তাহিরপুরে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে উন্নয়ন কাজে বাধার অভিযোগ

    0
    216

    “চেয়ারম্যানের দাবী,সরকারী টাকায় নিম্ন মানের কাজ”

     

    সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ জনদূর্ভোগ সৃষ্টি ও সরকারে উন্নয়ন মূলক কাজে বাধা সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে বাদাঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে। সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় সরকারী রাস্তার কাজ বন্ধ করে দেয়ায় চইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার তাহিরপুর থানায় এই অভিযোগপত্র দাখিল করেন মেসার্স অমল কান্তি চৌধুরীর প্রতিনিধি মোঃ বাবুল হোসেন।

    বুধবার এই ঘটনার বিষয়ে সুনামগঞ্জ এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলীর নিকট লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।  অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে,গ্রাম সড়ক পুনর্বাসন প্রকল্পের অধীনে তাহিরপুর উপজেলায় প্রায় ১কোটি ৪২লাখ দুই হাজার টাকা ব্যয়ে দীঘিরপাড়-পাঠানপাড়া-খেয়াঘাট-ভায়া-বাদাঘাট জিসি রাস্তার মেরামত কাজ শুরু হয়েছে। এই কাজ চলাকালীন সময়ে গত মঙ্গলবার বেলা ৩টায় কোনো কারণ ছাড়াই বাদাঘাট ইউপি চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন,কামাল হোসেন,বারেক মিয়া,জিন্নাহ,মানিক মিয়া,সোহেল মিয়া,আশিক নুর,সোয়েল মিয়া,হৃদয় মিয়াকে সাথে নিয়ে এসে কাজ বন্ধ করে দেন। এতে প্রতিবাদ করায় মেসার্স অমল কান্তি চৌধুরীর প্রতিনিধি মোঃ বাবুল হোসেন এবং মেরামত কাজে থাকা শ্রমিকদেরকে মারধর করা হয়। এই সময় রাস্তার কাজের এডমিক্সার ও অন্যান্য জিনিসপত্র ছুঁড়ে ফেলে দেন আফতাব উদ্দিনসহ অন্যরা। এতে প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ৩০হাজার টাকার ক্ষতি হয়।

    স্থানীয় এলাকাবাসী জানান,এই সড়কটি পাকাকরণ আমাদের দীর্ঘ দিনের প্রাণের দাবি। এই রাস্তা দিয়ে যাদুকাটা নদী থেকে অন্যতম বৃহৎ ব্যবসাকেন্দ্র বাদাঘাট বাজারে সব ধরনের পণ্য পরিবহন করা হয়ে থাকে। এছাড়াও এই সড়কটি দিয়ে মানুষ জেলা শহরের সাথে যোগাযোগের মাধ্যম। র্বতমান চেয়ারম্যান উদেশ্য মূলক ভাবে কাজ বন্ধ করে দেবার কারনে সবাই দূর্ভোগে রয়েছি। আমরা এলাকাবাসী রাস্তাটি পাকাকরণের কাজ সম্পন্ন করার দাবী জানাই। কাজ বন্ধ করে সরকারের উন্নয়নে বাধা কোন ভাবেই সহ্য করা হবে না।

    এই বিষয়ে তাহিরপুর উপজেলা প্রকৌশলীকে তাৎক্ষণিকভাবে জানানো হলে তিনিও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। পরে এই ঘটনার বিষয়ে তাহিরপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। ওইদিন সুনামগঞ্জের এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবরে কাজ বন্ধ থাকার বিষয়ে লিখিতভাবে জানান তাহিরপুর উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ সাইদুল্লাহ মিয়া।

    অপরদিকে অভিযুক্ত বাদাঘাট ইউপি চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন ,”দীঘিরপাড়-পাঠান পাড়া সড়কে নিন্ম মানের কাজ করার কারণে বাধা নিশেধ করেছি। আমার ইউনিয়নে সরকারী অর্থের কাজ যেনতেন ভাবে করতে দেওয়া হবে না।”

    ঠিকাদারী প্রতিষ্টানের মালিক মের্সাস অমল কান্তি চৌধুরীর প্রতিনিধি বাবুল হোসেন বলেন, “আমার প্রতিষ্টান দীঘিরপাড়-পাঠানপাড়া খেয়াঘাট ভায়া বাদাঘাট জিসি রাস্তার মেরামত কাজের টেন্ডার পাওয়ার পর উন্নয়ন কাজ শুরু করি। কাজ চলমান অবস্থায় বাদাঘাট ইউপি চেয়ারম্যান ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে উন্নয়ন কাজটি বন্ধ করে দেন। এতে আমার প্রতিষ্টান আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। উন্নয়নের স্বার্থে বন্ধ রাখা কাজ চলমান রেখে প্রশাসনিক নিরাপত্তা প্রদান ও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করে জনকল্যাণ মূলক ভুমিকা রাখতে প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানাই।”

    এ প্রসঙ্গে সুনামগঞ্জ এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ ইকবাল আহমেদ বলেন,”দীঘিরপাড়-পাঠানপাড়া-খেয়াঘাট-ভায়া-বাদাঘাট রাস্তা মেরামতের কাজ বন্ধ করে দেয়ার বিষয়ে আমাকে জানানো হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
    তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আতিকুর রহমান জানান,”উপজেলা প্রকৌশলীর কার্য্যালয় থেকে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তর্দন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”