান তাদের ভিসা দেননি।

কৃষকের ছেলে বিসিএস কর্মকর্তা, ডেকে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী ॥ ফরিদপুর জেলার সোহানপুর গ্রামের ভূমিহীন এক কৃষক পরিবারের ছেলে পিরু মোল্লা ৪০তম বিসিএস ক্যাডার হয়েছেন। এই অবস্থানে আসতে তাকে পাড়ি দিতে হয়েছে নানান বাধা-বিপত্তি। একসময় বাবা-ভাইদের সঙ্গে অন্যের জমিতে সেচ দেওয়া, ক্ততে ধান-পাট কাটা, ক্ষেত নিড়ানি দেওয়াই ছিল তার পরিবারের প্রধান আয়ের উৎস। ঝড়-বৃষ্টির রাতে ছনের ঘরের চালা উড়ে যাওয়ার ভয়ে ঘুম হতো না তার। সেই অবস্থান থেকে আজ তিনি সহকারী মহাহিসাবরক্ষক, সংযুক্ত আছেন ফিন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাডেমিতে (ফিমা)। তার এই গল্প শুনেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ডেকে নিয়ে কথা বলেছেন তার সঙ্গে।

রবিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিসিএস কর্মকর্তাদের ৭৫তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে স্বপ্নবাজ এই তরুণের গল্প শোনেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে চারজন বিসিএস ক্যাডার তাদের অনুভূতির কথা ব্যক্ত করেন। এদের মধ্যে পিরু মোল্লাও একজন। তিনি বলেন, ‘আজ আমি স্বপ্নপূরণ ও ভাগ্য বদলের গল্প বলতে এসেছি। এই স্বপ্নপূরণ আমার মতো হাজারও চাকরিপ্রত্যাশী তরুণের। এই ভাগ্যবদল চিরায়ত বাংলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কোটি প্রাণের।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে পিরু মোল্লা বলেন, ‘আমার ইচ্ছা ছিল প্রকৌশলী হওয়ার। কিন্তু বিজ্ঞান বিভাগের পড়াশোনার খরচ চালিয়ে যেতে পারব কিনা, সেই আশঙ্কা ছিল। আমার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার স্বপ্নটা প্রায় শেষই হতে যাচ্ছিল, যদি না রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পদার্থ বিজ্ঞান ও ইলেক্ট্রিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়ার সুযোগ পেতাম। কেননা, অর্থের অভাবে কেবল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া অন্য কোথাও আমি ভর্তি পরীক্ষার ফরম তুলতে পারিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবর্ষে পড়ার সময় মাঝে-মধ্যেই আমার ভাইয়ের সঙ্গে রাজমিস্ত্রির কাজে যেতে হতো। টিউশনি না পাওয়া পর্যন্ত প্রথমবর্ষে বেশিরভাগ সময় আমি সকালে নাস্তাও করতে পারিনি। হলে ১৫ টাকায় দুপুরের খাবার, আর ১২ টাকায় রাতের খাবার; এই মোট ২৭ টাকায় দুবেলা খাবারের খরচ মিটত।

এমন একটা অনিশ্চিত জীবনে থেকে উঠে এসে আজকে প্রধানমন্ত্রীর সামনে কথা বলার সুযোগ পেয়ে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানান পিরু মোল্লা। তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া অসংখ্য তরুণের মতো আমারও স্বপ্ন ছিল সিভিল সার্ভিসের চাকরি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, সরকারি চাকরি প্রাপ্তিতে আপনি মেধাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে নিরপেক্ষতা, স্বচ্ছতা ও যোগ্যতার মূল্যায়ন নিশ্চিত করেছেন। ফলে ৪০তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে জনগণের সেবায় নিয়োজিত হতে পেরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনাকে জানাই আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। আর পরিবারের মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনিই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। আমাদের বিপদে সাহায্যকারী হিসেবে বারবার আবির্ভূত হওয়ায় মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রীকে সরাসরি কৃতজ্ঞতা জানানোর সুযোগ পেয়ে আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি। সূত্র:জনকণ্ঠ