জৈন্তাপুরে পাথর উত্তোলন করে ঝরনার পরিবেশ ধ্বংসের অভিযোগ রাজা ও জব্বারের বিরুদ্ধে

0
139

বিশেষ প্রতিনিধি,সিলেট থেকেঃ সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার শ্রীপুর চা-বাগান সংলগ্ন খড়মপুর এলাকায় আরিফুর হকের মালিকানাধিন ভূমিতে লোক চক্কুর অন্তরালে থাকা আধুরী ঝর্ণা এলাকা খনন করে পরিবেশ ও প্রকৃতি ধ্বংস করে চলছে পাথর উত্তোলন। কোন ভাবে পাথর উত্তোলনকারীদের থামানো যাচ্ছে না।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের পূর্ব পাশে শ্রীপুর চাবাগানের শেষাংশে আরিফুল হক এর মালিকানাধিন ভূমিতে প্রকৃতিক ভাবে একটি ঝর্ণা রয়েছে। সুদীর্ঘ দিন হতে স্থানীয় আধিবাসী (চা-শ্রমিক) পরিবারের লোকজন নিত্য প্রয়োজনীয় কাজ সহ গোসল করে আসছে।

বিগত ৪ বৎসর হতে ঝর্ণাটি পর্যটক সহ স্থানীয় জনসাধারনের দৃষ্টি পড়ে শ্যামল ছায়ায় বেষ্টিত আধুরী ঝর্ণাটি। স্থানীয় ও জাতীয় সংবাদ মাধ্যমে ঝর্ণাটি পরিচিতি লাভ করে। এদিকে আধুরী ঝর্ণাটির পাথর লুন্টন করতে তৎপর হয়ে উঠেন পাথর খেকু চক্রের সদস্যরা। আধুরী ঝর্ণা হতে পাথর উত্তোলন করতে জায়গার মালিক ঢাকার বাসিন্ধা আরিফুল হক(৫৫) শাহ আলম (৫০)এর তত্ত¡াবধানে জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক রাজা (৩৫) এবং তার বিশ্বস্ত সহযোগী আব্দুল জব্বার (৩৫), সাব উদ্দিন (৩৮), কয়েছ আহমদ (৩২) এর নেতৃত্বে প্রকৃতিক ভাবে সৃষ্ট ঝর্ণাটি খুড়ে পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে। পাথর উত্তোলনের ফলে ঝর্ণার নিচ অংশে ফসলী জমি, আশ পাশের পরিবেশ, বসত বাড়ী ধ্বংসের মুখে পড়ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী বলেন, আব্দুর রাজ্জাক রাজা ও আব্দুল জব্বারের নেতৃত্বে শ্রীপুর কোয়ারীর জিরো লাইন এলাকা এবং খড়মপুর আধুরী ঝর্ণা এলাকায় চলছে পাথর লুন্টনের মহাযজ্ঞ। বর্তমানে তাদের নেতৃত্বে দলীয় ক্ষমতা এবং অত্যাচারের ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে স্থানীয় বাসিন্ধরা কথা বলতে সাহস পাচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন অনেকটা দেখেও না দেখার ভান করে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। যারফলে শ্রীপুর ও খড়মপুর এলাকায় পাথর লুন্টন, আধিপত্য বিস্তার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাদের দাবী সার্বসাধারনের জন্য শ্রীপুর পাথর কোয়ারী উন্মুক্ত করে দেওয়া হউক এবং আধুরী ঝর্ণা এলাকাটি স্থায়ী ভাবে সংরক্ষনের দাবী জানান।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আব্দুর রাজ্জাক রাজা (০১৭১৫-৬৪৩১৬১) ও আব্দুল জব্বার (০১৭১২-৭৮৮২২৬) কে একাধিক বার ফোন দেওয়ার পর রিসিভ করেননি।

জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল বশিরুল ইসলাম বলেন, “অবৈধ ভাবে পাথর-বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে ও বিজিবি-পুলিশ সমন্বয়ে টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালনা করা হবে।”