নবীগঞ্জে ৯ বছরের শিশুর ভাসমান অবস্থায় রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার! মৃত্যু নিয়ে রহস্য

0
124

নূরুজ্জামান ফারুকী,বিশেষ প্রতিনিধি: নবীগঞ্জ উপজেলার মান্দারকান্দি আশ্রয়ন প্রকল্পের পাশে আনোয়ার হোসেন এর ডুবা থেকে ভাসমান অবস্থায় টিনা রানী দাস নামের ৯ বছরের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ। এ নিয়ে রহস্যের দানা বাঁধছে। এটি হত্যা না দুর্ঘটনা চলছে বিশ্লেষণ।

পুলিশ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়,শনিবার (১০ জুন) দিবাগত রাতে লাশটি উদ্ধার এবং ছুরতহাল তৈরী করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। রবিবার (১১ জুন) সকালে জিডি মুলে মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।
পুলিশ ছুরতহাল তৈরী কালে টিনা রানী দাসের মাথায় রক্তাক্ত জখম দেখতে পান। ফলে কোমলমতি শিশু টিনা রানী দাসের মৃত্যুটি রহস্যজনক।
স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার হালিতলা গ্রামের অসহায় ভুমিহীন পিন্টু চন্দ্র দাস বরাদ্ধকৃত প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয় প্রকল্প মান্দারকান্দিতে (শাহাপুর ১২নং কালিয়ারভাঙ্গা ইউপি) সরকারী ঘরে বসবাস করে আসছেন। সাথে রয়েছেন তার ২য় স্ত্রী, মা ও ১ম স্ত্রীর মেয়ে টিনা রানী দাসসহ ২য় স্ত্রীর সন্তানরা।
পিন্টু চন্দ্র দাস পেশায় একজন সবজি বিক্রেতা। বাজারে বাজারে ঘুরে সবজি বিক্রি করে এবং তার মা গ্রামে গ্রামে ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করে। দিনের বেলায় বাড়িতে শুধু মাত্র সৎ মা, টিনা রানী দাস ও ছোট ছোট সৎ ভাই-বোন থাকেন। শনিবার বিকালে টিনা রানী দাস পাশের বাড়িতে যাবার কথা বলে ঘর থেকে বের হয়।
সন্ধ্যায় টিনার দাদী মা (ঠাকুর মা) বাড়িতে ফিরে আসলে টিনা রানী দাসকে ঘরে না দেখে খোজঁ করেন। তখন সৎ মা জানায়, পাশের বিজয় বাবুর বাড়িতে যাবার কথা বলে বিকালে ঘর থেকে বের হয়, আর ফিরে আসেনি। রাত সাড়ে ৭ টার দিকে পথচারী লোকজন আশ্রয় প্রকল্পের জনৈক আনোয়ার হোসেনের ডুবার পানিতে ভাসমান অবস্থায় শিশুর লাশ দেখে থানায় খবর দেন।
খবর পেয়ে এসআই রাজিবুর রহমান, এসআই মোঃ আঃ ওয়ারেছ এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে পানি থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার করে উপরে তোলেন। এ সময় টিনা রানী দাসের পরিবার তাকে সনাক্ত করেন। এক পর্যায়ে মৃতের মাথা দিয়ে রক্ত ঝড়তে দেখা যায়। পুলিশ লাশের ছুরতহাল তৈরী কালে মাথায় কাটা জখম দেখতে পান।
রবিবার (১১ জুন) সকালে ময়না তদন্তের জন্য টিনার মৃতদেহ হবিগঞ্জ আধুনিক হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।
ঘটনার খবর পেয়ে এডিশনাল এসপি সামছুল ইসলাম, বাহুবল সার্কেল এসপি আবুল খায়ের এবং থানার অফিসার বৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সংবাদ লেখা পর্যন্ত এব্যাপারে প্রক্রিয়া পদক্ষেপ প্রক্রিয়া দিন ছিল।