শার্শার নাভারণে ওয়াটার সাপ্লাই এ্যান্ড স্যানিটেশনে দূর্ণীতি

    0
    202

    আমার সিলেট টুয়েন্টি ফোর ডটকম,০৬মে,এম ওসমান, বেনাপোল প্রতিনিধি : শার্শার নাভারণে ওয়াটার সাপ্লাই এ্যান্ড স্যানিটেশনের কাজে প্রচুর অনিয়ম ও দূর্ণীতির প্রমাণ পেয়েছে স্থানীয় সংসদ সদস্য। এঘটনায় স্থানীয় সংসদ সদস্য ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কাজে অনিয়ম ও দূর্ণীতির প্রমাণ পেয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এব্যাপারে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ৩ জনকে নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রকৃত অনিয়ম ও দূর্ণীতির রহস্য উদঘাটনের জন্য ঘটনাস্থলেই সংসদ সদস্য মৌখিকভাবে নির্দেশ দেন। কমিটির সদস্যরা হলেন ওহিদুজ্জামান, দিলীপ কুমার ও টগর।

    ঘটনার বিবরণে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকালে স্থানীয় জনগণের মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শেখ আফিল উদ্দিন জানতে পারেন যে, শার্শার নাভারণে ওয়াটার সাপ্লাই এ্যান্ড স্যানিটেশনের কাজে প্রচুর অনিয়ম ও দূর্ণীতি হয়েছে। সাড়ে ৪ফুট গভীর করে পাইপলাইন স্থাপন করার পরিবর্তে ১-২ ফুট গভীর করে পাইপ লাইন স্থাপন, পাইপের উপরে ও নীচে কমপ্যাক্ট ৬ ইি  বালির পরিবর্তে মাটি দিয়ে ভরাট, এবং অধিকাংশ কাজই রাত্রে করেছে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে তিনি নাভারণ বাজারের গরু হাটের সামনে ঠিকাদারের লোকজন, ইঞ্জিনিয়ার এবং স্থানীয়রা মিলে কাজের ৭টি জায়গায় মাটি খুঁড়ে অভিযোগের সত্যতা পান। এ ঘটনার পর স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ৩ জনকে নিয়ে মৌখিকভাবে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন।

    ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে নগর অ ল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় যশোর জেলার নির্ধারিত নাভারণ, চিনাটোলা, বাঁকড়া ও খাজুরা নগর কেন্দ্রের এডিবি অর্থায়িত উপ-প্রকল্পের ওয়াটার সাপ্লাই এ্যান্ড স্যানিটেশন কম্পোনেন্ট এর প্যাকেজ নং ডব্লিউএস-৩ । যাহা কার্যাদেশের ই টেন্ডার আই ডি নং- ৬২৬১৫। কাজের মোট প্রাক্কলিত মূল্য ১৪ কোটি ৭৭ লক্ষ ৬০ হাজার ঊনিশ পয়েন্ট তিন টাকা। নাভারণ অঞ্চলে ৮.৮ কি.মি. পাইপ লাইন স্থাপন, একটি ওভারহেড ওয়াটার ট্যাংক ও একটি নিয়ন্ত্রণ অফিস নির্মাণ। গোপালগঞ্জ জেলার ২৬৯ মিয়াপাড়া কবরস্থান রোডের মেসার্স এম টি এ্যান্ড এস এস কনসোর্টিয়াম কাজটির ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ইতিমধ্যে তড়িঘড়ি করে উক্ত কাজটি সম্পন্ন করার জন্য বিশেষভাবে সহযোগীতা করেছে শার্শা উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নলকূপ মেকানিক মারুফ হোসাইন।

    এ ব্যাপারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি জোবায়ের রহমানের সহিত কথা বললে তিনি আমাদের এ প্রতিনিধিকে বলেন, আপনারা সবইতো দেখলেন এবং এতে আমার বলার কিছুই নাই। আপনারা সময় করে আমার অফিসে একটু চা খেয়ে আসবেন।

    এ ব্যাপারে শার্শা উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন জানান, আমি সব সময় ঝামেলায় থাকি। আমার দেখার সুযোগ কম থাকায় শার্শা উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নলকূপ মেকানিক মারুফ হোসাইনকে এ কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। সরেজমিনে সবকিছুইতো আপনারা দেখেছেন। আর জানেনতো ঠিকাদারের বাড়ী গোপালগঞ্জ এ বিষয়ে আমার বলার কিছুই নাই।

    এ ব্যাপারে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ঝিকরগাছা-শার্শার দায়িত্ব প্রাপ্ত সহকারী প্রকৌশলী নিরঞ্জন কুমার বিশ্বাস জানান, কাজটি শতভাগ দেখাশুনার দায়িত্ব শার্শা উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেনের। স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শেখ আফিল উদ্দিন স্যার এসে মাটি খুঁড়ে দেখেছেন তা আমাকে জানানো হয়নি। আনোয়ার হোসেনের চাকুরীর মেয়াদ আর অল্প কিছুদিন আছে, এখন আপনারা দেখেন কি লিখতে হবে। কলম আপনাদের হাতে।

    এ ব্যাপারে উক্ত কাজের কলসালট্যান্ট সোহেল সাহেবকে সরাসরি জিজ্ঞাসা করলে তিনি এ প্রতিনিধিকে কোন উত্তর দেননি।