সুজয় কুমার বকসী,নড়াইল প্রতিনিধিঃ নড়াইলে জুয়েল ভূঁইয়া নামে এক শারীরিক প্রতিবন্ধীকে হাতুড়িপেটায় গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিহতের ঘটনায় শনিবার ১৩ আগস্ট রাতে পুলিশ ১২ জনকে আটক করেছে। এসময় ১০-১২টি বাড়ি-ঘর ভাংচুর হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে ৬ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।
শনিবার সন্ধ্যায় খুলনা ৫শ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এর আগে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নিরীহ এই কিশোরকে হাতুড়ি পেটা করে প্রতিপক্ষের লোকজন। জুয়েল ভূঁইয়া (১৮) সে সদর উপজেলার বাঁশগ্রাম ইউনিয়নের কর্মচন্দ্রপুর গ্রামের পান্নু ভূঁইয়ার পূত্র।
জানা গেছে, কর্মচন্দ্রপুর গ্রামে সিকদার ও ভূঁইয়া বংশের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিলো। জুয়েল বাড়ির পার্শ্ববর্তী মাদ্রাসা বাজারে একটি দোকানে কর্মচারি হিসেবে কাজ করেন। প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে বাড়ি থেকে ভ্যানযোগে দোকানে আসছিলেন। পথিমধ্যে বেদভিটা নামক স্থানে পৌছালে কর্মচন্দ্রপুর গ্রামের ইয়াসিন, ফিরোজ, হাফজসহ ৬জন নিরীহ জুয়েলের পথ গতিরোধ করে হাতুড়ি দিয়ে মাথায়, বুকেসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুরুতর জখম করে। তাকে খুলনা ৫শ শয্যার হাসপাতালের ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সন্ধ্যায় মৃত্যু বরন করেন।
এ ঘটনায় জুয়েলের চাচা মান্নান ভূঁইয়া বাদি হয়ে ঘটনার রাতেই সদর থানায় মামলা করেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি (চলতি দায়িত্বে) মাহমুদুর রহমান নিহতরে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “এ ঘটনায় ১২জনকে আটক করা হয়েছে। এসময় ৫-৬টি বাড়ি-ঘর ভাংচুর করা হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে ৬ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।“