সকালে জনসমাগম,দুপুরে জনশূন্য;মানা হচ্ছে না দূরত্ব

    0
    190

    নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি: করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে শুধুমাত্র মেডিসিন, সার, বীজ, কীটনাশক, কাঁচাবাজার, মুদি দোকান সকাল থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা রাখার নির্দেশনা রয়েছে নওগাঁর আত্রাই উপজেলা প্রশাসনের।

    উপরোক্ত দোকান ব্যতীত সবধরনের দোকানপাট পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব সময়ের জন্য বন্ধ থাকবে। এই নির্দেশ অমান্য করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে মর্মে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং এবং গত ১৫ এপ্রিল জেলা প্রশাসক স্বাক্ষরিত গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় নওগাঁ জেলা লকডাউন কিন্তু আত্রাই উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারের চিত্র ভিন্ন।

    প্রতিদিন সকাল থেকেই আত্রাই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সব ধরনের দোকানপাট খোলা থাকতে দেখা যাচ্ছে। তবে বিকেল ৫টার পর থেকে ওষুধের দোকান ছাড়া সব ধরনের দোকানপাট বন্ধ থাকতে দেখা যায়। দুপুর ২টার পর মনে হয় উপজেলা বিভিন্ন এলাকা ভূতুড়ে অবস্থা বিরাজ করছে।

    উপজেলার বিভিন্ন এলাকার হাট-বাজারে সরকারের নির্দেশনা মানা হচ্ছে না। মেডিসিন, সার, বীজ, কীটনাশক, কাঁচাবাজার, মুদি দোকান ছাড়াও সবধরনের দোকানপাট খোলা হচ্ছে। পুলিশ এলেই সবাই পালিয়ে বিভিন্ন ওলি গলিতে লুকিয়ে থাকছে পুলিশ চলে গেলেই আবার জনসমাগম সৃষ্টি হ্েছ। এ যেন পুলিশের সাথে জনগণের এক লুকোচুরি খেলা।

    সপ্তাহের প্রতিটাদিনই আত্রাই থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোসলেম উদ্দিনকে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে করোনার ভয়াবহতায় সরকারের নির্দেশনা মানতে জনসাধারণকে অনুরোধ করতে দেখা গেছে। পাশাপাশি নির্দেশ অমান্য করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণা দেন।

    এ ব্যাপারে আত্রাই থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোসলেম উদ্দিন জানান, দেশের এই দূর্যোগময় মুহূর্তে সকলকে সরকারের নির্দেশ মেনে চলা উচিৎ। এখনো মানুষকে ঘর থেকে বের না হতে অনুরোধ করা হচ্ছে। প্রতিটি হাট-বাজারে গিয়ে মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। এর পরও কেউ যদি সরকারের নির্দেশ অমান্য করে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ‘আমরা প্রতিনিয়ত চেষ্টা করছি মানুষকে সচেতন করার জন্য। তবে আমরা যখন আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে নিয়ে মাঠে যাচ্ছি তখন মানুষ পালিয়ে যাচ্ছে। আমরা আসার পর আবার আগের মতোই পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে।

    এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ছানাউল ইসলাম বলেন, করোনা ভাইরাস থেকে মানুষকে সামাজিক দূরুত্বের কথা চিন্তা করে গত ১৪ এপ্রিল থেকে সাহেবগঞ্জ কাঁচা বাজার উপজেলার হেলিপ্যাড মাঠে সবজি, মাছ, পান, সুপারির দোকান স্থানান্তর করা হয়েছে। এবং ১৭ এপ্রিল শুক্রবার সকালে উপজেলার ভবানীপুর বাজারের সবজি, মাছ, পান, সুপারির দোকান স্থানান্তর করা হয়েছে ভবানীপুর জিএস উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে। তিনি আরো বলেন পর্যায়ক্রমে উপজেলার নওদুলি, বান্ধাইখাড়া হাট-বাজার ও ফাঁকা জায়গায় স্থানান্তর করা হবে। এতে করে সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকবে।’