আমার সিলেট টুয়েন্টি ফোর ডটকম,০৪অক্টোবরঃ সিলেটের এমসি কলেজ ক্যাম্পাসের পুকুরপাড়ে প্রকাশ্য দিবালোকে জনমানুষের সম্মুখে এক শিক্ষার্থী সন্ত্রাসের দেশীয় ধারালো অস্রের কোপে গুরুতর আহত সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিসকে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে তাকে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নার্গিসকে স্কয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।এর আগে সোমবার বিকেলে গুরুতর জখম হওয়ার পর তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। মধ্যরাত পর্যন্ত সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
নার্গিসের চাচা আবদুল কুদ্দুস জানান, তার মাথায় পাঁচ-ছয়টি কোপ দেয়া হয়েছে। চিকিৎসকরা কোনো আশ্বাস দিতে পারেননি।
তারা বলেছেন, পরিস্থিতি ভালো নয়। কোপে গুরুতর জখম হয়েছে সে। স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তির পর পরিস্থিতি দেখে তৎক্ষণাৎ তাকে লাইফ সাপোর্ট দেয়া হয়েছে।
এদিকে, এ ঘটনার প্রতিবাদে সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীরা কলেজের সামনে বন্দর-জিন্দাবাজার সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ সমাবেশ করছেন। তারা হামলাকারীর দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে বুধবার থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।
অপরদিকে এমসি কলেজ ক্যাম্পাসের সামনেও মানববন্ধন করছেন শিক্ষার্থীরা।
নার্গিসের চাচার সুত্রে জানা যায়,সোমবার দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা দিতে এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়েছিলেন খাদিজা। বিকেলে পরীক্ষা দিয়ে বেরিয়ে আসার সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বদরুল আলম (২৭)। পরে অন্য শিক্ষার্থীরা তাকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
সিলেট মহানগর পুলিশ দক্ষিণের উপকমিশনার (ডিসি) বাসুদেব বণিক সাংবাদিকদের জানান, হামলাকারী যুবককে আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ঘটনাটি প্রেম সম্পর্কিত কারণে ঘটেছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।
