ইয়েমেনী ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় ইসরাইলে বন্দর কার্যক্রম স্থবির

0
109

আমার সিলেট ডেস্ক: লোহিত সাগরে ইয়েমেনের হুথি আনসারুল্লাহ আন্দোলন সমর্থিত সামরিক বাহিনীর হামলার কারণে দখলদার ইসরাইলের এইলাত সমুদ্রবন্দরের কার্যক্রম অনেকটা পঙ্গু হয়ে গেছে।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরাইলি সেনাদের বর্বর আগ্রাসন ও গণহত্যার প্রতিবাদে ইয়েমেনের হুথি যোদ্ধারা ও সামরিক বাহিনী লোহিত সাগরে ইসরাইলি জাহাজে হামলা শুরু করে।

এক পর্যায়ে তারা ইসরাইল অভিমুখী যেকোনো দেশের জাহাজকেও টার্গেট করার ঘোষণা দেয়।
এছাড়া, এইলাত বন্দর লক্ষ্য করে ইয়েমেন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। এসব তৎপরতায় বন্দরের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।

বন্দরের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে গতকাল (বৃহস্পতিবার) বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, লোহিত সাগরের বাব আল-মান্দেব প্রণালীতে ইসরাইল অভিমুখী জাহাজে ইয়েমেনের হামলার কারণে এইলাত বন্দরের কার্যক্রম মারাত্মকভাবে কমে গেছে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের শতকরা ৪০ ভাগ বাব আল-মান্দেব প্রণালী দিয়ে সম্পন্ন হয়।
প্রধান নির্বাহী গিডিয়ন গোলবার রয়টার্সকে বলেন, “বাব আল-মান্দেব ছাড়া এইলাত বন্দরের প্রধান শিপিং ধমনী অচল।
ফলে আমরা মোট কার্যক্রমের শতকরা ৮৫ ভাগ হারিয়েছি।” আনসারুল্লাহ যোদ্ধারা এবং ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী লোহিত সাগরে হামলা শুরু করার পর থেকে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক শিপিং জায়ান্ট বাব আল-মান্দেব প্রণালীর মাধ্যমে তাদের জাহাজ চলাচল বাতিল করছে।

যে সমস্ত জাহাজ ইসরাইলে যেতে চাইছে তাদেরকে এখন পুরো আফ্রিকা মহাদেশ ঘুরে ভূমধ্যসাগর হয়ে যেতে হচ্ছে। তাতে যেমন দূরত্ব বেড়েছে তেমনি সময় এবং অর্থ খরচ দুটোই বেশি লাগছে।
ফলে অনেক পণ্য সময় মতো পৌঁছাতে পারছে না আবার কোন কোন পণ্যের মেয়াদ হয়তো জাহাজেই শেষ হয়ে যাচ্ছে।