আমারসিলেট24ডটকম,২২অক্টোবরঃ রাজধানী ঢাকার মিরপুরে ঝুট ব্যাসায়ী গিয়াস উদ্দিন হত্যার পেছনে তার স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। অনুসন্ধানে পুলিশ জেনেছে, স্ত্রী লাবনী আক্তার লীমার সঙ্গে জনৈক তানভীর আহম্মেদের পরকীয়া প্রেমেরে সম্পর্ক ছিল। ওই প্রেমিক তার বন্ধুদের নিয়ে গিয়াসকে হত্যা করেছে। পরিকল্পনাকারী ছিলেন লীনা। এজন্য তিনি খুনীদের নগদ টাকাও দিয়েছেন।
গত ১৯ অক্টোবর রাতে মিরপুর নিজ বাসায় খুন হন গিয়াস উদ্দিন(৩৭)। মিরপুর -১০ নম্বর সেকশনের ১৫ নম্বর লেনের সি ব্লকের ১১ নম্বরের ৬তলা বাসার চার তলার ফ্ল্যাট থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।
ঘটনার পর নিহত গিয়াসের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগের ভিত্তিতে তার স্ত্রী লাবনী আক্তার লীমাকে আটক করে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার ৩দিন পর মঙ্গলবার মিরপুর থেকে ৩জনকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর রহস্যের জট খোলে।
গ্রেফতারকৃত ৩জন হলেন বিএল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র লীমার প্রেমিক তানভীর আহম্মেদ (১৮), ঢাকা কর্মাস কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র সাদমান ইসলাম মুক্ত (১৮) ও সরকারি বিজ্ঞান কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র আকিবুল ইসলাম জিসান (১৮)।
মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সালাউদ্দিনের সূত্রে জানা যায়, গিয়াস উদ্দিন খুনের ঘটনায় তার স্ত্রী লীমা জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার পরিকল্পনার কথা স্বীকার করেছেন। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে মিরপুর ১০ নম্বর এলাকা থেকে মঙ্গলবার দুপুরে তানভীর আহম্মেদকে আটক করা হয়। এরপর তানভীরের তথ্য মতে হত্যায় সরাসরি অংশ নেয়া জিসান ও সাদমানকে আটক করা হয়।
তানভীর সাংবাদিকদের জানান, এক বছর আগে গিয়াস উদ্দিনের বাসার সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় লীমাকে তার ভাল লাগে। এরপর পরিচয়। মন দেয়া-নেয়া। এক পর্যায়ে দু’জনের মধ্যে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
চলতি মাসের ১৫ অক্টোবর গিয়াসকে ডির্ভোস না দিয়েই লিমা তাকে বিয়ে করেন বলে দাবি তানভীরের। তিনি জানান, বিয়ের পর দু’জনের সম্পর্কের কাঁটা হিসেবে তানভীরকে সরানোর পরিকল্পনা করেন লীমা। সে হিসেবে তানভীরের ৩ বন্ধু মিলে খুন করা হয় গিয়াসকে।
স্বামীকে হত্যার জন্য নগদ ৩০ হাজার টাকা দেন লীমা। চুক্তি অনুযায়ী এর মধ্যে ১৫ হাজার দেয়া হয় জিসান ও সাদমানকে।
জিসান জানান, ঘটনার দিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে গিয়াসের মিরপুরের বাসায় তাদের দু’জনকে নিয়ে যান তানভীর। রাত ১০টার দিকে গিয়াস বাসায় ঢোকেন। এ সময় পেছন থেকে কাঠের লাঠি দিয়ে তার মাথায় আঘাত করেন তানভীর। মেঝেতে পড়ে যাওয়ার পর জিসান ও সাদমান তার হাত-পা ধরে রাখেন। তানভীর তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। রাত ১১টার দিকে লীমার পরামর্শ অনুযায়ী ৩জন বোরকা পড়ে ওই বাসা থেকে বের হয়ে যান।