আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৫মার্চ,বেনাপোল প্রতিনিধি: যশোরের শার্শা উপজেলার শার্শা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম এক ছাত্রকে মেরে একটি পা ভেঙ্গে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সকালে শার্শা পাইলট স্কুলে। আহত রাসেল (১৫) ঐ স্কুলের ৮ম শ্রেনীর ছাত্র। তার রোল নং ২১। রাসেল শার্শার আমড়াখালী গ্রামের মনির উদ্দিনের ছেলে।
আহত রাসেল জানায়, সকালে সে ক্লাস রুমে দাড়িয়ে ছিল। এ সময় প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম এসে বেয়াদবির অভিযোগে বেঞ্চের পায়া দিয়ে তাকে বেদম ভাবে মারপিট করে। এক পর্যায় আঘাতে রাসেলের একটি পায়ের হাটুর হাড় চটে যায়। এ সময় রাসেল জ্ঞান হারিয়ে পড়লে স্কুলের অন্য শিক্ষকেরা তাবে উদ্ধার করে প্রথমিক চিকিৎসা দেন। পরে রাসেলেকে হাসপাতালে নিয়ে এ-ক্সরে করলে তার একটি বাম পায়ের হাটুর হাড় চটে গেছে বলে রিপোর্ট পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে শার্শা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোপাল চন্দ্র মজুমদার’র কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন বিষয়টি শুনেছি। সরকারি বিধিতে ছাত্রদের মারার কোন বিধান নাই। তবে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বেয়াদবি করার অপরাধে একজন ছাত্রকে শাসনের জন্য মেরেছি। এ সময় ভয়ে দৌড় দিয়ে পালানোর সময় পড়ে পায়ে আঘাত পেয়েছে। তিনি বলেন আমার পক্ষ থেকে আহত ছাত্রকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে আহত ছাত্র রাসেলের মা কদবানু সুষ্ঠু বিচার দাবী করেছেন।