শ্রীমঙ্গলে আউশ ধানের বাম্পার ফলনের প্রত্যাশায় কৃষকরা খুশী

0
506
শ্রীমঙ্গলে আউশ ধানের বাম্পার ফলনের প্রত্যাশায় কৃষকরা খুশী

নূর মোহাম্মদ সাগর,শ্রীমঙ্গল(মৌলভীবাজার)প্রতিনিধি: মৌলভীবাজার শ্রীমঙ্গলে আউশ ধানের বাম্পার ফলনের প্রত্যাশা করছে কৃষকরা। এতে কৃষকদের মুখে ফুটে উঠেছে আনন্দের হাসি। ইতিমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আউশ ধান কাটা শুরু হয়েছে আবার কিছু এলাকায় ধানের শিষ এখনো পেকে উঠেনি। এছাড়া চলছে রোপা আমন ধানের চারা রোপন। কৃষকরা একদিকে ধান কাটছে অন্যদিকে আমন ধানের চারা রোপন করা নিয়ে রীতিমতো ব্যস্ত সময় পার করছেন।
শ্রীমঙ্গলে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানা যায়, এবছর আউশের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছিল ১২৮২০ হেক্টর জমিতে। কিন্তু যথাসময়ে বৃষ্টি না হওয়ায় আবাদ হয়েছে ৯৬১৫ হেক্টর জমি। এবার উপজেলার ১৭শ’ জন কৃষককে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে আউশ চাষের জন্য। প্রত্যেক কৃষক ৫ কেজি বীজ ধান, ১০ কেজি বিওপি এবং ১০ কেজি এমওপি সার পেয়েছেন। আউশে ব্রি ধান-৪৮, ৮৩, ৮২,৮৫, বি আর ২৬,২৭,২৮ জাতের ধানের আবাদ হয়েছে। আউশ ফলন ভালো হয়েছে লক্ষমাত্রার চেয়ে আবাদ কম হলেও এবার ফলন ভালো তাই লক্ষমাত্রার কাঁছাকাঁছি উৎপাদন হবে বলে জানা যায়।
বুধবার (১১ আগস্ট ২০২১)দুপুরে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার আশিদ্রোন ইউনিয়নের কৃষকরা এক দিকে জমির পাকা ধান কর্তন করছেন, আবার অন্যদিকে রোপা আমন ধান রোপন করছেন। এক সাথে ধান কর্তন ও রোপন নিয়ে কৃষকরা ব্যস্ত হলেও আনন্দের কমতি নেই। ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে তারা কৃষি কাজ করছেন।
উপজেলার আশীদ্রোন গ্রামের কৃষক শাকির আহম্মেদ বলেন, এ বছর আউশ ধানের চারা রোপন এর সময় বৃষ্টি কম ছিল। তাই ৪৫শতক জমিতে আউশ আবাদ করেছেন। ফসল ভালো হয়েছে। জমির ধান কাটা শুরু করেছেন। আশা করেন কেয়ার প্রতি ১৬-১৮ মন ধান পাওয়া যাবে বলে জানান।
সদর ইউনিয়নের ভাড়াউড়া গ্রামের কৃষক রফিক মিয়া বলেন, গত কয়েক বছর ধরে তিনি আউশ ধান আবাদ করে আসছেন। এবছর তিনি ৩ কেয়ার জমিতে আউশ ধান আবাদ করেছেন। ইতিমধ্যে তিনি ১ কেয়ার জমিতে ধান কেটেছেন। তার আউশ ধানের ফলন ভালো হয়েছে বলে জানান। ফলন ভালো হওয়ায় তিনি খুবই খুশি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াসমিন মোনালিসা সুইটি বলেন, যথাসময়ে বৃষ্টি না হওয়ায় আউশ ধানের আবাদ লক্ষমাত্রা কিছুটা কম হয়েছে। তবে লক্ষমাত্রা থেকে আবাদ কম হলেও আউশ ধানের ভালো ফলন হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় আশা করি উৎপাদন লক্ষমাত্রার কাঁচাকাঁচি হবে। তিনি আরো বলেন, এ উপজেলার ১৭শ’ জন কৃষকের মাঝে আউশ আবাদের জন্য বীজ ও সার প্রণোদনা হিসেবে দেয়া হয়েছে। ফলন ভাল করতে কৃষকদেরকে সব রকমের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলে জানান।