ত্রাণের নামে ২৯৬জন থেকে ৫শ টাকা করে হাতিয়ে নিয়ে গেছে

    0
    258

    আমার সিলেট টুয়েন্টি ফোর ডটকম,০৯জুন,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ  সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে ত্রাণ সহায়তার নামে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের কাছ থেকে ইউপি চেয়ারম্যানের কথা বলে জন প্রতি নগদ ৫শ টাকা করে ২৯৬জন নারী পুরুষ কাছ থেকে হাতিয়ে নিল চেয়ারম্যানের সহযোগীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলার দক্ষিন শ্রীপুর ইউনিয়নে কাতার চ্যারিট্যাবল ট্রাষ্টের ত্রাণ সামগ্রী বিতরন কালে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে সরাসরি অভিযোগ করেন ত্রাণ নিতে আসা ঐ সব লোকজন।

    জানা যায়,কাতার চ্যারিট্যাবল ট্রাষ্ট হাওরা লে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের সহায়তা দিতে উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের নামের তালিকা সংগ্রহের জন্য। এরই ধারাবাহিকতায় দক্ষিন শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নামের তালিকা আসে। ইউনিয়নে ৯টি ওয়ার্ড থাকলেও ইউপি চেয়ারম্যান শুধুমাত্র ইউনিয়নের (১,২ও ৩) নং ওয়ার্ড থেকে তালিকা তৈরী করে পাঠান। তালিকায় অন্তর্ভূক্ত সুবিধাভোগীরা গতকাল বৃহস্পতিবার ত্রান নিতে আসে দক্ষিন শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদে।

    এ সময় লামাগাঁও গ্রামের নুরজামালের স্ত্রী সিরিনা বেগম,চানফর আলীর স্ত্রী আম্বিয়া বেগম,গোলাবাড়ি গ্রামের সেলিম উদ্দিনের স্ত্রী রুমা বেগম ও সফিকুল ইসলামের স্ত্রী সুফিয়া বেগম সহ শত শত লোকজন অভিযোগ করে বলেন,রামসিংহপুর গ্রামের মর্তূজ আলীর পুত্র খোকন মিয়া,মোয়াজ্জেমপুর গ্রামের তপন তালুকদার ও ইউপি সদস্যা হাফসা আক্তার ও তার স্বামী কয়েছ মিয়া চেয়ারম্যান বিশ্বজিত সরকারের নামে ত্রান দেয়ার কথা বলে কৃষ্টপুর,গড়েরড়াও,মাহমুদপুর,রামসিংহপুর,দু-মাল,সহ ১০টি গ্রামের ২৯৬জনের কাছ থেকে জন প্রতি ৫শত করে টাকা হাতিয়ে নেয়।

    ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সিরাজ উদ্দিন বলেন,ইউনিনের সব কটি ওয়ার্ডের লোকজন ক্ষতিগ্রস্থ হলেও বিশ্বজিত চেয়ারম্যান অবৈধ সুবিধা হাসিলের লক্ষ্যে তার ২নং ওয়ার্ড সহ ১ ও ৩ নং ওয়ার্ডে বিতরণ করেছে।

    একই ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কামাল আহমেদ জানান,চেয়ারম্যান বিশ্বজিত সরকার অতিরিক্ত সুবিধা নেয়ার জন্য শুধুমাত্র ৩টি ওয়ার্ডে ত্রান দিয়েছে। আমি

    কাতার চ্যারিটেবল ট্রাস্টের লোকজনের সহিত কথা বলেছি তারা আামাকে জানিয়েছে তারা পুরো ইউনিয়নে ত্রান সহায়তা দেয়ার জন্য চেয়ারম্যানের কাছে তালিকা চেয়েছে।

    দক্ষিন শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিশ্বজিত সরকার বলেন,আমার নাম ভাঙ্গিয়ে যারা টাকা আদায় করেছে তারা আমার লোক নয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়,রামসিংহপুর গ্রামের খোকন মিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্বজিত সরাকরে ঘনিষ্ঠ সহযোগী সেই সাথে অপর আর একজন তপন সরকার তার গ্রামের তার আত্মীয়। তাছাড়া ইউপি সদস্যা হাফছা আক্তারও ইউনিয়ন পরিষদে অন্যান্যের চাইতে তার সাথে ঘনিষ্ট।

    ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে উপস্থিত উপজেলা ত্রাণ কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সুব্রত দাস জানান,ত্রাণ বিতরণ কালে ভুক্তভোগীরা তাদের কাছ থেকে ৫শটাকা করে হাতিয়ে নেয়ার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানান। তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন,অভিযোগের বিষয়ে আমি জেনেছি,লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।