বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায় প্রদানকারী সাবেক বিচারকের ইন্তেকাল

    0
    218

    আমারসিলেট24ডটকম,১১ডিসেম্বরঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলার রায় দেয়া ঢাকার সাবেক দায়রা জজ কাজী গোলাম রসুল  ইন্তেকাল করেছেন, ইন্নালিল্লাহি ওয়া  ইন্না ইলাইহি রাজিউন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতা নিয়ে কাজী গোলাম রসুল গত ২৭ নভেম্বর থেকে এ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর ।
    এর আগে গত শুক্রবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিচারক গোলাম রসুলকে দেখতে যান। মন্ত্রী সাবেক এই বিচারপতির চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন এবং সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে চিকিৎসকদের নির্দেশ দেন।
    ১৯৭৫ সালের ১৫ আগাস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার ২৩ বছর বছর ১৯৯৮ সালের ৮ নভেম্বর এই হত্যা মামলায় ২০ আসামির ১৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন ঢাকার তৎকালীন দায়রা জজ কাজী গোলাম রসুল।
    রায়ে তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর দুটি রেজিমেন্টের অল্প সংখ্যক জুনিয়র সেনা অফিসার/সদস্য ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কেন ওই কতিপয় সেনা সদস্যকে নিয়ন্ত্রণ/নিরস্ত্র করার চেষ্টা করেনি তা বোধগম্য নয়। এ ঘটনা আমাদের জাতীয় ইতিহাসে সেনাবাহিনীর জন্য একটি চিরস্থায়ী কলঙ্ক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।
    আসামিপক্ষের আপিলে ২০০০ সালের ১৪ ডিসেম্বর হাই কোর্ট এ মামলায় বিভক্ত রায় দেয়। বিচারপতি মো. রুহুল আমিন ১০ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। অন্য বিচারপতি এ বিএম খায়রুল হক ১৫ আসামির ফাঁসির আদেশই বহাল রাখেন।
    ২০০১ সালের ৩০ এপ্রিল হাই কোর্টের তৃতীয় বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিম ১২ আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখে তিনজনকে খালাস দেন। পাঁচ আসামি আপিল করলে ২০০৯ সালের ১৯ নভেম্বর আপিল বিভাগ তা খারিজ করে এবং পরের বছর ২৮ জানুয়ারি প্রথম প্রহরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঁচজনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
    রায় কার্যকর হওয়ার পর এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে অবসরপ্রাপ্ত বিচারক গোলাম রসুল বলেছিলেন, এখন থেকে আর কেউ এমন জঘন্যতম অপরাধ করার সাহস পাবে না।