৪মৃতদেহসহ ২৯৪ জনকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর

    0
    273

    আমারসিলেট24ডটকম,১৩জুনঃ কক্সবাজার থেকে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে মানবপাচারকারীদের মধ্যকারসংঘর্ষের ঘটনায় উদ্ধার হওয়া ২৯৪ জনের সবাইকে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তরকরা হয়েছে। এর মধ্যে ৪জনের মৃতদেহ রয়েছে।তবে একজনের পরিচয় পাওয়া না যাওয়ায় তাকে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়েছে।

    সেদিনের সংঘর্ষের ঘটনা ও মানবপাচারের অভিযোগে আজ শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত ৮জনকেআটক করেছে পুলিশ। এর মধ্যে টেকনাফ থানার পুলিশ পাঁচজন ও উখিয়া থানার পুলিশ৩জনকে আটক করে। এর আগে বৃহস্পতিবার কক্সবাজার শহর থেকে আটক করা হয় ২ দালালকে।আর ঘটনার সময় ট্রলার থেকে আটক করা হয় ৩ বিদেশীকে।

    জানা যায়,উখিয়া থেকে আটক ৩জন হলেন উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নের সোনাইছড়ি গ্রামেরমাহবুবুল আলম, সোনারপাড়া এলাকার শামশুল আলম ও মরিচ্যা এলাকার জালাল উদ্দিন।টেকনাফের বিভিন্ন স্থান থেকে আটক ৫জন হলেন সাবরাং ইউনিয়নেরকাঁটাবুনিয়ার মোহাম্মদ ফারুক, হোয়াইক্যং ইউনিয়নের রইক্ষ্যং এলাকার নুরুলআলম, একই এলাকার সৈয়দ আলম, মোহাম্মদ মমতাজ ও বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরএলাকার মোহাম্মদ আলী ।

    টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোকতার হোসেনের সূত্রে জানা যায়, এ ঘটনায়মানবপাচার, হত্যা ও অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে পৃথক ৩টি মামলা হয়েছে। এরমধ্যে মানবপাচার মামলায় ৮৯ জন, হত্যা মামলায় আটক৩ বিদেশী ও ২০ জনঅজ্ঞাত, অনুপ্রবেশ মামলায় ৩ বিদেশীকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের ধরতেঅভিযান চলছে।

    কক্সবাজারের পুলিশ সুপার তোফায়েল আহমদ বলেন, কোস্টগার্ড নিহত, আহত ও সুস্থ মিলে দুই দফায় ২৯৪ জন যাত্রীকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করে।তাদের সবাইকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।আজ  শুক্রবার বেলা দুইটা পর্যন্ত চলে এ হস্তান্তর কার্যক্রম।

    ওই পুলিশ সুপার  আরো জানান, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা “ইপসা” ও “নারী ও শিশুসুরক্ষা নেটওয়ার্ক”এর মাধ্যমে পুলিশের সহযোগিতায় যাত্রীদের হস্তান্তর করাহয়।

    অপরদিকে,কক্সবাজার সদর হাসপাতালে যারা চিকিৎসাধীন ছিলেন, তাদেরও  স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।