শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের উদ্যোগে নাদিম হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ

0
138

আমার সিলেট ডেস্ক: সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা, যা দিক দর্শন করে সর্বোস্তরের জনগন।নিজেদের বিবেককে জাগ্রত করে সকল অপরাধীদের মুখোশ উন্মোচন করাই একজন সাংবাদিকের কাজ।
সাংবাদিক নাদিম হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার ও শাস্তিই পারে জবাবদিহিমূলক সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে। ইতোপূর্বে পেশাগত দায়িত্বপালনকালে নিহত সকল সাংবাদিক হত্যাকারীদেরও অনুরূপভাবে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হোক।

রোববার (১৮ জুন) দুপুরে শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাব আয়োজিত শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাব সম্মুখে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে সাংবাদিকরা অভিন্ন কণ্ঠে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সাধুরপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুর অপকর্ম নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে দুর্বৃত্তদের হামলায় বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) নিহত হন বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমের জামালপুর ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট গোলাম রাব্বানী নাদিম। নিহত হওয়ার এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের সভাপতি বিশ্বজ্যোতি চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন সোহেলের নেতৃত্বে দুর্যোগপূর্ণ ও বৃষ্টিময় আবহাওয়ার মধ্যে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের সভাপতি এবং সিনিয়র সাংবাদিক বিশ্বজ্যোতি চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেন, ‘বাংলানিউজের জামালপুর ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট গোলাম রাব্বানী নাদিমের হত্যাকারী ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে যখন আটক করা হয় তখন তার হাতে হাতকড়া পড়ানো হয়নি। অথচ আমাদের কোনো সাংবাদিক ভাইকে যখন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আটক করা হয় তখন তার হাতে হাতকড়া পড়ানো থাকে। আমরা শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে এই দাবি জানাতে চাই যে, পুলিশ মামলাটিকে যেন সুশৃংখলভাবে, আইন অনুযায়ী কোনো প্রকার ফাঁক না রেখে মামলাটি পরিচালনা করে, যাতে দুস্কৃতিকারীরা কোনোভাবেই আইনের হাত থেকে রেহাই না পায়।’
শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন সোহেল বলেন, ‘গত ১৫ বছরে ২৩ জন সাংবাদিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন এবং ৫১৮ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। এই ২৩ জন নিহত সাংবাদিকের মধ্যে মাত্র ৮ জনের বিচার সম্পন্ন হয়েছে এবং ৫ জনের পরিবার এই বিচারের রায় প্রত্যাখান করেছেন। আমরা চাই নাদিম হত্যার আসামী গ্রেপ্তার হলেও বিচার যেন দৃষ্টান্তমূলক হয়।’
শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের সদস্য এবং আরপি নিউজ টোয়েন্টিফোরের সম্পাদক, সিনিয়র সাংবাদিক সৈয়দ আমীরুজ্জামান বলেন, ‘জেলা-উপজেলার সাংবাদিকদের অনুসন্ধানী ও বিশ্লেষণমূলক প্রতিবেদনের কারণে প্রসাশনে দুর্নীতি অনেক কমেছে। জিডিপির টু পার্সেন্ট শুধুমাত্র সাংবাদিকতার কারণে বৃদ্ধি পেয়েছে। তাহলে এই ক্রেডিট (সাফল্য) কার? রাষ্ট্রের ক্রেডিট।’

এছাড়াও শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের অন্যান্য সাংবাদিকের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ প্রতিদিনের শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি দীপঙ্কর ভট্টাচার্য লিটন, দৈনিক আমাদের অর্থনীতির শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি কাওছার ইকবাল, বাংলানিউজের ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন, শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের সহ-সম্পাদক (দপ্তর) এম. মুসলিম চৌধুরী, শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ মো. এহসানুল হক,দৈনিক করতোয়ার শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি নূর মোহাম্মদ সাগর, আজকের বিজনেস বাংলাদেশের শ্রীমঙ্গর প্রতিনিধি মিজানুর রহমান আলম, দৈনিক প্রতিদিনের সাংবাদের শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি আব্দুস শুকুর, দৈনিক বাংলা ৭১ এর শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি আল আমিন প্রমুখ।