মৌলভীবাজারে ‘মুক্তি সংগ্রামী এক বীরের গল্প’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন

0
434
মৌলভীবাজারে ‘মুক্তি সংগ্রামী এক বীরের গল্প’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন
মৌলভীবাজারে ‘মুক্তি সংগ্রামী এক বীরের গল্প’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন

যাঁরা সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধা, তাঁরা তো কোনো কিছু পাওয়ার আশায় যুদ্ধে যাননি-বীর মুক্তিযুদ্ধা আব্দুন নূর।

আলী হোসেন রাজন, মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ ৬ মার্চ রোববার ২০২২ ইং তারিখ সন্ধ্যায় মৌলভীবাজার পৌরসভার কনফারেন্স হলে বাংলাভাষী মিডিয়ার আয়োজনে প্রকাশনা উৎসবে সাবেক ছাত্রনেতা প্রবাসী রুহুল আমিন রুহেলের সভাপতিত্বে ও মোস্তফাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রুমেল আহমদ এর সঞ্চালনায় ‘মুক্তি সংগ্রামী এক বীরের গল্প’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার ৩ আসনের সংসদ সদস্য নেছার আহমেদ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র ফজলুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর নুর, শিক্ষাবিদ মায়া ওয়াহেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি শাহ মোহাম্মদ আলী শাহেদ।

মৌলভীবাজার ৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নেছার আহমদ বলেন ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের সূচনালগ্নে পাকিস্তানি বাহিনী কর্তৃক গ্রেফতার হওয়ার আগে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। শুরু হয় অবরুদ্ধ স্বদেশ থেকে দখলদার বাহিনীকে বিতাড়িত করার মরণপণ লড়াই, মুক্তিযুদ্ধ।

বীর মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করে দেশ স্বাধীন না করলে আজ আমরা কোনোভাবেই নিজেদের স্বাধীন জাতি ভাবতে পারতাম না, পরাধীনতার শিকল হয়তো আমাদের আজও তাড়া করে বেড়াত। তাই মুক্তিযুদ্ধাদের আমি গভীর শ্রদ্ধা করি।

পৌর মেয়র মোঃ ফজলুর রহমান বলেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে তারা মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়ে পাকিস্তানি বর্বর বাহিনীকে বিতাড়িত করার মাধ্যমে ‘বাংলাদেশ’ নামক একটি স্বাধীন রাষ্ট্র ছিনিয়ে এনেছে। ৩০ লাখ শহীদ ও ২ লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে আমাদের এ স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধারা কখনও তাদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করেননি। আজ মুক্তিযুদ্ধা আব্দুন নূর সাহেবের মুক্তিযুদ্ধার ইতিহাস নিয়ে বইয়ের মোড়ক উন্মোচনে অংশ নিতে পেরে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করছি।

এসময় বীর মুক্তিযুদ্ধা আব্দুন নূর বলেন আমাদের মত যাঁরা সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধা, তাঁরা তো কোনো কিছু পাওয়ার আশায় যুদ্ধে যাননি। তাঁরা যুদ্ধে গেছেন নিজের মা-বোনদের ইজ্জত রক্ষা করতে, স্বাধীন সার্বভৌম একটি রাষ্ট্রের জন্য। তাঁদের কোনো কিছুর বিনিময়ে মূল্যায়ন করতে পারবে? পারবে না। আজকে যারা এই অনুষ্টানে এসেছে তাদের প্রতি আমি চিরকৃতজ্ঞ।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন বইয়ের লেখক ফয়সল আলম, অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন  বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালের সম্পাদক ও কবি সৈয়দ মোশাহিদ আহমদ চুন্নু,  কবি ও সাংবাদিক আকমল হোসেন নিপু,ওয়ার্ড কাউন্সিলর এডভোকেট পার্থ সারথি পাল, শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা জসীম উদ্দিন মাসুদ,  কবি পুলক কান্তি ধর প্রমুখ ।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ কমলগঞ্জ উপজেলার সাংবাদিক নুরুল মোহাইমিন  মিল্টন, সাংবাদিক নির্মল এস পলাশ , সাংবাদিক জয়নাল আবেদীন, সাংবাদিক প্রণীত রঞ্জন, সাংবাদিক হাসনাত কামাল , সারোয়ার মজুমদার  ইমন  সভাপতি নবীন সংঘ  থিয়েটার

কার্যনির্বাহী সদস্য ও জেলা ক্রীড়া সংস্থা, তত্তাবধানে মোসাদ্দেক হোসেন পাপ্পু , লন্ডন প্রবাসী কবি আসমা মতিন ও উনার পুত্র  ,কবি দেলওয়ার মিয়া ,কবি আবদুল সুফিয়ান , কবি শিউলি ইয়াসমিন কবি সামসুল ইসলাম।

মুক্তিযুদ্ধা আব্দুন নূর এর পরিবারের  পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন উনার মেয়ে শিক্ষিকা নাসরিন আহমেদ, ভাতিজি সুমাইয়া করবি , নাতি মান্না আহমেদ ,আজোয়াদ আহমেদ।

 অনুষ্ঠান শেষে কেক কেটে বইয়ের মোড়ক উম্মোচন করেন প্রধান অতিথি সহ অন্যান্য অতিথিরা।