সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র রুখে দিলেন রওশন এরশাদ!

    0
    204

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৩ফেব্রুয়ারী,তফিদুর রহমান তালুকদার তৌফিকঃ ক্ষমতাসীন সরকারকে উৎখাতের একটি মহাপরিকল্পনা রুখে দিয়েছেন সংসদে বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম রওশন এরশাদ। বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বে চলমান অবরোধ ও হরতালের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা পদত্যাগ করে চলে আসবেন এবং সরকার মধ্যবর্তী নির্বাচন দিতে বাধ্য হবেন এমন পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছিলো ওই ষড়যন্ত্র।

    সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ এমন প্রস্তাব পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। এ আলাপকালে তিনি বলেছেন,নানা আলোচনা-কথাবার্তা হয়েছে। কিন্তু আমি জীবন থাকতে এমন কোন ষড়যন্ত্রে শামিল হবো না।

    রওশন এরশাদ বলেন, একটি নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করতে দেশ-বিদেশে নানা ষড়যন্ত্র চলছে।আমি আশাবাদী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে দেশকে তার অভীষ্ট লক্ষ্যে নিয়ে যাবেন।

    সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া তার চলমান আন্দোলনের মধ্যেই জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদকে সরকার ও সংসদ থেকে বেরিয়ে আসতে রাজি করাতে সক্ষম হয়েছিলেন। এরজন্য মোটা অঙ্কের একটি লেনদেনের বিষয় জড়িত ছিল। কিন্তু এ পথে বাধা ছিলেন সংসদের বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম রওশন এরশাদ ও জাতীয় পার্টির এক মন্ত্রী। এরই মধ্যে ওই মন্ত্রীকে মিডিয়া হিসেবে ব্যবহারের চেষ্টা করা হয়। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রীর কার্যালয়েই কথা হয় এক প্রতিবেদকের সঙ্গে। তিনি জানান, একসময় তিনি ছাত্রদল করতেন এমন ভরসা থেকেই খালেদা জিয়া তার কাছে লোক পাঠিয়েছিলেন, সংসদ থেকে পদত্যাগ করতে রওশন এরশাদকে রাজি করাতে। এর বিনিময়ে দশম সংসদের প্রতিজন সংসদ সদস্য পাবেন ১০ কোটি টাকা করে।

    এছাড়া মধ্যবর্তী নির্বাচনে ৭০টি আসনে জাতীয় পার্টিতে ছাড় দেয়া হবে। প্রতিটি নির্বাচনী এলাকার জন্য খরচ দেয়া হবে ২ কোটি টাকা করে। টাকা লেনদের বিষয়টি সম্পন্ন হবে দেশের বাইরে সুবিধাজনক কোন স্থানে।ওই মন্ত্রী জানান, বিষয়টি নিয়ে তিনি বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদের সঙ্গে কথা বলেছেন।

    জবাবে রওশন এরশাদ কী বলেছেন জানতে চাইলে মন্ত্রী জানান, তিনি আমার কাছে পাল্টা জানতে চেয়েছেন কী করা উচিত? আমি বলেছি, স্যারের (এরশাদ) বেঈমানির কারণেই আজ আপনি (রওশন) বিরোধী দলীয় নেত্রী। স্যার তার বেঈমানীর শাস্তি পেয়েছেন, আল্লাহ আপনার সততার পুরস্কার দিয়েছেন। আপনার এটি ধরে রাখা উচিত।

    জবাবে ম্যাডাম (রওশন) বলেছেন, আমার জান থাকতে এমন কিছু হতে দেব না। তুমি এমপিদের সঙ্গে কথা বল। তারা যেনো কোন ষড়যন্ত্রের কাছে বিক্রি না হয়। ওই মন্ত্রী জানান, ম্যাডামের নির্দেশ মতো সংসদ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারাও একমত কোন ষড়যন্ত্রের কাছে তারা বিক্রি হবেন না। সংসদ সদস্যদের অনেকেই স্বীকার করেছেন, তারা জীবনে এমপি হবেন এমন আশা করেননি।এখন এমপি হিসেবে তো সুযোগ- সুবিধা পাচ্ছেন। সম্মান পাচ্ছেন। এলাকার উন্নয়নের জন্য কিছু কাজ করতে পারছেন। তবে এর মাঝেও দু’একজন দোদুল্যমান ছিলেন। অন্যদের কঠোরতার কারণে তারাও ঠিক হয়ে গেছেন।
    প্রসঙ্গত: সরকারের ওই মন্ত্রী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ছাত্রদলের পক্ষ থেকে নির্বাচন করে একটি হলের ভিপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৯৬ সালের পর তাকে বিএনপিতে ফিরিয়ে নেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। দীর্ঘ ৩ বছর ঘুরিয়ে শেষ পর্যন্ত বিএনপির মনোনয়ন দেয়া হয়নি।সূ্ত্রঃআমাদের সময়