শিশুর আঙ্গুল কর্তনঃতাহিরপুরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

    0
    209

     যুবলীগ নেতা অদুদকে ১২দিনেও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৭মার্চ,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় ৫বছরের শিশু ইয়ামিন মিয়ার ডান হাতের ৩টি আঙ্গুল কেটে জঘন্য গঠনা সৃষ্টিকারী যুবলীগ নেতা ও পিআইসি সভাপতি আব্দুল অদুদকে দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্থির দাবি জানিয়ে বিক্ষোব মিছিল ও মানববন্ধ পালিত হয়েছে সুজন তাহিরপুর উপজেলা শাখার উদ্যোগে। মঙ্গলবার বেলা ১২টায় বিক্ষোব মিছিল ও তাহিরপুর পশ্চিম বাজারে ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধ পালন করে বক্তব্য রাখেন,বিপ্লব,বাহা উদ্দিন,হারুন অর রশিদ,মজিবুর রহমান,নরুল ইসলাম,এনামুল হক এনামসহ উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্ধ।

    এছাড়াও গত রবিবার ১৮মার্চ সুনামগঞ্জ শহরে ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধন পালন করেছে খেলা ঘর আসর সুনামগঞ্জ জেলা শাখার বিজন সেন রায়সহ শহরের আলফাত স্কায়ারে খেলা আসর সংঘটনরে জেলা শাখার নেতৃবৃন্ধ বক্তব্য রাখেন। মানববন্ধনে বক্তাগন অদুদকে দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্থির জোরালো বাদী জানিয়ে বলেন,অদুদ মিয়া যে দলের হউক সে অপরাধী,অন্যাকারী। গত শনিবার(১৭মার্চ) বিকালে ঘটনার পর রবিবার(১৮মার্চ) তার ছোট ভাই আলম মিয়াকে পুলিশ গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করলেও ঘটনার ১২দিন পার হলেও গ্রেফতার করতে পারে নি পুলিশ প্রশাসন ঐ যুবলীগ নেতা ও ২৮নং পিআইসির সভাপতিকে।

    সে শুধু অন্যায়কারীই নয় জঘন্য অন্যাকারী। যে একটি ছোট শিশুকে এমন ভাবে আঘাত করতে পারে তার কঠিন শাস্থি দিয়ে সবাইকে বুজাতে হবে আইন কোন দল বুজে না অন্যাকারী,অপরাধী বুজে। অদদু মিয়াকে গ্রেফতার করে আইনের মাধ্যমে কঠিন শাস্থির দাবী জানিয়ে বক্তাগন আরো বলেন,ঘটনার পর আদুদ ও তার সহোদর আলম মিয়াকে আসামী করে সোমবার রাতে ১১টায় ইয়ামিন মিয়ার বাবা শাহানুর মিয়া বাদী হয়ে তাহিরপুর থানায় মামলা দায়ের করেছে। মামলা নং ১৪- তারিখ-১৯,০৩,১৮।

    কিন্তু এখনও পুলিশের ধরাচোঁয়ার বাহিরে রয়েছে। ফলে স্থানীয় এলাকাবাসীর মাঝে চাপা ক্ষোব বিরাজ করছে। তাহিরপুর উপজেলায় অনেকেই ক্ষোব প্রকাশ করে জানান,সে কি এমন ক্ষমতাশালী লোক যাকে পুলিশ এখনও ধরতে পারছে না। ১২দিন পার হয়ে যাচ্ছে। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে দ্রুত গ্রেফতার করা হউক। তাকে বাঁচাতে অনেকেই গোপনে আপোষ মিমাংসা করার চেষ্টা করছে। কোন ভাবেই এমন জঘন্য কাজের ক্ষমা করা যায় না। তাকে কঠিন শাস্থি দিতে হবে যাতে করে এমন জঘন্য কাজ করতে একবার হলেও শাস্থির কথা চিন্তা করে যে কোন মানুষ। না হলে ভবিষত্বে আরো এমন অঘটন ঘটবে।
    এদিকে,এই বর্বরচিত ন্যাক্ষার জনক ঘটনাটিকে ও যুবলীগ নেতাকে বাচাঁতা গোপনে আপোষে মিমাংষা করার চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে দক্ষিন শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যার বিশ্বজিৎ সরকারে বিরোদ্ধে। তিনি একাধিবার অদুদ সহ একাধিক ব্যাক্তির সাথে ফোনে কথা বলে ঘটনাটি গোপনে আপোষ মিমাংসা করার চেষ্টা করেন বলে জানাযায়। এব্যাপারে চেয়ারম্যার বিশ্বজিৎ সরকারের সাথে ফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
    তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নন্দন কান্তি ধর জানান,পুলিশ এঘটনায় আব্দুল অদুদ মিয়ার ছোট ভাই আলম মিয়া (৩০)কে আটক করে সুনামগঞ্জ জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। ঐ পিআইসি প্রলাতক থাকায় থাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছে না। গ্রেফতার করার সর্বোচ্ছ চেষ্টা করছি। অদুদ কে গ্রেফতার করতে আমরা পুলিশ বাহিনী রাত দিন সবোর্চ্চ চেষ্টা করছি। আমাদের দুটি টিম ও বিভিন্ন সোর্স মাঠে জোরালো ভাবে কাজ করছে থাকে গ্রেফতার করার জন্য। আশা করি খুব শীর্ঘই থাকে গ্রেফতার করতে পারব।

    উল্লেখ্য,সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় মহালিয়া হাওরের ময়না খালি বাঁেধ উঠায় গত শনিবার(১৭মার্চ) বিকালে হাওরের বাঁেধ উঠায় সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় ৫বছরের শিশু ইয়ামিন মিয়ার ডান হাতের ৩টি আঙ্গুল কেটে দেয় যুবলীগ নেতা ও মহালিয়ার হাওরের ২৮নং পিআইসির সভাপতি আদুদ। যুবলীগ নেতা আব্দুল অদুদের বর্বরতার শিকার হবার এই ঘটনার পর পর বিভিন্ন গনমাধ্যমে খবরটি জোরালো ভাবে প্রকাশের পর সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে রবিবার রাতে ছুটে যান এবং শিশুর চিকিৎসার খোজঁ খবর নেন এবং ইয়ামিন মিয়ার চিকিৎসার সকল ব্যায় ভার নিয়েছেন সুনামগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার বরকত উল্লাহ খান।

    এছাড়াও রবিবার রাতে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক সাবিরুল ইসলামসহ বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তাগন সহ ইয়ামিন মিয়াকে দেখতে যান এবং তার সার্বিক বিষয়ে খোজঁ খরব নেন।

    এদিকে,সুনামগঞ্জ ১আসনের এমপি ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন শিশু ইয়ামিন মিয়ার বাড়ি সোলাইমাননপুর গিয়ে তার স্বজনদের সান্তনা দেন এবং নগত ১০হাজার টাকা হাতে তুলে দেন।