আমার সিলেট রিপোর্ট,শ্রীমঙ্গল: বর্ষাকালের অতিবৃষ্টির কারনে পাহাড়ি অধ্যুষিত শ্রীমঙ্গল উপজেলায় সাপের কামড়ের রোগী বৃদ্ধি পেয়েছে বলে শ্রীমঙ্গল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান টি এইচ ও ডাক্তার সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী জানিয়েছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়,গত দুইদিনে বেশ কয়েকজন সাপের কামড়ের রোগী জরুরি বিভাগে এসেছেন। এর মধ্যে মো. কামরুজ্জামান, পল্লি বিদ্যুত এর একজন কর্মী আলিয়াছড়া পুঞ্জিতে দায়িত্ব পালনকালে সাপের কামড়ের শিকার হোন। সাপটি বিষাক্ত ছিল তাই খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী ইমার্জেন্সিতে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সম্রাট কিশোর পোদ্দারকে পূর্ব থেকেই এন্টিভেনম দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে বলেন। রোগী আসার সাথে সাথেই ব্লাড ক্লটিং টেস্ট করা হয় এবং সেটা নেগেটিভ আসে৷ আর রোগীর অবস্থা খারাপ হতে শুরু করলে জরুরি ভিত্তিতে ডা. শারমিন আক্তার ও ডা. শাহ মো. নাসিফ ও উপস্থিত হন। ইউএইচএফপিও ডা. সাজ্জাদ হোসেন এর তত্ত্বাবধানে উপস্থিত তিনজন মেডিকেল অফিসার ও কর্তব্যরত স্যাকমো,এসএসএন ও ওয়ার্ডবয় সহ সবার আন্তরিক টিমওয়ার্কের মাধ্যমে সফলভাবে সাপে কাটা রোগীকে এন্টিভেনোম দেওয়া হয় এবং একই সাথে সার্বক্ষণিক তার ভাইটালস মনিটরিং করা হয়।
ডাক্তার সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী বলেন,সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে এন্টিভেনম দেওয়ার পর রোগী ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে আসে এবং নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে ফিরে আসেন। পরবর্তীতে আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়। সেখানে এখন পর্যন্ত কোন বাড়তি চিকিৎসার প্রয়োজন হয় নি এবং রোগী এখন ভালো বোধ করছেন বলে ফোনে জানিয়েছেন।
এছাড়াও মো. সালেক ও ইলিয়াস মিয়া নামের আরও দুইজন রোগী সাপে কাটা নিয়ে গত দুইদিনে ভর্তি হয়েছিলেন। সেটা বিষাক্ত সাপের কামড় না হওয়ায় উনাদের ২৪ ঘন্টা হাসপাতালে তত্ত্বাবধানে রাখা হয় এবং রোগী সুস্থ থাকায় ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, বর্তমানে বর্ষাকাল চলছে পাহাড়ি পানি গ্রাম থেকে হাওরে প্রবেশ করছে। এমতাবস্থায়ী সকলকে সাপের আক্রমণ থেকে সতর্ক থাকার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে সতর্ক করা হয়েছে।