ভয়াল বেনাপোল ট্রাজেডির এক বছরপূর্তিঃফলক উম্মোচন

    0
    232

    কোমলমতি নিহত শিশুদের স্মরনে শোক র‌্যালী ও স্মৃতি স্তম্ভ’র ফলক উম্মোচন

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৫ফেব্রুয়ারী,এম ওসমান: আজ ১৫ ফেব্রুয়ারী ভয়াল বেনাপোল ট্রাজেডির এক বছরপূর্তি। ২০১৪ সালের এই দিনে বেনাপোল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিকনিক বাস খাদে পড়ে কোমলমতি ৯ ক্ষুদে শিক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। সময়ের পরিক্রমায় কেটে গেছে একটি বছর। বর্ষ পঞ্জিকায় স্থান করে নিয়েছে বহুল আলোচিত ও মর্মস্পর্শী এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। গত বছর তেমনি একটি মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছিল বৃহত্তর যশোরসহ গোটা দেশকে। এই সড়ক দূর্ঘটনার মৃত্যু দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলসহ গোটা দেশকে কাঁদিয়েছে। শিক্ষা সফরের বাস দূর্ঘটনার এই ঘটনাটি ছিল ২০১৪ সালের অন্যতম এক হৃদয়স্পর্শী ঘটনা।

    আজ রোববার শোকাবহ ট্রাজেডির দিন ১৫ ফেব্রুয়ারী, এই দিনে পিকনিক বাস খাদে পড়ে বেনাপোল সরকারী প্রাথমিক স্কুলের ৯ জন অবুঝ শিশু শিক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। দেখতে দেখতে এক বছর পেরিয়ে গেলেও কেউ খোজ নেয়নি সেই সন্তান হারা পরিবারের। তাদের আর্তনাদ কুড়ে কুড়ে খায় সন্তান হারা পরিবার গুলোকে।

    গত ১৫ই ফেব্রুয়ারি -২০১৪ মেহেরপুরের মুজিবনগর থেকে পিকনিক শেষে বেনাপোলে ফেরার পথে চৌগাছার ঝাউতলা নামক স্থানে শতাধিক স্কুল শিক্ষার্থীকে বহনকারী বাসটি দূর্ঘটনা কবলিত হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় ৭ স্কুল ছাত্র। আহত হয় আরো ৭০ জন ছাত্র। এদের মধ্যে গুরুতর ১৪ জনকে ওই রাতেই যশোর সিএমএইচ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

    এখানে ২ দিন চিকিৎসার পর আশংকাজনক একরামুল ও আরমান নামে ২ ছাত্রকে হেলিকপ্টার যোগে পাঠানো হয় ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে। সেখানে ১৪ দিন মৃত্যুর সাতে পাঞ্জা লড়ে শেষ পর্যন্ত তারাও চলে যায় না ফেরার দেশে।

    বেনাপোল পৌর সভার মেয়র আশরাফুল আলম লিটন ৩ দিনের শোক ঘোষনা করেন। প্রতিটি স্কুলে কালো পতাকা ওঠানো হয়।

    দূর্ঘটনার ৩ দিন পর নিহত ৯ শিশু শিক্ষার্থীর বাড়িতে ছুটে আসেন সান্তনা দিতে প্রাথমিক ও গনশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান এমপি। তিন নিহতের প্রত্যেক পরিবারকে মন্ত্রনালয়ের পক্ষ থেকে ১ লাখ টাকা ও যশোর শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে আরো ১ লাখ টাকা ও আহতদের জন্য ২৫ হাজার টাকা অনুদান দেয়ার ঘোষনা দেন। নিহতদের সহপাঠি সাহিদা আক্তার’র অভিযোগ গত এক বছরেরও কেউ তাদের পরিবারের খোজ নেয়নি।

    নিহত কোমলমতি শিক্ষার্থীদের স্মরনে আজ বেনাপোলের বিভিণœ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সংগঠনগুলো সহ হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের শোক র‌্যালী বের হয় এবং দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। তাদের স্মৃতিকে ধরে রাখতে ঐ স্কুলের সামনেই নির্মিত হয় স্মৃতি স্তম্ভ। যশোরের জেলা প্রশাসক স্মৃতি স্তম্ভের ফলক উম্মেচন করেন। সাথে ছিলেন বেনাপোল পৌর সভার মেয়র আশরাফুল আলম লিটন, যশোর জেলা শিক্ষা অফিসার

    তাপস অধিকারী, বেনাপোল কাস্টমস’র সহকারী কমিশনার ফয়সাল আহমেদ, যশোরে পুলিশ সুপার আনিছুর রহমান, শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এটিএম শরিফুল আলম, বেনাপোল প্রেস ক্লাবের সভাপতি মহসিন মিলন।

    নিহত শিক্ষার্থীদের অসহায় পরিবার গুলোর কেউ খোজ নেয়নি গত এক বছরে। অভিযোগ করেছেন নিহতদের পরিবার আর তাদের সহপাঠি শিক্ষার্থীরা।

    কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নিয়ে আর যেন কোন দুরে পিকনিকে গিয়ে প্রান দিতে না হয় এমনটি প্রত্যাশা নিহতদের পরিবারের।