শ্রীমঙ্গলে জলমহাল ইজারা নিয়ে উপজেলা কর্মকর্তার কাছে অভিযোগঃমামলার কারণেই জটিলতা

0
250
শ্রীমঙ্গলে জলমহাল ইজারা নিয়ে উপজেলা কর্মকর্তার কাছে অভিযোগঃমামলার কারণেই জটিলতা
শ্রীমঙ্গলে জলমহাল ইজারা নিয়ে উপজেলা কর্মকর্তার কাছে অভিযোগঃমামলার কারণেই জটিলতা

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ শ্রীমঙ্গল উপজেলার ৫ নং কালাপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত হাবিবপুর মৌজার দুটি জলমহাল বিহাইর বিল ও বিহায় খারা ইজারা নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট একটি বড় অঙ্কের রাজস্ব ক্ষতিগ্রস্তের অভিযোগ করেছে “সূৰ্য্যমুখী মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লি.” এর সভাপতি মোঃ আনোয়ার হোসেন।
লিখিত অভিযোগে মোঃ আনোয়ার হোসেন দাবি করেন “…৯১১ (৭) নং স্মারকে প্রেরিত ১৪/০৬/2022 ইং তারিখে, ০৫/০৭/২০২২ইং তারিখের ৫৯২ নং পত্রের আলোকে যে খাস আদায়ের পুনঃ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয় সেই বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক গত ৩১/০৮/২০২২ইং তারিখে আমি নিম্ন স্বাক্ষরকারী আমার সমিতির নামে (১) বিহাই বিল (২) বিয়াইর কাড়া জলমহাল দুটি ১,০০০০০ (এক লক্ষ) টাকায় লীজ পাওয়ার জন্য আবেদন করিলে আমার সমিতি সবোর্চ্চ দরদাতা হিসাবে বিবেচিত হইলে অজানা কারণে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আমার সমিতির নিকট হইতে সরকারী রাজস্ব গ্রহণ করিতেছেন না। সহকারী কমিশনার মামলার অজুহাত দেখাইয়া সরকারের রাজস্ব ক্ষতিসাধন করিতেছেন। কিন্তু বিগত ৩০/১১/২০১৭ইং তারিখে ৩৭৬ নং স্মারক গণপ্রজান্ত্রী বাংলাদেশ সরকার নরকারী কৌশলীর কাৰ্যালয় মৌলভীবাজার হইতে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কমকর্তা বরাবরে বিহাই বিল সংক্রান্ত যে মতামত দেওয়া হয় তাতে দেখা যায় ভূমি স্বত্ত্ব ১২০/১৯৮২ নং মামলা উল্লেখ করা হয়েছে। সেই মামলায় বরুনা মৌজার বোরো ক্ষেত ফসলী জমি উল্লেখ করা হয়েছে। সেই মামলায় কোন দাগ উল্লেখ নেই।
এবং রিট মামলার বাদী এরশাদ মিয়া, পিতা: মৃত জমশের উল্লাহ বিগত ১৪২৩ বাংলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) হইতে উক্ত বিহাই বিল ৬৫০০ টাকার রাজস্বে অতিরিক্ত সময়ের জন্য খাস আদায়ে লীজ নিয়েছেন। আপনার সদয় বিবেচনার জন্য জি.পির মতামত ও খাস আদায়ের লীজ সংক্রান্ত কাগজ এবং স্বত্ত্ব ১২০/১৯৮২ নং মামলার জাবেদা নকল আপনার বরাবর দাখিল করিলাম।”
উপরোক্ত দরখাস্তের আলোকে বৃহস্পতিবার ৮ সেপ্টেম্বর দুপুরে শ্রীমঙ্গল উপজেলা সমন্বয় কমিটির সভায় স্থানীয় সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ এর উপস্থিতিতে একই বিষয়ে ৫ নং কালাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতলিব ঘটনাটি উপস্থাপন করলে প্রথমে উপজেলা চেয়ারম্যান ভানু লাল রায় “উত্থাপিত বিষয়টি একজন এডভোকেটের মাধ্যমে সমাধান করার কথা বলেন।”
পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলি রাজিব মাহমুদ মিঠুন বলেন,”উভয়পক্ষের দরখাস্ত আমার কাছে এসেছে। আমি জেলায় জিপি বরাবর সকল কাগজ প্রেরণ করেছি।জিপির সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অপরদিকে,এব্যাপারে ভূমি কর্মকর্তার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আদালতে মামলা থাকলে আমাদেরকে খুব হিসেব-নিকেশ করে কাজ করতে হয়। কারণ আদালতে মামলার প্রায়োরিটি সর্বাগ্রে।এছাড়া ভূমি অফিসে অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে সবচেয়ে বেশি স্বচ্ছতা নিয়ে এসেছি আমি তা অবশ্যই খোঁজ নিলে আপনারা পাবেন। কোন বিষয়ে আদালত জড়িত থাকলে অনেক হিসেব নিকেষ করে কাজ করতে হয়,উনারা যে বেশি টাকা ডাক দিয়েছেন তা তো আমিই ওনাদেরকে বলেছি আমি কিছুই গোপন করিনি কারণটি হচ্ছে আদালতে মামলা।যেহেতু এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মুক্ত বক্তব্য রেখেছেন সেখানে আমি আর এ বিষয়ে বলতে চাই না উনার বক্তব্যই যথেষ্ট। আমাদেরকে জিপি মহোদয় বা প্রয়োজনে আরো উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।আমার জন্য এখানে উভয়ই সমান।