তাহিরপুরে বিজিবি সোর্স পরিচয়কারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ

    0
    232

    সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বালিয়াঘাট,টেকেরঘাট ও চাঁনপুর সীমান্ত এলাকা দিয়ে প্রতিদিন ওপেন পাচাঁর করা হচ্ছে শতশত মে.টন কয়লা,চুনাপাথর ও মাদকদ্রব্য। সরকারের লক্ষলক্ষ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে পাচাঁরকৃত অবৈধ মালামাল বৈধ করার জন্য বিজিবি,পুলিশ,সাংবাদিক ও স্থানীয় জনপ্রতিনিদের নাম ভাংগিয়ে চোরাচালানীরা বিজিবির সোর্স পরিচয় দিয়ে নামে-বেনামে করছে চাঁদাবাজি।

    এনিয়ে আজ ০২.১০.১৮ইং মঙ্গলবার এলাকাবাসী গ্রাম্য সালিশ করেছে এবং ২ মে.টন চোরাই কয়লা আটক করেছে বিজিবি। খোজ নিয়ে জানা যায়,প্রতিদিনের মতো গতকাল সোমবার রাত ১১টায় বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্পের লালঘাট এলাকা দিয়ে ওই ক্যাম্পের নায়েক সাব্বির চোরাচালানী কালাম মিয়া,জানু মিয়া ও বাবুল মিয়া,আবুল মিয়া,হাসিম মিয়া,তানজু মিয়া,হানিফ মিয়া,কাসেম মিয়া,রবি মিয়া, মানিক মিয়া গংকে নিয়ে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে ৩০মে.টন চোরাই কয়লা ও বিপুল পরিমান ইয়াবা ও মদ পাঁচার করে। এই খরব পেয়ে পার্শ্ববর্তী টেকেরঘাট ক্যাম্পের বিজিবি অভিযান চালিয়ে চোরাচালানী তানজু মিয়া বাড়ি থেকে ২ মে.টন কয়লা আটক করলেও কাউকে গ্রেফতার করেনি।

    পরবর্তীতে বাকি ২৮মে.টন কয়লাসহ ইয়াবা ও মদের চালান আজ ০২.১০.১৮ইং মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৪টায় চোরাচালানী জানু মিয়া তার ইঞ্জিনের নৌকাতে বোঝাই করে বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন দুধেরআউটা ও ড্রাম্পের বাজার নিয়ে বালিয়াঘাট গ্রামের এক প্রভাবশালী চোরাই কয়লা ব্যবসায়ীর কাছে কয়লা ও দুধের আউটা গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী জিয়াউর রহমান জিয়া ও আংগুরী বেগমের কাছে নিয়ে ইয়াবা ও মদ বিক্রি করা হয়।

    এঘটনার পর দুপুর ২টায় লালঘাট গ্রামে এলাকাবাসী বিজিবির সোর্স পরিচয়ধারী ১০টি চোরাচালান ও চাঁদাবাজি মামলার জেলখাটা আসামী কালাম মিয়ার বিরুদ্ধে সালিশ বসায়। এব্যাপারে এলাকাবাসী জানায়,চোরাচালানী কালাম মিয়া নায়েক সাব্বির ও এএসআই ইমামের সহযোগীতায় কয়লার চোরাচালান মামলার আসামী আব্দুর রাজ্জাকের নির্দেশে ভারত থেকে পাচাঁরকৃত ১বস্তা কয়লা থেকে বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার দেলোয়ার হোসেনের নামে ৫০টাকা,নায়েক সাব্বিরের নামে ১০টাকা,টেকেরঘাট পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই ইমামের নামে ৩০টাকা ও সাংবাদিকদের নাম ভাংগিয়ে আব্দুর রাজ্জাক ৩০টাকা নেওয়াসহ সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হোসেন খাঁ ও ইউপি মেম্মার শফিকুল ইসলামের নাম ভাংগিয়ে ৩০টাকা চাঁদা নিয়েছে।

    এব্যাপারে ইউপি মেম্মার শফিকুল ইসলাম বলেন,সালিশের মাধ্যমে জানতে পেরেছি চোরাচালানী কালাম মিয়া আমাদের নাম ভাংগিয়ে ভারত থেকে পাচাঁরকৃত কয়লা থেকে চাঁদা তুলে রাজ্জাকের কাছে নিয়ে দিয়েছে,অথচ এসব বিষয়ে আমরা কেউ কিছুই জানিনা,তাই এব্যাপারে আমরা আলোচনা করে রাজ্জাক ও কালামের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব।

    অভিযুক্ত চোরাচালানী কালাম মিয়া বলেন,আমি যা করেছি তা রাজ্জাক ভাইয়ের নির্দেশে নায়েক সাব্বির ও এএসআই ইমামের সহযোগীতা নিয়ে করেছি,আপনারা লেখলে তাদের বিরুদ্ধে লেখুন যারা আমাদেরকে দিয়ে অপরাধ করিয়েছে। এব্যাপারে এএসআই ইমাম বলেন,চোরাচালানী কালামের সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই তাছাড়া চোরাচালান বন্ধ করার দায়িত্ব বিজিবির।

    বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার দেলোয়ার হোসেন বলেন,কয়লা আমরা আটক করেনি,আর ক্যাম্পে এসে দেখা করেন,আমি কালামকে বলে দিচ্ছি আপনার সাথে যোগাযোগ করতে।সুনামগঞ্জ ২৮ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক আবুল আহসান বলেন,সীমান্ত চোরাচালান বন্ধের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।