সাত সপ্তাহের পর গাজা ও ইসরাইলের বন্দী বিনিময়

0
136

আমার সিলে। ট ডেস্ক: সাত সপ্তাহের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে গাজার চৌদ্দ হাজার আটশত এবং ইসরাইলের বার’শ এর অধিক পর স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী, ১৩ ইসরাইলি বন্দি ও থাইল্যান্ডের ১২ নাগরিককে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। অন্যদিকে, ৩৯ ফিলিস্তিনিকে ইসরাইলি কারাগার থেকে বের করে নিয়ে আসা হয়েছে।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে জানান, ইসরাইলি কারাগারে বন্দি থাকা ৩৯ ফিলিস্তিনি নারী ও শিশু প্রাথমিকভাবে মুক্তি পেয়েছে।

কাতারের স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল আল-জাজিরা জানিয়েছে, ইসরাইলি সেনাবাহিনীকে দালিয়াত আল-কারমেলের দামুন কারাগার থেকে ফিলিস্তিনি বন্দিদের পশ্চিম তীরের ওফার কারাগারে স্থানান্তর করতে দেখা গেছে।

এদিকে, বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গাজায় আটক ইসরাইলি বন্দিদের মধ্যে ১৩ জনকে আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রেড ক্রসের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখান থেকে তাদেরকে প্রথমে মিশরে নেওয়া হবে এবং পরে তাদেরকে ইসরাইলে নেওয়া হবে।

ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস বলেছে, ইসরাইল যদি সব ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয় তাহলে আমরাও আমাদের হাতে থাকা ইসরাইলি সেনাদের মুক্তি দেব।

শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল সাতটায় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চার দিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। এই চার দিনে ইসরাইলি কারাগারে বন্দি ১৫০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে ইসরাইল। আর বিনিময়ে গাজায় আটক ৫০ জনকে মুক্তি দেবে হামাস।

আজ সকালে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর ২০০ ট্রাক মিশর থেকে রাফা ক্রসিং দিয়ে গাজায় প্রবেশ করেছে। এগুলো চিকিৎসাসামগ্রী, জ্বালানি, রান্নার গ্যাস, পানিসহ খাদ্যসামগ্রী ছিল বলে জানা গেছে।

চুক্তি অনুযায়ী- গাজা উপত্যকায় প্রতিদিন ৪ ট্রাক জ্বালানি এবং রান্নার গ্যাস ঢোকার অনুমতি পাবে। এছাড়া, মিশর থেকে গাজা উপত্যকায় প্রতিদিন ২০০ ট্রাক ত্রাণ ও চিকিৎসাসামগ্রী আনা হবে।

মানবিক যুদ্ধবিরতি চলাকালে এই চার দিনে হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেডসহ অন্যান্য ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠন এবং দখলদার সেনাবাহিনী গাজায় তাদের সমস্ত সামরিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখবে। এছাড়া, দক্ষিণ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বিমান ও ড্রোন উড়া সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে। আর উত্তর গাজায় সকাল ১০টা থেকে শুরু করে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত ইসরাইলি বিমান ও ড্রোন উড়তে পারবে না।

দক্ষিণ গাজার খান ইউনুস শহর থেকে আলজাজিরার সাংবাদিক তারেক আবু আজউম জানিয়েছেন, আজকেই আমরা প্রথমবারের মতো মাথার ওপর ইসরাইলি ড্রোন উড়ার শব্দ শুনতে পাইনি। স্বল্পমেয়াদি এই যুদ্ধবিরতির পথ ধরেই গাজায় দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধবিরতি আসবে বলে স্থানীয় মানুষজনের প্রত্যাশা।