শ্রীমঙ্গলে চুরির অভিযোগ দিয়ে জোর করে শিশু বলাৎকার ও মারপিটের অভিযোগে আটক-৫

0
159

আমার সিলেট ডেস্ক রিপোর্ট: শ্রীমঙ্গলে মোবাইল চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে অপবাদ দিয়ে জোর করে এক শিশুকে নির্মমভাবে পালাক্রমে বলাৎকার ও মারপিটের অভিযোগে পাঁচ ভাই রেস্টুরেন্টের ৫ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে সোমবার দুপুরে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ এবং স্থানীয় ও মামলার সূত্রে জানা যায়,ভিকটিম রাহান (১৭) শ্রীমঙ্গল থানাধীন হবিগঞ্জ রোডস্থ পাঁচ ভাই হোটেলে গ্লাসমিট (হোটেল বয়) হিসেবে কর্মরত ছিল। পাঁচ ভাই হোটেলের কর্মচারী গ্রেফতারকৃত ২ নং আসামী মোঃ রুবেল আহমেদ (২৮) এর মোবাইল চুরির বিষয়ে সন্দেহ করে গ্রেফতারকৃত পাঁচ ভাই হোটেলের অপর কর্মচারী ১ নং আসামী আব্দুর রহমান সোহান (২০) গত ০২/০৬/২০২৩ খ্রিস্টাব্দ তারিখ রাত প্রায় দশ (১০) টার দিকে ভিকটিম রাহান (১৭) কে শ্রীমঙ্গল স্টেশন রোড এলাকা হতে আটক করে শ্রীমঙ্গল শহরের হবিগঞ্জ রোডস্থ পাঁচ ভাই হোটেলের ২য় তলায় স্টাফ রুমের ভিতরে জোর পূর্বক আটক রাখে। গ্রেফতারকৃত আসামীগন ভিকটিম রাহান (১৭) কে হত্যার উদ্দেশ্যে লাঠি দিয়ে এলোপাথারি মারপিট করে বাম চোখের নীচে এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মারাত্মক গুরুতর জখম করে। পরবর্তীতে গ্রেফতরকৃত পাঁচ ভাই হোটেলের কর্মচারী আসামী আব্দুর রহমান সোহান, মোঃ রুবেল আহমেদ এবং মোঃ সাজিদ মিয়া একে অপরের সহায়তায় ভিকটিমকে জোরপূর্বক তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে পায়ুপথে পালাক্রমে বলাৎকার (ধর্ষণ) করে। ভিকটিম গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে পড়লে সকল মিলে গত ০৩/০৬/২০২৩ খ্রিস্টাব্দ তারিখ ভোর সাড়ে পাঁচটায় হোটেল এর স্টাফ রুম থেকে বের করে দেয়। ভিকটিম মুমুর্ষু অবস্থায় বাড়িতে গিয়ে ঘটনার বিস্তারিত জানায়।
পরবর্তীতে ভিকটিমের শারীরিক অবস্থা অবনতি ঘটলে দ্রুত চিকিৎসার জন্য গত ৯/০৬/২০২৩ খ্রিস্টাব্দ তারিখে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতাল,মৌলভীবাজারে ভর্তি করেন। একপর্যায়ে ভিকটিমের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
শিশু বলাৎকারের (ধর্ষণ) ঘটনায় হবিগঞ্জ রোডস্থ পাঁচ ভাই হোটেলের কর্মচারী আব্দুর রহমান সোহান (২০), পিতা-মোঃ ফজলু মিয়া, সাং-আদোপাশা বহরতিলক, থানা: মৌলভীবাজার সদর, জেলা মৌলভীবাজার বর্তমানে শান্তিবাগ (সুমন মিয়ার বাড়ীর ভাড়াটিয়া), থানা: শ্রীমঙ্গল, জেলা: মৌলভীবাজার। মোঃ রুবেল আহমেদ (২৮), পিতা-মৃত আব্দুল আলী, সাং-কুরশী, থানা: নবীগঞ্জ, জেলা: হবিগঞ্জ। মোঃ সাজিদ মিয়া (২০), পিতা-মৃত মোঃ তৌফিক মিয়া, সাং-সবুজবাগ, থানা: শ্রীমঙ্গল, জেলা: মৌলভীবাজার। মেহেদী হাসান মাসুম (২৫), পিতা-মোঃ তছকির মিয়া,সাং-জগন্নাথপুর, থানা: মৌলভীবাজার সদর, জেলা: মৌলভীবাজার এবং মোঃ নজরুল ইসলাম (৪৫), পিতা-মৃত মোঃ জয়নাল আবেদীন, সাং-সাং-জগন্নাথপুর, থানা: মৌলভীবাজার সদর, জেলা: মৌলভীবাজার সকলকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত ওসি) মোঃ আমিনুল ইসলাম ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে আমার সিলেটকে জানান-এ ঘটনায় মামলা হয়েছে বিষয়টি অত্যন্ত নেককারজনক। আমরা তদন্ত করতেছি। অচিরেই আপনাদেরকে বিষয়টি সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানাতে পারবো।