মৌলভীবাজার রাজনগরের লীলা নাগকে নিয়ে নির্মিত তথ্যচিত্র “লীলাবতী নাগ: দ্য রেবেল”

0
147

কাওছার ইকবাল: মৌলভীবাজার জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আগামীকাল ৯ ডিসেম্বর শনিবার প্রদর্শিত হতে যাচ্ছে মৌলভীবাজারের কৃতি সন্তান কিংবদন্তি মহীয়সী নারী ‘লীলা নাগ’ নিয়ে এলিজা বিনতে এলাহীর নির্মিত ‘লীলাবতী নাগ: দ্য রেবেল’।

কে এই লীলা নাগ: লীলা নাগ শুধুই একজন মেধাবী ও বিদূষী নারী নয়, কিংবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মেয়ে শিক্ষার্থীই নয়, তিনি ছিলেন এক জীবন উৎসর্গ করা বিপ্লবী যোদ্ধা।

নারী জাগরণ থেকে স্বদেশি আন্দোলন: ইতিহাসের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশে লীলাবতী নাগের অবদান অনস্বীকার্য। অবিভক্ত বাংলায় নারীশিক্ষা ও নারীর অধিকারের মতো অনেক ক্ষেত্রেই দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তিনি। কিন্তু তাঁকে নিয়ে যেমন আলোচনা হয় না, তেমনি নেই স্মৃতি রক্ষার উদ্যোগ। লীলাবতী নাগের স্মৃতি রক্ষার গুরুত্ব উঠে এসেছে ‘লীলা নাগ: দ্য রেবেল’ তথ্যচিত্রটিতে।

প্রায় ৬০ মিনিটের এই তথ্যচিত্রে স্থান পেয়েছে লীলা নাগের সংস্পর্শে আসা বাংলাদেশ ও ভারতের অনেক মানুষের বক্তব্য। অবিভক্ত বাংলায় লীলা নাগ যত জায়গায় বসবাস করেছেন, সেসব স্থান উঠে এসেছে এতে। সমাজসংস্কারে লীলা নাগের অবদান উঠে এসেছে তাঁদের কথায়।

তাঁর জীবনী পড়লে যে কারও রক্ত গরম হয়ে যাবে- দেরিতে হলেও এমন একজন মানুষকে নিয়ে প্রামাণ্য চিত্র ‘লীলাবতী নাগ: দ্য রেবেল’ নির্মিত হয়েছে, সেটা অবশ্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। 

লীলা নাগের যোগসূত্র: লীলা নাগের পিতৃভিটা মৌলভীবাজারের রাজনগরে অবস্থিত। ভিটা জবরদখল হয়ে গেলেও এখনও তার ধ্বংসাবশেষ রয়ে গেছে। এখনও সেখানে রয়ে গেছে প্রাগ্রসর চেতনার উত্তরাধিকার, কিছু অমূল্য স্মৃতি, যা কালের চক্রে স্বার্থান্বেষী মহলের হাতে পড়ে লুপ্ত হতে চলেছে।

‘লীলাবতী নাগ: দ্য রেবেল’ নির্মাতা এলিজা বিনতে এলাহী এক ঝুঁকিবহুল শখের পিছনে ঘুরে বেড়াচ্ছেন সারা পৃথিবী, তার মাঝেও প্রামাণ্য চিত্র নির্মাণের মতো একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন। অভিনন্দন তাকে।

‘লীলাবতী নাগ: দ্য রেবেল’ প্রদর্শিত হবে নিউ ইয়র্কে আগামী ফেব্রুয়ারি ২০২৪ এ। গত ৮ নভেম্বর ২০২৩ আগারগাঁও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে প্রদর্শিত হয় তথ্য চিত্রটি।